অহলদারা 

Darjeeling: দার্জিলিংয়ের এই গ্রাম মোহময়ী, হোমস্টের সব ঘরই কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে, ঘুরে আসুন ছোট্ট ছুটিতে

দার্জিলিং: ঘরে বসে আর ভাল লাগছে না। মন বলছে বেড়িয়ে আসি পাহাড়ে। কিন্তু যাবেন কাদের সঙ্গে? কোথায় যাবেন? এসব সাতপাঁচ চিন্তা না করে ঘুরে আসুন পাহাড়ি গ্রাম অহলদারা। অহলদারা ভিউ পয়েন্টে গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখে মন ভরে যাবে আপনার। অহলদারা ভিউ পয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরমিক ভিউ দেখা যায়। শান্ত, নিরিবিলি আর শীতল একটা জায়গা এই অহলদারা। অহলদারার হিমেল হাওয়ায় আপনি ভুলে যাবেন সমস্ত ক্লান্তি।

অহলদারা ভিউ পয়েন্টের টানেই জনপ্রিয় উঠেছে এই পাহাড়ি গ্রাম। অহলদারা ভিউ পয়েন্টে বসেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর কীভাবে গেরুয়া আভা ফেলে সূর্য অস্ত যায়। আবার পরদিন ভোর-ভোর যদি অহলদারা ভিউ পয়েন্টে পৌঁছে যান, দেখতে পাবেন সূর্যোদয়ের দৃশ্য।

আরও পড়ুনঃ সকাল থেকে রাত, শুধু এই একটা কাজেই মনপ্রাণ ঢেলে দিচ্ছেন সৃজন ভট্টাচার্য! জাগছে যাদবপুর

সারাদিন ধরে বসে থাকলে দেখতে পাবেন কীভাবে মেঘেরা এসে ঢেকে ফেলে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও পাহাড়ি গ্রামগুলোকে। আবার মেঘ সরতে চোখের পলকে দেখা মেলে তাদের। এখানে বসে পেয়ে যাবেন ইনস্টাগ্রামের জন্য কিছু সেরা ছবি, টাইমল্যাপস আর রিলসের কনটেন্ট কিন্তু অনায়াসেই তৈরি করতে পারবেন।

অহলদারায় শুধু যে ভিউ পয়েন্টই আপনার নজর কাড়বে, তা নয়। এখানকার সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশও আপনার মন ভরিয়ে তুলবে। অহলদারায় প্রবেশ করা মাত্র আপনাকে ছুঁয়ে যাবে হিমেল হাওয়া। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে অহলদারা যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। প্রায় ৭০ কিলোমিটারের পথ। সেবক রোড ধরে কালিঝোরা পেরিয়ে পৌঁছে যান লাটপঞ্চার। এরপরেই রয়েছে শেলপু বাজার। এই শেলপু পাহাড়ের কোলেই অবস্থিত অহলদারা ভিউ পয়েন্ট। অহলদারায় থাকার জন্য হোমস্টে পেয়ে যাবেন। সেখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি খরচ হতে পারে ১,৫০০ টাকা।

দমদম থেকে ঘুরতে এসেছিলেন অর্পিতা সরকার। তিনি বলেন, ‘এমন সুন্দর জায়গা সত্যি ভাবতে পারিনি। দার্জিলিংয়ের ভিড় থেকে অনেক সুন্দর এই জায়গা। আমরা অনেকে এসেছি। আমরা তো মজা করছিই, বাচ্চারাও খুব মজা করছে।’ সিটং ঘুরতে এসে সেখান থেকে সাইডসিনে বেরিয়েছিলেন মৌসুমী চ্যাটার্জী। তিনি বলেন, অসাধারণ জায়গা এই ভিউ পয়েন্ট। একদিকে যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়, অন্যদিকে চা বাগানও দেখা যায় এখান থেকে।’ সময় পেলে অবশ্যই ঘুরে যান পাহাড়ি গ্রাম অহলদারা।

অনির্বাণ রায়