জল ছাড়ছে ডিভিসি। (ফাইল ছবি)

Cyclone Dana Fear: দানা আতঙ্কে আগেই জল ছাড়ল মাইথন-পাঞ্চেত জলাধার, কতটা জল ছাড়া হল? ফের কি জল ছাড়তে হবে?

আসানসোল ও দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : দানা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পড়তে শুরু করেছে। ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। তার আগে প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে সব রকম প্রস্তুতি। প্রস্তুতি নিয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।

বাংলায় যাতে বানভাসি পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আগে থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ছাড়া হয়েছে জল। ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবারই ডিভিসির মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ১৫ হাজার কিউসেক জল। ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে পাঞ্চেত জলাধার থেকে। যে কারণে জল ছেড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজও।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কঠিন সব রোগে ভুগছেন সলমান-ক্যাটরিনা-রণবীর-অনুষ্কা, এসব নিয়ে কেউ খোঁজই রাখে না!

প্রায় ৪৫ হাজার ৯০০ কিউসেক জল মঙ্গলবার ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। মূলত বাঁধগুলির জল ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে আগে থেকে জল ছেড়ে রাখা হয়েছে বলে খবর। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ল্যান্ডফলের পর যদি ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ঝাড়খণ্ডের দিকে হয়, তাহলে পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন হলে দামোদরের জলাধারগুলিতে হু-হু করে জল এসে ঢুকবে। তখন প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়তে হবে। সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য আগের থেক কিছুটা জল ছেড়ে জলাধারগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের ভয়! শিয়ালদহ থেকে ১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল, রইল তালিকা

অন্যদিকে, গতবার ঘূর্ণিঝড়ের সময় অন্ডাল বিমানবন্দর জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। শিল্পাঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানের জন্য অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক রয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদক্ষেপ করা না হলেও, সময় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসনও।

নয়ন ঘোষ