পুরুলিয়া : প্রতিনিয়ত গরমের দাপট বেড়ে চলেছে। কোনওভাবেই স্বস্তি পাচ্ছে না জেলার মানুষেরা। একাধারে গরম তার উপর আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি নাজেহাল দশা জেলা পুরুলিয়ার মানুষদের।এই তীব্র দাবদাহে পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের সুরুলিয়া মিনি জু’তে বন্যপ্রাণদের সবল ও সুস্থ রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বন দফতর। বদল করা হয়েছে ডায়েট চার্ট। প্রাণীরা সাধারণভাবে যা খাবার খায় তার ৭০ থেকে ৫০ শতাংশ কম খাবার দেওয়া হচ্ছে। যাতে পেট গরম না হয়। সেই সঙ্গে খাবার জলে থাকছে ওয়ারেস, গ্লুকোজ।
হরিণকে বেশি করে খাওয়ানো হচ্ছে শসা, কচি পাতা। ভল্লুককে দেওয়া হচ্ছে লাল তরমুজ। খাবারে জলের পরিমাণ বেশি রয়েছে। জলকেলির জন্য ওয়াটার পুল তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাথার উপর সবুজ আচ্ছাদনে রঙবাহারি ছাতায় তৈরি হয়েছে একেবারে শীতল আবহ। সম্বর, চিতল হরিণের জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়ালো পুল। হরিণ যাতে খাঁচার মধ্যে এই প্রখর দাবদাহেও অবাধে বিচরণ করতে পারে তার জন্য মাথার উপরে দেওয়া হয়েছে এগ্রো নেট।
একইভাবে ফিশিং ক্যাট, হায়নার মত বন্যপ্রাণীরা যাতে খাঁচার মধ্যে এই রোদেও ঘোরাফেরা করতে পারে তাই আমব্রেলা শেডে করা হয়েছে। চৌবাচ্চায় সব সময় ঠান্ডা জল রাখা হচ্ছে যাতে হরিণের দল তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে। বাঁদর ও পাখিদের মত প্রাণীকে স্প্রিংল্কারে স্নান করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কংসাবতী নর্থ বন বিভাগের অতিরিক্ত জেলা ফরেস্ট আধিকারিক পূরবী মাহাতো বলেন , আমরা যতটা পেরেছি পশু পাখিদের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করছি।
এখনও পর্যন্ত এই গরমে কারোর কোনও সমস্যা হয়নি। আমাদের কর্মীরাও যথেষ্ট পরিমাণে নজরদারি রেখেছে। জেলা পুরুলিয়ার অন্যতম দর্শনীয় স্থান সুরুলিয়া মিনি জু। এই জু-তে বহু পশু পাখি রয়েছে। অনেকেই পুরুলিয়া বেড়াতে আসলে এই জু-তে আসেন। এই গরমের দিনে জু-এর সদস্যরা যাতে সুস্থ থাকে তার জন্য তৎপর বনবিভাগ।
Sharmistha Banerjee