কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : কাজ করছিলেন পিএইচই’র পাম্প হাউসের অপারেটর পদে। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে যে এমন অন্ধকার নেমে আসবে, তা আঁচ করতে পারেননি তিনি। হঠাৎ করেই হয়েছেন কর্মহারা। তাকে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা, তার উত্তর নেই। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা দিলীপ কিসকু।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বনকাটি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেরবাড়ি গ্রাম। সেখানেই পিএইচই দফতরের একটি পাম্প হাউস রয়েছে। এই পাম্প হাউসে অপারেটর পদে কাজ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ কিসকু। ২০২২ সাল থেকে এখানে কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু গত ৫ জুন থেকে হঠাৎ করেই তাকে কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন দিলীপ। কিন্তু লাভ হয়নি।
অন্যদিকে এই বিষয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলছেন,”দিলীপ কিসকু কোন সূত্রে কাজে ঢুকেছিলেন, তা জানা নেই। এমনকি তার কাছে বৈধ কোনও নিয়োগপত্র নেই। যদি তার বৈধ নিয়োগপত্র থাকে, তাহলে তিনি শ্রম দফতরের কাছে যেতে পারেন। এছাড়াও এই নিয়োগের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের কোনও হাত থাকে না। নিয়োগ করে পিএইচই দফতর।”
অন্যদিকে এমন পরিস্থিতিতে রীতিমত বেকায়দায় পড়েছেন দিলীপ কিসকু। কাজ হারিয়ে তিনি কি করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না। প্রশাসনের সমস্ত স্তরে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। লিখিতভাবে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। কেন তাকে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে, সে বিষয়েও তিনি জানেন না। সবমিলিয়ে মহাসংকটে তার পরিবার।
নয়ন ঘোষ