Cooch Behar: অন্যতম অস্ত্র রাজবংশী ভোট! ভোট রাজনীতির প্রচারে সরগরম কোচবিহার! জানুন

কোচবিহার: হাতে মাত্র আর দুই সপ্তাহ। রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র কোচবিহার। সেখানে জোরদার প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল।কোচবিহার জয়ের অন্যতম অস্ত্র হল রাজবংশী ভোট। হারানো আসন পুনরুদ্ধারে তাই রাজবংশী মন পেতে প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস।বিজেপি প্রতিশ্রুতি রাখেনি, তৃণমূল কংগ্রেস কথা রেখেছে, এই বার্তা দিতেই গ্রামে গ্রামে প্রচারে জোর তৃণমূলের।

রাজনৈতিক মহলের মতে, কোচবিহার উত্তর আর মাথাভাঙ্গা এই দুই বিধানসভায় রাজবংশী ভোট সবচেয়ে বেশি। আছে নমঃশূদ্র ভোটও। কোচবিহার জেলায় সব আসনে রাজবংশী ভোট রয়েছে৷ লোকসভায় ৪২% ভোট হল রাজবংশী। রাজবংশী এলাকায় তাই সব থেকে বেশি জোর দিচ্ছে প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস।তৃণমূল প্রচারে বলছে, “নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন গড়া হবে বলে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মতো কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মার মূর্তি বসানো হবে। সেটাও হয়নি।”

আরও পড়ুন: দিনে কত বার, কতটা সানস্ক্রিন মাখা উচিত? রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করবে এই টিপস! জানুন

তারা আরও বলছে, “রাজবংশী কালচারাল বোর্ড গড়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে। অষ্টম তফসিল অনুযায়ী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে। এছাড়া রাজবংশী সমাজের সামনে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কথা বলেছিল বিজেপির নেতারা, বিশেষ করে নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা ও অনন্ত রায়। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পক্ষে নয়৷ তাই এই বিষয়ে প্রচারে তারা যাচ্ছে না।

তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারে তুলে আনছে ,  “রাজবংশী ও কামতাপুরি ভাষাকে স্বীকৃতি। রাজবংশী অ্যাকাডেমি গড়া হয়েছে।  মণীষী পঞ্চানন বার্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয়। চিলা রায়ের মূর্তি হয়েছে। রাজ্য পুলিশের নারায়ণী ব্যাটেলিয়নে যুবদের নিয়োগ নিয়ে প্রচার। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ প্রতিম রায় জানিয়েছেন, বিজেপি জাতিগত, ধর্মগত বিষয়কে সামনে আনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সবার আবেগ আর অনুভূতিকে প্রাধান্য দিয়েছে। বিজেপি সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলেছে। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। মোদি বা অমিত শাহ কোচবিহারে এসে যা যা বলেছেন তা পূরণ হয়নি। নারায়ণী সেনা থেকে ভাষার স্বীকৃতি কিছু হয়নি।

আরও পড়ুন: এই সাত লক্ষণ দেখে বুঝুন, আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হয়েছে কিনা!

পক্ষান্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সব কাজ করেছে। মানুষ এটা উপলব্ধি করেছে। অনন্ত মহারাজ, আজ বিজেপি বিরোধিতায় কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি আত্মবিশ্বাসী নয় বলেই ভোট আসলেই তিনি আসেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় সারা বছর থাকেন। প্রধানমন্ত্রী আবেগের কথা বলেন। কিন্তু কাজ করেননি। ভোট আসলে মিথ্যা প্রচার করে। পালটা কটাক্ষ করে বিজেপির বিধায়ক দীপক বর্মণ জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা ভাগাভাগির পথে গেছে৷ কোনও কাজ তারা করেনি।

ABIR GHOSHAL