ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। বইছে ঝড়ো হাওয়া, শুরু হয়েছে বৃষ্টি। দিঘায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন প্রশাসনের। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমল। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। (সৈকত শী)ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বইছে ঝড়ো হাওয়া। দিঘায় বৃষ্টির পাশাপাশি উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। বেলা যত বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ তত বাড়ছে। বাড়ছে দমকা ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ। দিঘায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সমস্ত রকমের প্রস্তুত প্রশাসন।
আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিঘায় স্থানীয় দোকানদার ও পর্যটক এবং দিঘার সাধারণ মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে। এবার বিশেষ সতর্কতার পদক্ষেপ হিসাবে পর্যটকদের রবিবার বিকেলের মধ্যে হোটেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হোটেল মালিকদের জানানো হয়েছে সোমবার পর্যন্ত নতুন করে বুকিং নেওয়া যাবে না।হোটেল খালি করার নির্দেশ প্রশাসনের। সোমবার পর্যন্ত প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে নতুন করে কোন হোটেল বুকিং নেওয়া যাবে না। দিঘার হোটেল খালি করার বিষয়ে, দিঘা শংকরপুর হোটেল ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, ‘আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেল খালি করার নির্দেশ এবং নতুন করে বুকিং না নেওয়ার নির্দেশ পেয়েছি। রবিবার বিকেলের মধ্যেই হোটেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং সোমবার পর্যন্ত নতুন করে হোটেল বুকিং এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সেই মতো আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। পর্যটকদের হোটেল খালি করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনের সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’প্রসঙ্গত ঘূর্ণিঝড় রেমল তিন বছর আগে ঘটে যাওয়া ইয়াসের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে উপকূলবর্তী জেলার সাধারণ মানুষের কাছে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। দিঘায় ইতিমধ্যে নেমেছে এনডিআরএফ টিম।
