অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

Dilip Ghosh: ‘ভয় পাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’! কারণ কী? বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

কলকাতা: শুক্রবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশনও শোকজ করেছে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে ফের মুখ খুললেন তিনি। কী বললেন, দেখুন…

ডায়মন্ড হারবারে মার্জিন বাড়ানোর লক্ষ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়:

দিলীপ ঘোষ: এখনও প্রতিপক্ষ ঘোষণা হয়নি। বিজেপি প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণাাই করেনি, তাতেই এত টেনশন নেওয়ার কী আছে। উনি যেভাবে মার্জিন বাড়ান বা ভোট কেনেন, সবাই জানে। আমার মনে হয় ইলেকশন কমিশন বা আরও বাকিরা যারা আছে, তারা যা প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই জন্য চাপে আছেন তিনি। দেখা যাক, ইলেকশন এখনও দেরি আছে।

আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’, কাজের খতিয়ান বাড়ি বাড়ি তুলে ধরতে চায় তৃণমূল

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যালের মন্তব্যে বিতর্ক:

দিলীপ ঘোষ: বাঙালি সম্পর্কে অনেকে অনেক কিছু বলে আগেও বলেছে। আমার মনে হয় বাঙালিরা, আমরা ওখানে একটা দায়ী। বাইরের লোক বলে দিলে সেন্টিমেন্টে লাগে। বাংলায় যে রাজনীতি চলছে, যে দুর্নীতি চলছে, এরপরেও বাঙালি যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে কাজ করছে কেউ বলবে। মদ কারা খায় না, বাঙালি কি খায় না? সন্ধ্যার পর পাড়ায় পাড়ায় পার্টি অফিসে মদের ফোয়ারা চলছে। বাইরের লোক বললে যদি কষ্ট হয় তাহলে বন্ধ করুন। ইমেজ খারাপ কে করেছে আজকে? স্কুলে পড়াশুনা বাদ দিয়ে কাটমানি নেওয়া হচ্ছে, হাসপাতালে ডাক্তার নেই, নার্স নেই, ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। থানাগুলো তোলাবাজির জায়গা হয়ে গিয়েছে। আর চাকরি করতে গেলে কন্ট্রাকচুয়াল থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় টাকা দিতে হয়।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের বাজি রচনা, প্রাক্তন স্বামী সিদ্ধান্ত উল্টো পথে! বিরাট চমক দিল বিজেপি

যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ সায়নী ঘোষ:

দিলীপ ঘোষ: অনির্বাণদার বিরুদ্ধে বলার কিছু নেই। উনি তো বিজেপির প্রার্থী, বিজেপি বলেই ওঁকে ভোট দেবে মানুষ। উনি (সায়নী ঘোষ) কী? কার কী কালচার বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল মানে সন্দেশখালি।

বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে মোদির কথায় কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রশংসা। রামমোহন রায়ের সঙ্গে গুলোচ্ছেন, কটাক্ষ মহুয়ার মৈত্রের:

দিলীপ ঘোষ: উনি রাজা, কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাংলার রাজাদের মধ্যে এখনও সবচেয়ে পপুলার। তাকে নিয়ে এখনও মজা, গান, নাটক হয়। নদিয়ায় তাকে নিয়ে ঘটনা অনেক প্রচলিত, তার গান অনেক প্রচলিত তাই তাকে প্রশংসা করেছেন। কারও সঙ্গে যদি মিলে যায়, তাতে তো আপত্তির নেই। উনি যে অযোগ্য ছিলেন বা রাজা হিসেবে কিছু করেননি, এটা তো বলা যাবে না।