দিলীপ ঘোষ

Dilip Ghosh: ভোটারের প্রশ্নে আচমকা মেজাজ হারালেন দিলীপ ঘোষ…! কী এমন প্রশ্ন? জানুন সবটা!

বর্ধমান: ইলেকট্ররাল বন্ডের জন্য ওষুধের দাম বাড়ছে,আপনারা ইলেকট্ররাল বন্ড নিচ্ছেন তাই দাম বাড়ছে ওষুধের। চা-চক্রের মাঝে পেনশনভোগী প্রবীন ব্যক্তির ওষুধের মুল্যবৃদ্ধি ও কর্মস্থান নিয়ে প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন দিলীপ ঘোষ।

সোমবার বর্ধমান শহরের কালীবাজার এলাকায় চা-চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ।সেখানেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বর্ধমান শহরেরই শাঁখারীপুকুর এলাকার বাসিন্দা রিটায়ার্ড সরকারী কর্মচারী বিষ্টু সরকার ক্রমাগত ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করেন দিলীপ ঘোষকে। প্রশ্ন শুনতেই মেজাজ হারান দিলীপ ঘোষ।

প্রবীণ ভোটার বিষ্টু সরকার বলেন, “আমার তিন হাজার টাকার মতো ওষুধ লাগে,পেপারে দেখাচ্ছে আপনারা ইলেকট্রল বন্ড নিচ্ছেন তার জন্য ওষুধের দাম বাড়ছে,আমার তিন হাজার টাকার জায়গায় ৩৫০০ টাকা লাগছে।

আরও পড়ুন: কোটি কোটি মানুষের জন্য বড় খবর! ১লা মে থেকেই বাতিল হতে পারে কাদের কাদের রেশন কার্ড? জানুন জরুরি অপডেট!

দিলীপ ঘোষ বলেন “ওরা বলছে আপনি বিশ্বাস করেন, ওরাও নিয়েছে বন্ড, যারা বলছে। বিষ্টু সরকারের পাল্টা সওয়াল সিপিএমই তো মামলা করল, ওরা তো টাকা নেয়নি। ওরাও তো টাকা নিয়েছে। তাহলে মামলা করল কেন? তাহলে কি ফেক দেখাচ্ছে?”

বিষ্টু সরকার বলেন, “ওরা তো ব্যতিক্রম। দিলীপ ঘোষের উত্তর, “ব্যতিক্রম বলবেন না, আপনি কি বলছেন আমি বুঝে গিয়েছি। যারা টাকা খেয়ে হজম করেছে তারাই কমপ্লেন করছে। বিষ্টু সরকার বলেন, “অভিযোগ করা নয়, এটা আমার জীবনের অভিজ্ঞতা।”

আরও পড়ুন: মাইলের পর মাইল হেঁটেও কমছে না ওজন…? এই ভুলগুলো হচ্ছে না তো! ‘কখন’ হাঁটলে গলবে মেদ? জানুন ঠিক কোথায় গণ্ডগোল!

দিলীপ ঘোষ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ইলেক্টরাল বন্ড-এর সঙ্গে ওষুধের কি সম্পর্ক,মোদিজী জন-ঔষুধী দোকান দিয়েছে, সেখানে ৯০% ডিসকাউন্ট, সেখান থেকে ওষুধ কিনুন। আপনি খোঁজ রাখুন। বিষ্টু সরকারও দমেননি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “কোথায় ডিসকাউন্ট? আমরা তো কিনতে যাই আমাদের তো ১৫ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেয়।”

দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, “আপনার বয়স কত? তখন কত দাম ছিল?” বিষ্টু সরকার – ১৪ সালে এত দাম ছিল না।” দিলীপ ঘোষ এরপর উত্তরে বলেন, “যাঁরা চাকরি করছে, বেতন পাচ্ছে, তাদের জিজ্ঞাসা করুন।” উত্তরে প্রবীণ ভোটারের আবেদন, “আপনি একটু দেখুন।” উত্তরে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী বলেন, “সব দেখব। ফ্রিতে চাল পাচ্ছেন, ডাল পাচ্ছেন, গ্যাস পাচ্ছেন।”

বিষ্টু সরকার বলেন, “চাল ডাল আমরা চাই না। আমার মেয়েটা মাস্টার ডিগ্রি করে বসে আছে। কিছুদিন এম আর হিসাবে কিছু বেতন পেত, সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”এরপরেই কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ফ্রিতে ৮০ কোটি লোক চাল পাচ্ছে। অনেক দিয়েছেন আপনারা, আমি জানি আপনি কী বলতে চাইছেন, দেখলে বোঝা যায়। বাংলাকে শ্মশান করেছেন আপনারা। সব হবে না খেয়ে কেউ মরছে না দাদা।”