পাঁচমিশালি Cyclone: ২ লাখ মানুষের মৃত্যু! ঢেউ ওঠে ২০ ফুট, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমল, জানুন আরেক ‘দানব’ দ্য গ্রেট বাকেরগঞ্জ সাইক্লোনের বিষয়ে! Gallery May 25, 2024 Bangla Digital Desk গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’ নিয়ে আলোচনা চলছে। ঝড়, বৃষ্টিপাত, তাপদাহ, আবার কখনও বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাস—সবকিছুই প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রকৃতি নিজের ভারসাম্য রক্ষা করতেই কখনও কখনও বিরূপ আচরণ করে। সেই বিরূপ আচরণেরই এক নাম ঘূর্ণিঝড়। পৃথিবীতে প্রতিবছর গড়ে ৮০টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলেও বেশিরভাগই সমুদ্রে মিলিয়ে যায়, স্থলভাগে পৌঁছায় না সবগুলি। তবে যেগুলো ঝড়গুলি উপকূল বা স্থলভাগে আঘাত হানে, সেগুলো ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইতিহাস বলছে, সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় আঘাত হেনেছিল বাংলাদেশে, আর নিয়মিত বিরতিতে প্রতিবার একেকটি দুর্যোগ কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য প্রাণ। একইভাবে সমুদ্রতীরবর্তী বহু দেশই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তেমনই এক ঘূর্ণিঝড় হল দ্য গ্রেট বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন। এবার ধেয়ে আসছে রিমল। তার অভিমুখ হওয়ার কথা খেপুপাড়ার দিকে। সেই খেপুপাড়া থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের বরিশালের বাকেরগঞ্জে ১৮৭৬ সালের অক্টোবরে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। সে সময় ব্রিটিশ শাসন চলছিল। ভয়াবহ সেই ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ২ লাখ মানুষ। বাতাসের তীব্রতা ছিল ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার, আর সমুদ্রের জল বয়ে যাচ্ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২০ ফুট ওপর দিয়ে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে যায়। পরে অনাহার ও দুর্ভিক্ষে মারা যায় অসংখ্য মানুষ। তবে, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়টি হয়েছিল ১৯৭০ সালের নভেম্বরের ১১ তারিখ। আছড়ে পড়েছিল শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইক্লোন ভোলা। ঘূর্ণিঝড় ‘ভোলা’ এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। সে বছর সেটি ছিল, ভারত মহাসাগরে ওঠা ষষ্ঠ ও সবচেয়ে ভয়াল ঘূর্ণিঝড়। সিম্পসন স্কেলে ক্যাটেগরি-থ্রি মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ছিল ‘ভোলা’। এটি ছিল সর্বকালের ভয়ঙ্করতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ১৯৭৬ সালের তাংশাং ভূমিকম্প বা ২০০৪ সালের সুনামির চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছিল ভোলার দাপটে। এছাড়াও ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ম্যারিয়েন ঘূর্ণিঝড়। এটির ফলে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়। প্রাণ হারায় প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। বাস্তুহারা হয়ে পড়ে ১ কোটিরও বেশি মানুষ।