নবগ্রামের পাশে ইসিএলের খোলা মুখ খনি।

ECL Act: ইসিএল-এর ‘তুঘলকি’ আইনে গোটা গ্রাম হারিয়ে ফেলার ভয়!

পশ্চিম বর্ধমান: আস্ত একটা গ্রাম হারিয়ে ফেলার ভয় ঘিরে ধরেছে ওদের। গ্রামে সবকিছুই আছে। কিন্তু একটা ঘটনা যেন গোটা গ্রামটাকে নিস্তব্ধতায় ঢেকে দিয়েছে। দিশেহারা করে দিয়েছে গ্রামের আড়াই থেকে তিন হাজার পরিবারকে। গ্রামে স্কুল আছে, আছে শিশু শিক্ষাকেন্দ্র, আছে পঞ্চায়েত অফিস। কিন্তু আস্ত গ্রামটাই যে আর কতদিন থাকবে তা কেউ জানেন না।

পাণ্ডবেশ্বর খনি এলাকার নবগ্রামের অস্তিত্ব নিয়ে এমনই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই গ্রামে আড়াই থেকে তিন হাজার পরিবারের বসবাস। গ্রাম থেকে অল্প দূরত্বে রয়েছে ইসিএলের খোলা মুখ খনি। যা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রামের মানুষের কাছে। কারণ কয়লা খননের জন্য খনি এলাকা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিএল। আর তার জন্যই গ্রামে ঘনিয়ে এসেছে বিপদের আশঙ্কা। ইসিএলের সিদ্ধান্তে গ্রাম হারানোর ভয় পাচ্ছেন মানুষ।

আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার কৃষক করলেন অবাক কাণ্ড! নিজেই ভাবতে পারেননি

জানা গিয়েছে, খনি সম্প্রসারণের জন্য নবগ্রাম মৌজায় সিভি অ্যাক্ট লাগু করেছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। সিভি অ্যাক্ট অনুযায়ী যেখানে এই নিয়ম লাঘু করা হবে, সেই জায়গার জমি ক্রয় বা বিক্রয় করা যাবে না। ফলে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমির মালিকানা হারানোর ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় মানুষরা। ঘরবাড়ি, জমি-জায়গা সহ গোটা গ্রাম হারানোর ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন।

কয়লা উত্তোলক সংস্থার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রামে। ইসিএলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন নবগ্রামের মানুষ। তাঁরা বলছেন, এই বিষয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ আগে থেকে কোনওরকম তথ্য দেয়নি। আলোচনা করা হয়নি গ্রামবাসীদের সঙ্গে। কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে সংস্থার প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকার সমস্ত মানুষ। একইসঙ্গে প্রয়োজনে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

নয়ন ঘোষ