তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসায় দিলীপ৷

Dilip Ghosh: ‘হেস্তনেস্ত করে যাব!’ পথ আটকালেন তৃণমূলকর্মী, চরম হুঁশিয়ারি দিলীপের

মন্তেশ্বর: বুথ থেকে বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ কে ঘিরে তুমুল অশান্তি বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বরের তুল্য গ্রামে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ, ইট ছোড়া ও তাড়া করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মারমুখী তৃণমূল কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত একাধিক সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী, কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সূত্রের খবর, বিজেপির বুথ এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মন্তেশ্বরের শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের এই তুল্য গ্রামের একটি বুথে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি আসতেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এক কর্মীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মারধর করে  রক্তাক্ত করেছে। এরপরই ক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: বীরভূমে বুথের সামনেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হঠাৎ অঘটন! কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু

গো-ব্যাক, জয় বাংলা স্লোগানও দেওয়া হয় এই সময়। প্রার্থীকে ঘিরে রাখে বাহিনী। এ দিনের ঘটনায় দিলীপ ঘোষ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী কাউকে মারধর করেনি। তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্ষুব্ধ দিলীপ বলেন, গোটাটাই পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছে৷ মেরে আমাদের বুথ এজেন্টদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে৷ সেই খবর পেয়ে আমি এখানে এসেছি৷ পুলিশ দাঁড়িয়ে মজা দেখছিল৷ আমি এর হেস্তনেস্ত করে যাব৷

অন্যদিকে, ভোটারদের কারা টোটো করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে যাবে, তাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হল গলসিতে। আহত দুই তৃণমূল কর্মী।

দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভার গলসি ১ নং ব্লকের জাগুলি পাড়া গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আহত দুই টোটো চালক। একজনকে লাঠি, রড, পাথর দিয়ে ও অন্যজনকে লাঠি,ইট দিয়ে মারার অভিযোগ।

আহত টোটো চালক শেখ হাসমতের অভিযোগ, আমি রহমত মোল্লার সঙ্গে দল করি। টোটো করে ভোটারদের নিয়ে আসার সময় তাদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।অন্যদিকে আরেক আহত টোটোচালক আজিজুল শেখের দাবি, ‘আমি জাকির গোষ্ঠী করি।রহমতের লোকেরা আমাকে মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’