পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব প্রত্যক্ষ পড়ার সম্ভবনা থাকলেও সে অর্থে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েনি বাংলায়। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। ল্যান্ডফলের সময়ের চলেছে ঝড়ো হাওয়া। বালেশ্বরের উপকূলীয় এলাকায় ল্যান্ডফল হওয়ার কারণে বাংলা, ওড়িশা সীমানা এলাকার একাধিক ব্লকগুলিতে রাতভর চলেছে ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি। স্বাভাবিকভাবে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক ক্ষতি ধানচাষে। একদিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে ঝড় হওয়ার কারণে একাধিক জায়গায় ধানের গাছ, মাঠে নেতিয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবে ধান চাষের মরশুমে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মূলত ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। জেলার অধিকাংশ চাষি ধান চাষ করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে চলতি মরশুমে কখনও ভারী বৃষ্টি, আবার ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষে। রাতভর ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির কারণে মাঠেই ধানের গাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাত এবং বাতাসের কারণে মাঠে শুয়ে গিয়েছে সবুজ ধানের গাছ। স্বাভাবিকভাবে বাংলা, ওড়িশা সীমানা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন: বাংলা-ওড়িশা সীমানায় রয়েছে কয়েকশো বছরের প্রাচীন জগন্নাথ মন্দির, ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন
বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ঘূর্ণিঝড় দানার আশঙ্কা থাকলেও, সাধারণ মানুষ মাথা গোঁজার জন্য কংক্রিটের ঠাঁই বেছে নিলেও মাঠের ধানের কোনওরূপ ব্যবস্থা করতে পারেননি তারা। দিন কয়েক আগেই কেউ মাঠে সার, ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। ধান চাষই জীবন জীবিকা, জেলার মানুষের। তবে ঘূর্ণিঝড় দানার পরোক্ষ প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষে। বিঘার পর বিঘা ধানের জমি রীতিমত মাটিতে শুয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলের নস্টালজিয়া দেওয়ালি পুতুল, জানুন ইতিহাস
যেখানে জেলার মানুষ সামান্য চাষাবাদের উপর নিজেদের সংসার, সারা বছরের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন, সেক্ষেত্রে দানার প্রভাবে এত বড় ক্ষতি কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পরে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
রঞ্জন চন্দ