বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! (File Photo)

Dilip Ghosh: বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! হারের পরই দিলীপের নিশানায় পদ্ম, বেসামাল গেরুয়া শিবির

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: দিলীপ ঘোষের নিশানায় দলের নেতৃত্ব। দিলীপের দাবি, ‘‘আসন বদলের জেরেই যে তিনি হারলেন, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল।’’ বাংলায় বিজেপির বিপর্যয় নিয়ে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির প্রশ্নের মুখে কার্যত বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য বঙ্গ পদ্ম নেতৃত্ব। সুকান্ত মজুমদার অবশ্য বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনিও পাল্টা মুখ খুলেছেন। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আমি তো মেদিনীপুরে এক বছর, সোয়া বছর ধরে লেগে বুথ অবদি সংগঠন তৈরি করেছিলাম। সমস্ত পার্টির লোকেরা আমার পক্ষে ছিল। যে কোনও কারণে হোক পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা ঠিক ছিল না তা প্রমাণ হয়ে গেছে।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ৭ জুন; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘দিলীপ দা জিতবেনই বলে আমাদের বিশ্বাস ছিল। পার্টি অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেয়, সেই সিদ্ধান্ত অনেক সময় ক্লিক করে না। মাঝে মাঝে হয় ক্লিক করে না। আমরা যেটা ভাবি সেটা কাজ করে না।’’ উনিশের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর থেকে জেতেন দিলীপ ঘোষ।চব্বিশে সেই মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় বর্ধমান-দুর্গাপুরে। নতুন কেন্দ্রে গিয়ে তিনি হেরে গেলেন। এরপরই বিস্ফোরক বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। প্রশ্ন তুলে দিলেন বর্তমান নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘সংগঠন একেবারে পশ্চিমবঙ্গে শুয়ে পড়েছে। আমি তো মেদিনীপুরে এক বছর, সোয়া বছর ধরে লেগে বুথ অবদি সংগঠন তৈরি করেছিলাম। সব গ্রামে গেছিলাম। আমার ফান্ড থেকে যা কাজ করার করেছি। মানুষ খুশি ছিল। সমস্ত পার্টির লোকেরা আমার পক্ষে ছিল। যে কোনও কারণে হোক পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা ঠিক ছিল না প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন- সংখ্যাতত্ত্বে ৭ জুন; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন; জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা একসময় দিলীপ দা যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন উনিশের সাফল্যের পর তিনটি উপনির্বাচন হেরেছিলাম। তার মধ্যে খড়গপুর ছিল। তখনও ক্লিক করেনি। মাঝে মাঝে হয় ক্লিক করে না। আমরা যেটা ভাবি সেটা কাজ করে না ৷’’

২০১৯। তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর আমলেই বঙ্গে বিজেপি একলাফে দুই থেকে ১৮ হয়। দিলীপ ঘোষ নিজেও ২০১৯ সালে জেতেন মেদিনীপুর থেকে। কিন্তু এবার তাঁকে পাঠানো হয় উনিশে আলুওয়ালিয়ার জেতা আসন বর্ধমান দুর্গাপুরে। এখানে তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে হারলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপিও বাংলায় জোর ধাক্কা খেল।

১৮ থেকে কমে হল ১২। বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রাক্তন সভাপতি তথা পরাজিত দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘বিজেপির সংগঠন যেভাবে ঢিলে হয়ে গেছে সব জায়গায় প্রথমে বুথে আমরা লোক খুঁজে পাইনি। খুঁজে খুঁজে দাঁড় করাতে হয়েছে। এজেন্ট খুঁজতেও হয়েছে। দুর্বলতা ছিল সংগঠনের। সেই জন্য সব জায়গায় সার্বিকভাবে ভোট কমেছে এবং হার হয়েছে।’’ পাল্টা সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘‘দুকোটি ৩৩ লক্ষ ভোট পেয়েছি আমরা। এক পার্সেন্টও ভোট কমেনি। বরং ভোট বেড়েছে। উনি সম্ভবত স্ট্যাটিটিক্সটা দেখেননি।’’

দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানান, ‘‘এবার সব জায়গায় আমি যাব। শুধু বর্ধমান বা মেদিনীপুর নয়, রাজ্য সভাপতি হিসেবে পুরো প্রদেশে ঘুরতাম। সব জায়গায় সমস্যার সমাধানে ছিলাম। জবাব দিতাম। আমার ভূমিকা থাকবে। পার্টি দায়িত্ব দিক আর না দিক, আমি যতদিন রাজনীতিতে থাকব, কর্মীদের সঙ্গেই থাকব।’ এ ব্যাপারে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য ‘দিলীপ দা আমাদের পার্টির নেতা। উনি যেকোনও জায়গায় যেতে পারেন অসুবিধা নেই। কিন্তু সেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করে গেলে ভালো হয়। পার্টির যারা নেতৃত্ব আছে, সবাইকে সব জায়গায় যেতে হবে। যাতে গোটা পশ্চিমবঙ্গটা আমরা কভার করতে পারি।’’