বসিরহাটে পুজোর ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন কাশফুলের সাম্রাজ্যে

Day out Place: পুজোর ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন এই কাশফুলের সাম্রাজ্যে! চোখ ধাঁধিয়ে যাবে

বসিরহাট: বসিরহাটে পুজোর ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন কাশফুলের সাম্রাজ্যে। ভরা বর্ষার পর আগমন ঘটে শুভ্র ঋতু শরতের। নীল আকাশে সারি সারি সাদা মেঘ আকাশে যেন পেঁজা তুলোর মতো নেমে আসে ধরণীতে, কাশফুল হয়ে! এই সময় নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনও উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে।

আরও পড়ুনঃ সেকেন্ডে উধাও হেঁচকি, জলেই হবে কেল্লাফতে! শুধু পান করুন সহজ এই নিয়মে! নিমেষে স্বস্তি

তবে, নদীর তীরেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এর কারণ হল নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর থাকে এবং এই মাটিতে কাশের মূল সহজে বেড়ে উঠতে পারে। আর এই কাশফুল যেন দুর্গাপুজোর জানান দেয়। শরতের বিকেলে মনকে প্রফুল্ল করতে ঘুরে আসতে পারেন কাশবন থেকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়া রামচন্দ্রপুর বাজার পার্শ্বস্ত এলাকায় রাস্তার ধারেই প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে কাশবন।

কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় এক স্নিগ্ধ বিকেল কাটাতে এবং নগরজীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু শান্তির খোঁজে যেতে পারেন বাদুড়িয়া রামচন্দ্রপুরের এই কাশবনে। শরতের বার্তা নিয়ে আসা এখন কাশফুলের শুভ্র চাদরে ছেয়ে গেছে জায়গাটি। সারেজমিনে দেখা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা কাশফুলের এ বাগানটি আগে ইটভাটা ছিল। বহুদিন পড়ে থাকায় এখানে প্রাকৃতিকভাবে কাশফুলে ছেয়ে যায়। অনেকেই বিকালে ছবি তুলতে আবার কেউ মনোরম পরিবেশের একটু ছোঁয়া পেতে এখানে চলে আসেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর অগাস্টের শুরু কিংবা শেষের দিকে কাশফুলগুলো ফুটতে শুরু করে। সেপ্টেম্বর মাসে এসে সাদা কাশফুলে ছেয়ে যায়। সেপ্টেম্বরের শেষে কিংবা অক্টোবরের প্রথম দিকে ফুলগুলো ঝরে যায়।

জুলফিকার মোল্লা