তিলপাড়া ব্যারেজ

Bus Stand Work Resumed: কাজল শেখের উদ্যোগে কাটল জট, আবার কাজ শুরু তিলপাড়া বাসস্ট্যান্ডের

বীরভূম: জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের উদ্যোগে অবশেষে জট কাটল তিলপাড়া বাসস্ট্যান্ডের। প্রস্তাবিত তিলপাড়া বাসস্ট্যান্ডের মাটি ফেলার কাজ নিয়ে তৈরি হওয়ার জটিলতা অবশেষে দূর হল। এই প্রসঙ্গে কাজল শেখ স্পষ্ট জানিয়েছেন, উন্নয়নের কাজে কোনও বাধা প্রশাসন মানবে না। প্রথমে টেবিলে বসে আলোচনা হবে। সেখানে সমাধান না হলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার বিকালে ঠিকাদার ও সিউড়ি-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে ট্রাক্টর মালিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভাধিপতির চেম্বারে বৈঠক হয়। সেখানেই সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে। তাতে ঠিক হয় একইসঙ্গে ডাম্পার ও ট্রাক্টারে বালি, মাটি দিয়ে তিলপাড়ার বাসস্ট্যান্ডের এলাকাটি ভরাট করা হবে।

আরও পড়ুন: একে একে খুলে পড়ে যাচ্ছে পাটাতন! পিয়ালী নদীর কাঠের সেতু যেন মরণ ফাঁদ

রাজ্য পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও সিউড়ি শহরের সংযোগস্থলে তিলপাড়ায় নতুন বাসস্ট্যান্ড গড়ে উঠবে। যার শিলান্যাস করে টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কিছু লোক সিন্ডিকেট চালাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে ট্রাক্টর মালিকদের নিয়ে আন্দোলনে নামেন প্রশান্ত প্রসাদ লালা ওরফে রুপু লালা। যার জেরে সোমবার পাথরের কুচি ভর্তি ৩২ টি ডাম্পার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসেও তা ফেলতে পারেনি।

সন্ধেয় সভাধিপতির কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এলে তিনি সিউড়ির আইসিকে সেগুলি খালি করার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবারের বৈঠকেও দু’পক্ষকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন, সময়ের আগে কাজ শেষ করতে হবে। কোনও সিন্ডিকেট চলবে না। সরকারি কাজে ট্রাক্টারের দর কম নিতে হবে। বরাদ্দ টাকার মধ্যেই কাজ করতে হবে। বৈঠক শেষে ঠিকাদার রবিউল ইসলাম জানান, সভাধিপতির নির্দেশ মত আমরা ডাম্পার ও ট্রাক্টর দু’ভাবেই মাটি, বালি নেব। আমরা আমাদের সময়ের আগে কাজ শেষ করতে আগ্রহী।

এদিকে রুপু লালা জানান, এলাকার ট্রাক্টর ও শ্রমিকরা কাজ পাক। একটা ডাম্পার মানে ১০ টি ট্রাক্টরের সমান মাল ধরে। সেই হিসাবে আমরা ঠিকাদারকে নিয়ে কাজ করিয়ে নেব খুব তাড়াতাড়ি। এই প্রসঙ্গে সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জানান, সিউড়ির যানজট মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী নতুন বাসস্ট্যান্ড করে দিচ্ছেন। সভাধিপতির উদ্যোগে তার সমাধান হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বাসস্ট্যান্ডের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হোক।

সৌভিক রায়