বর্ধমানে চা চক্রে দিলীপ ঘোষ৷

Dilip Ghosh: ‘ভোটের দিন সন্দেশখালিতে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না’, হুঁশিয়ারি দিলীপের

বর্ধমান: ভোটের দিন সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্ধমানে এমনই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

এ দিন প্রাতঃভ্রমণের পর চা চক্রে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন মহিলারা রাত জেগে জেগে পাহারা দিচ্ছে। নিজের বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন এবং ওখানকার ভোট পাহারা দিচ্ছেন। এতদিন ওখানে একতরফা ভোট হতো। শাহজাহান বলে দিত আর তাদের লোক দিয়ে ভোট দিয়ে আসতো। আজ শাজাহান নেই। তার ভাই এবং গুন্ডারা সব ধমকি দিচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। আর আপনারা দেখেছেন , মহিলাদের সঙ্গে কী অত্যাচার হয়েছে। রাতের বেলা তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পুলিশও মারছে মহিলাদের চুলের ঝুঁটি ধরে। ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। ওইসব আসলে ভোটগুলো লুট করার জন্য। কিন্তু আমি বলে দিচ্ছি, ভোটের দিন দেখবেন টিএমসিকে খুঁজে পাবেন না।লোকে ভোট দেবে। যেমন বাকি জায়গায় দিয়েছে। আর বিজেপি ওখান থেকে বিরাট লিড নেবে।’

আরও পড়ুন: ‘ভিটেহারা’ হবেন খোদ জেলাশাসক? বাংলো নিলামে তুলতে বলল আদালত, বর্ধমানে শোরগোল

বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে স্কুল পরিদর্শকদের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দেখুন কবে থেকে লুট শুরু হয়েছে, কারা কারা এই চুরির চাকরি পেয়েছেন সেটা তো নিশ্চিত নয়। তদন্ত তো অবশ্যই হওয়া উচিত। আর সিপিএমের আমলে দুর্নীতি হয়নি সেটা কেউ বলতে পারবে না। তখন এক একটা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি পয়সা নিয়ে চাকরি দিত।তিন লাখ চার লাখ দিয়ে চাকরি হয়ে যেত। ম্যানেজিং কমিটির ইন্টারভিউ নিতো,তারাই সিদ্ধান্ত নিত। স্কুল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড  বলে তিন চার লাখ টাকা নিয়ে নিতো। বহু লোক চাকরি পেয়েছেন তখন। এবার এসএসসি পরীক্ষার পরে যে ধরনের চুরি করা হয়েছে সেটা তথ্য প্রমাণ এসে গেছে। তদন্ত তো হওয়া উচিত।’

বিজেপি কি সরকার গড়তে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি বলছি বিজেপি নিয়ে ভাবার দরকার নেই। মোদি বলেছেন। লোক ভোট দিয়ে ৪০০ করে দেবেন। আপনাদের কত সিট থাকবে?  অনেক পার্টি গতবার উঠে গেছে। আপনারা হিসেব করে দেখুন। ২০১৯ সালের ব্রিগেড সমাবেশে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে ডেকেছিলেন। সব পার্টির নেতাদের।’মোদি হাটাও দেশ বাঁচাও’ বলেছিলেন। ওনার ১২ সিট কমেছিল। বাকি যারা এসেছিলেন তারা সংসদে পৌঁছতে পারেননি। সিপিএম পার্টির শূন্য হয়েছে। এখানে আর তাই কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকছে না। সারা দেশে কেউ ডাকেনি। যদি ইন্ডি জোট থাকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এত জনপ্রিয় নেত্রী। দু একটা রাজ্যে যেতে পারতেন। এখানে জোট হয়নি, কেন ডাকেনি? উনি যেখানে যাবেন সেখানে শুকিয়ে যাবে। অখিলেশ কোথায় আজকে? লালু প্রসাদের ছেলে, উদ্ধব ঠাকরে, যাদের মাথায় হাত দিয়েছে হয় তারা জেলের ভাত খাচ্ছেন না হলে অবসর নিয়ে নিয়েছেন।’