দার্জিলিং, লাইফস্টাইল Durga Puja Trip: বর্ষায় বন্ধ থাকে দার্জিলিংয়ের এই গ্রামের পর্যটন, ঘন জঙ্গল ঘেরা এই হ্যামলেটই হোক পুজোর ছুটির গন্তব্য Gallery August 8, 2024 Bangla Digital Desk *উত্তরবঙ্গের কুয়াশা ঘেরা গ্রাম চটকপুর। সোনাদা পেরিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৮০০ ফুট উঁচুতে। দার্জিলিং থেকে দূরত্ব ২০ কিলোমিটার মতো। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, চটকপুরের জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ে ঘুমিয়ে আছেন স্বয়ং ভগবান বুদ্ধ। এই গ্রাম নাকি কয়েকবছর আগেও আত্মগোপন করে থাকত পাইন গাছের আদিম জঙ্গলের মাঝখানে। *বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ বাজেট। দার্জিলিং ট্যুর প্ল্যান করলে যে বাজেট হবে, চটকপুরের বাজেট তার থেকে অনেকটাই আলাদা। দু’জনের জন্য ইকো কটেজের ঘর ভাড়া ৩৫০০ টাকার মতো। আর যদি গ্রামের মধ্যে হোমস্টে-তে থাকতে চান, তাহলে খরচ মাথাপিছু ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। তবে আগে থেকে খোঁজ নিয়ে, বুকিং করে যাওয়াই ভাল। *দার্জিলিংয়ের সিঞ্চল ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারির অন্তর্গত ছোট্ট গ্রাম চটকপুর। সোনাদা থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরত্ব। সবুজের সমারোহে পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনার আদর্শ ডেস্টিনেশন চটকপুর। সোয়েটার, জ্যাকেট, বুট সঙ্গে রাখবেন। বর্ষার সময় বন্ধ থাকে জঙ্গলের মধ্যে হওয়ায়। আইডি প্রুফ, অ্যাড্রেস প্রুফও রাখবেন সঙ্গে। *চটকপুরের সবথেকে বড়ো আকর্ষণ বনভূমি। নিস্তব্ধতার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন সেখানে। আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তাহলে তো আর কথাই নেই! উপভোগ্য হবে আরও বেশি। সুযোগ বুঝে ঘুরে আসতে পারেন মংপু এবং বগুরা থেকে। হঠাৎই হয়তো সামনে চলে আসতে আসবে হিমালয়ের হরিণ কিংবা চিতাবাঘ। যেখানেই তাকান, দেখতে পাবেন ঘনসবুজ গাছপালার আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে পাহাড়। *১০ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন ওয়াচটাওয়ার। দেখা যাবে ‘ট্রেকারদের স্বপ্নরাজ্য’ সান্দাকফুর অপূর্ব দৃশ্য। এখান থেকে সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতা এক অন্যরকম অনুভূতি দেবে নিশ্চিত। কমলা আলো যখন ধূসর সাদা পর্বতশৃঙ্গের ওপর পড়ে, সমস্ত পরিবেশ হয়ে ওঠে মায়াবী। চটকপুর থেকেই শুরু হয় অনেকগুলি ট্রেকিং রুট। যার মধ্যে একটি গিয়েছে টাইগার হিল পর্যন্ত। *চটকপূর ব্যস্ত নাগরিক জীবনের ক্লান্তি কাটানোর অন্যতম ডেস্টিনেশন হতে পারে। এখান থেকে মুক্ত প্রকৃতির যে অক্সিজেন নিয়ে ফিরবেন, বন্য পরিবেশের যে রোমাঞ্চকর অনুভূতি সঙ্গে নিয়ে আসবেন, তা বহুদিন আপনাকে সজীব রাখবে। তাই এবারের পুজোয় গন্তব্য হোক চটকপুর।