কোচবিহার: জেলা কোচবিহারে একাধিক বাজার ও গ্রামীণ হাট রয়েছে। যেগুলি দীর্ঘ সময় ধরে বেশ অনেকটাই প্রসিদ্ধ। তবে এর মধ্যে কিছুটা নতুন গ্রামীণ এলাকার একটি প্রসিদ্ধ হাটের নাম ডাউয়াগুড়ী বাজার। তবে এই হাটে সব ধরনের জিনিস নয় শুধুই একধরনের ফল বিক্রি হতে দেখা যায়।
তবুও বাজারের মধ্যে ভিড় জমে বহু মানুষের। সপ্তাহের দু’দিন বৃহস্পতিবার ও রবিবার এই এলাকায় বসা হাটের মধ্যে বিক্রি হতে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের কলা। আর এই কলা গুলি শুধুমাত্র কোচবিহার জেলায় নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এবং পার্শ্ববর্তী অসাম রাজ্য গিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ডিপ ফ্রিজে জমে বরফের পাহাড়! বারবার কেন হয় এই সমস্যা? ৫ মিনিটে গলবে কীভাবে? জেনে নিন সহজ টোটকা
জেলার এক কলা চাষি স্বপন কুমার দাস জানান, জেলা কোচবিহারের সকল কলা চাষি এই বাজারে এসে থাকেন কলা বিক্রির জন্য। এই হাট ছাড়া জেলায় আর এরকম বড় মাপের হাট নেই। তাইতো এখানে দূর-দূরান্তের বহু পাইকার ও খুচরো বিক্রেতারা এসে থাকেন।
তাই এখানে কলা বিক্রি করলে মুনাফা কিছুটা বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। তাইতো অন্যান্য হাটের চাইতে এই হাটকে বেশি পছন্দ করেন কলা চাষিরা। এই হাটের মধ্যে বিভিন্ন রকমের কলা বিক্রি হয়ে থাকে। চিনি, মালভোগ, মনুয়া, বীজ কলা, সিঙ্গাপুরী কলা এবং আরও বিভিন্ন ধরনের কলা।”
হাটে কলা কিনতে আসা এক পাইকারি কলা বিক্রেতা বিষ্ণুপদ সরকার জানান, “দীর্ঘ প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই হাট চলে আসছে এই এলাকায়। ফলে শুধু জেলায় নয়, রাজ্যের অনন্য জেলা গুলিতেও এখান থেকে কলা বিক্রির উদ্দেশ্যে যায়।
এছাড়া আর কিছু সময় সেই জেলাগুলি থেকেও কলা আসে এখানে। হাটে কলা কিনতে আসা এক খুচরো ফল বিক্রেতা আস্তিক বর্মন জানান, “বর্তমান সময়ে এই কলা হাটের বিভিন্ন ধরনের কলা খুব স্বল্প মূল্যেই পাওয়া যায়। ফলে এখান থেকে কলা কি দিয়ে বিক্রি করলে লাভের পরিমাণ কিছুটা হলেও বেশি থাকে।”
আরও পড়ুন: দীর্ঘ পথ পাড়ি, মাঝে একটু ‘রেস্ট’…ফের কলকাতায় ‘সাদা তিমি’! বিমানবন্দরে বেলুগা এক্সএল
দীর্ঘ সময় ধরে তাই কোচবিহারের ডাউয়াগুড়ী এলাকায় বসা কলার হাটের প্রসিদ্ধতা বেড়ে উঠেছে অনেকটাই। ফলে বর্তমান সময়ে জেলার বাইরের বহু পাইকার ও খুচরো বিক্রেতা গাড়ি নিয়ে হাজির হন এখানে কলা কিনতে। হাটের দিনগুলিতে এই এলাকায় গাড়ি ও মানুষের ভিড় দেখতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে।
Sarthak Pandit