GT vs LSG, 1st innings : শামি ঝড় সামলে পাল্টা হুদা, আয়ুশের ব্যাটে সম্মানজনক স্কোর লখনউয়ের

লখনউ সুপার জায়ান্ট – ১৫৮/৬

#মুম্বই: দুটো নতুন দল যখন মাঠে নামে, তখন খাতায় কলমে শক্তি দুর্বলতা যাই থাক না কেন, মাঠের সেটা খুব একটা পার্থক্য করে না। লখনউ সুপার জায়ান্ট এবং গুজরাত টাইটান্স দলের মধ্যে কোন দল ভাল করবে বোঝা সহজ ছিল না। কিন্তু বল হাতে মহম্মদ শামি যেভাবে ঝড় বইয়ে দিলেন, যেভাবে একের পর এক লখনউ ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিলেন, তাতে সন্দেহ জেগেছিল লখনউ একশো রান পেরোতে পারবে কিনা।

ডাগ আউটে বসে গৌতম গম্ভীর চিন্তায় মাথার চুল ছিড়ছেন। কে এল রাহুল, কুইন্টন ডি কক, ইভিন লুইসরা ব্যর্থতা ছাড়া কিছু দিতে পারেনি। সেখানে তরুণ ক্রিকেটার আয়ুশ বাদনিকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা লড়াই শুরু করলেন দীপক হুদা। প্রথম দিকে সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। তারপর বড় শট খেলতে দেখা গেল।

রশিদ খানকে পর্যন্ত রেয়াত করলেন না। অন্যদিকে আয়ুশ হার্দিক পান্ডিয়ার ওভারে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মারলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল লখনউ। দুজনে মিলে বুদ্ধি করে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন দলের ইনিংস। দুরন্ত অর্ধশতরান করলেন দীপক হুদা।

ভারতের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিডল অর্ডারে তিনি থাকবেন সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। শেষ পর্যন্ত রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন দীপক (৫৫)। নামলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। অন্যদিকে বাচ্চা ছেলে আয়ুশ বাদোনি কিন্তু ভয় না পেয়ে লড়াই চালিয়ে গেলেন।

অভিজ্ঞ লকি ফার্গুসনকেও বাউন্ডারি মারলেন। দিল্লির এই ছেলেটি লম্বা রেসের ঘোড়া ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন। অভিজ্ঞতা কম হলেও সাহস এবং নিজেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী কিভাবে ব্যবহার করতে হয় দেখালেন আয়ুশ। অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন। সুনীল গাভাসকার পর্যন্ত প্রশংসা করলেন তরুণ আয়ুশের।