মতুয়া ঠাকুরবাড়ি

North 24 Parganas News: মতুয়া ঠাকুরবাড়ির ঘর দখলে লড়াই, শান্তি ফিরে হেরিটেজ হোক চাইছেন ভক্তরা

উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাকুরনগর জুড়ে চলছে জোর চর্চা, কার দখলে ঠাকুরবাড়ি! গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া বড়মা বীনাপানি দেবীর ঘর দখল ঘিরে জেঠিমা ও ভাইপোর লড়াই প্রকাশ্যে। বড়মা বীনাপানি ঠাকুরের ঘর শান্তনু ঠাকুরের দখলে থাকবে নাকি মমতা বালা ঠাকুরের দখলে তা নিয়েই বারুণী মেলা চলার মাঝেই তৈরি হয় লড়াই, বিতর্ক।

রাত থেকেই টানটান উত্তেজনা ঠাকুরবাড়ি ঘিরে। নিজে হাতে দরজায় তালা ভাঙতেও দেখা যায়, ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘর ও মন্দির জোর করে দখলের অভিযোগ তোলা হয় মমতা বালা ঠাকুরের তরফ থেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঠাকুরবাড়ির নিরাপত্তায় দখল নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় রাত থেকেই।

এ দিন সকাল থেকেই ঠাকুরনগর জুড়ে রয়েছে চাপা উত্তেজনা। মেলা চললেও নানা প্রান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা আসছেন ঠাকুরবাড়িতে। অনেক মতুয়া ভক্ত আবার এসেই ফিরে যাচ্ছেন, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে ঠাকুরবাড়িতে কান পাতলে। তবে ঠাকুরবাড়ি ঘিরে এমন পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান হোক চাইছেন মতুয়া ভক্তরা। পারিবারিক বিবাদকে সরিয়ে রেখে, বজায় থাকুক ঠাকুরবাড়ির মাহাত্ম্য।

দূর দূরান্ত থেকে আসা মতুয়া ভক্তরা দাবি করেন, বছরের এই একটি সময়ে কষ্টার্জিত টাকা খরচ করেই তারা আসেন পূণ্য লাভের আশায় সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠাকুরবাড়িকে ঘিরে তৈরি হওয়া এমন পরিস্থিতি কখনোই কাম্য নয়। বিষয়টিতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙও লেগেছে। শান্তনু ঠাকুর যেমন মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে দখলদারির অভিযোগ এনেছেন তেমনি এদিন মমতা বালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। এমনকি সারারাত বাইরে বসেই কাটাতে হয় তাকে বলেই জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা।

এই কারণেই ১৪৪ ধারা চেয়েছিলেন বলেও দাবি করেন মমতা। শান্তনু ঠাকুরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই মতুয়া ভক্তদের দাবি মেনে ঠাকুরবাড়ির স্মৃতি বিজড়িত এই ঘর হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়েছে। তিনি জানান, এই ঘর হেরিটেজ হওয়া উচিত, কারও কুক্ষিগত ঘর হওয়া উচিত নয়। কারণ এই ঘরের সঙ্গে ঠাকুরনগরের স্মৃতি বিজড়িত, এই ঘরের সঙ্গে স্বগীয় পিআর ঠাকুর, মা বীণাপানির দেবীর স্মৃতি জড়িয়ে। এই ঘর যদি ভক্তরা হেরিটেজ চায়, আমরা মান্যতা দেব, আমরা চাই হেরিটেজ হোক। এক্ষেত্রে সবার জন্যই খোলা থাকবে, এবং খোলা রাখা উচিত বলেও মনে করেন শান্তনু। পরবর্তীতে ঠাকুরবাড়ির এই কলহ কী রূপ নেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

Rudra Narayan Roy