মাথায় লাঠির আঘাত, নৃশংস খুন! এবার সাজা পেল অভিযুক্ত

Jhargram News: মাথায় লাঠির আঘাত, নৃশংস খুন! এবার সাজা পেল অভিযুক্ত

ঝাড়গ্রাম: লাঠি দিয়ে প্রতিবেশীকে নৃশংস খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রামের জেলা ও দায়রা আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম সুরেন নায়েক। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত বাঁশতলা গ্রামে। বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন ঝাড়গ্রামের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায়।

২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর দুপুর একটা নাগাদ প্রতিবেশী ধীরেন মাঝি জমি থেকে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় বাঁশতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ধীরেনের পথ আটকায় সুরেন নায়েক। তারপর উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন লাঠি দিয়ে ধীরেনের মাথায় আঘাত করে সুরেন।

আরও পড়ুন: বুধ, সূর্য, শুক্র, কেতু, ৪ বড় গ্রহের স্থান পরিবর্তন! সেপ্টেম্বরেই ঘরে টাকাপয়সা উপচে পড়বে ৪ রাশির, সোনায় সোহাগা জীবন

ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ধীরেন। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা ধীরেনের পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা এসে ধীরেন মাঝিকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম গভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনার দিন বিকেল ঝাড়গ্রাম থানায় ধীরেনের ছেলে বুদ্ধেশ্বর মাঝি সুরেন নায়েকের বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের ধারায় মামলা রুজু করে। সুরেন নায়েক গ্রেফতারেরপর থেকেই ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। ঝাড়গ্রাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর নীলু মণ্ডল মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করে ২০২৩ সালের ১২ মার্চ আদালতে চার্জশিট জমা করেন।

তারপর মামলার চার্জফ্রেম গঠিত হয়। ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মৃতের ছেলে, প্রতিবেশী, পুলিশ ও চিকিৎসক-সহ মোট ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে জেলা আদালত। গতকাল বুধবার সুরেন নায়েককে দোষী সাব্যস্ত করেন ঝাড়গ্রামের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: আর ভুল নয়, সকালে খালি পেটে ঠান্ডা জল নাকি গরম জল, কোনটা খাওয়া উচিত? ওজন কমাতে এখনই জানুন

ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত রায় বলেন, “ঝাড়গ্রামের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায় আসামী সুরেন নায়েককে খুনের ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। অনাদায়ে আরওছয় মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন”।

বুদ্ধদেব বেরা