জয়ের চায়ের দোকানের অভিনব প্রতিবাদের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় 

RG Kar Protest: এমন অভিনব প্রতিবাদ আর কেউ করেনি! চায়ের প্রতি চুমুকে ‘বিচার’-এর দাবি জয়দার দোকানে, দেখুন

হুগলি: প্রতি চায়ের চুমুক মনে করিয়ে দেবে আরজি করের নির্যাতিতার বিচার এখনও অধরা। বিচারের দিন গুনছেন এলাকার প্রত্যেক চাপ্রেমী মানুষ। কারণ, চায়ের দোকান থেকেই চা বিক্রেতা জানাচ্ছেন, এমন অভিনব প্রতিবাদ। দোকানের বাইরে লাগানো রয়েছে একটি বোর্ড যাতে লেখা, “চা খেতে খেতে ভুলে যাবেন না বিচার পায়নি তিলোত্তমা”।

তলায় দেওয়া দিন সংখ্যা। এমনই অভিনব প্রতিবাদ করে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বলাগড়ের চা বিক্রেতা জয় ধর। রাস্তার ধারে ছোট্ট একটা চায়ের দোকান, সেই ছোট্ট চায়ের দোকান থেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন আরজি কর কাণ্ডের। বলাগড়ের জয়দার চায়ের ঠেকে এমনই প্রতিবাদ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মন কেড়েছে নেটিজেনের। চিকিৎসকের হত্যা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, রায় বিচার করছে সুপ্রিম কোর্ট। আরও কতদিন লাগবে বিচার পেতে সেই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। সেই অপেক্ষার দিন গুনছেন জয়ের চায়ের দোকানে আসা প্রতি মানুষ।

আরও পড়ুন: বাংলার এই স্কুলের ছাত্রীদের চিঠি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন!

বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা জয় ধর হুগলির বলাগড়ের এই চা বিক্রেতা প্রতিদিন আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে তারিখ বদলে যান। তিনি ক্রেতাদের মনে করিয়ে দেন তিলোত্তমার বিচার পাইনি কতিদন হল। বছর ৩৬-এর জয়ের আসাম লিঙ্ক রোডের পাশে বারুইপাড়ায় রয়েছে চায়ের দোকান। বি এ ফাইনাল ইয়ার পড়তে পড়তে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিছুদিন ঠিকাদারি, সেলসম্যানের কাজ করেন। নিজের স্বাধীন কিছু করতে চায়ের দোকান খুলে বসেন। দোকানের নাম দেন জয়দার চায়ের দোকান।

আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের সুড়ঙ্গে দৌড় তরুণীর, ভয়াবহ কাণ্ড পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে! বিঘ্নিত মেট্রো ব্যবস্থা, প্রশ্নে নিরাপত্তা

প্রতিদিন বিকেল হলেই তাঁর চায়ের দোকানে ভিড় জমে অনেক মানুষের।আসাম লিঙ্ক রোড ধরে যাওয়া অনেক গাড়ির যাত্রীরা দাঁড়িয়ে চা খান। আর তাঁদেরই মনে করিয়ে দেন এখনও বিচার হয়নি আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার ঘটনার। জয়ের দোকানের ঠিক ডান দিকের দেওয়ালে একটি বোর্ড ঝোলানো রয়েছে। তাতে নীল কালিতে লেখা রয়েছে, ‘চা খেতে খেতে ভুলে যাবেন না তিলোত্তমার বিচার পায়নি।’ আর সেই ছবিই এখন ভাইরাল।

জয় বলেন, ‘এখনও আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের বিচার হয়নি। চায়ের দোকান সামলে সেভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারছি না, তাই এই অভিনব ভাবে প্রতিবাদ করছি। যারা প্রতিবাদ করছেন তাদের পাশে আছি এবং তাদের সাহস জোগাচ্ছি। চলার পথে মানুষ যাতে ভুলে না যায়। ধর্ষণের বিরুদ্ধে যেন এক কঠোর আইন তৈরি হয়। প্রতিটা বাড়ির মহিলা যেন সুরক্ষিত ভাবে রাস্তায় বেরোতে পারে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করি।’

রাহী হালদার