উত্তরবঙ্গ, কোচবিহার, জ্যোতিষকাহন Diwali 2024: দীপাবলিতে কড়াকড়ি কোন সময়ে ও কোন নিয়ম মেনে ফাটানো যাবে বাজি? জেনে নিন Gallery October 28, 2024 Bangla Digital Desk দীপাবলির আলোর উৎসব আতসবাজি ছাড়া অসম্পূর্ণ। তাইতো দীপাবলির আলোর উৎসবে বহু মানুষকে দেখতে পাওয়া যায় রকমারি আতসবাজি কিনতে। এবং দীপাবলির দিনে গভীর রাত পর্যন্ত চলে আতসবাজি পোড়ানো। তবে এই সকল আতসবাজি পোড়ানোর বিষয় নিয়ে রয়েছে একটি বিশেষ নিয়ম। রয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা যার মধ্যে পোড়ানো উচিত এই সমস্ত আতসবাজি। মহামান্য উচ্চ আদালত ২০২২ সালে এই নির্দেশিকা দিয়েছেন দীপাবলির আতসবাজি পোড়ানোর বিষয় নিয়ে। যদি কোন ব্যক্তি এই বিষয়ে না মানেন তবে সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে হতে পারে পুলিশি পদক্ষেপ। কোচবিহারের এক আতসবাজি বিক্রেতা পারিজাত দে জানান, “বাজি বিক্রির সময় বেশিরভাগ ক্রেতাদের সচেতন করে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় প্রত্যেক দোকানদার এর পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হচ্ছে ক্রেতাদের। নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে বাজি পোড়ানোর। এই সময় হল রাত আটটা থেকে শুরু করে দশটা পর্যন্ত। মহামান্য উচ্চ আদালত এই সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তাই এই সময়সীমার মধ্যেই বাজি পোড়ানো উচিত। না হলে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে সেই ব্যক্তিকে। জেলা পুলিশ সব সময় তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। কেউ নিয়ম না মানলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হতে পারে আইনি পদক্ষেপ।” বাজারে বাজি কিনতে আসা এক ক্রেতা সুভাষ চন্দ্র বর্মন জানান, “এই নিয়ম সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ সঠিকভাবে জানেন না। তবে জেলা পুলিশের এবং বাজি বিক্রেতাদের জন্য বিষয়টি অনেকে এরূপ বোধগম্য রয়েছে। তাইতো মানুষ বর্তমান সময়ে ধীরে ধীরে অনেকটাই সচেতন হয়ে উঠছে।” কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মীনা জানান, “বাজি কেনার সময় এবং পোড়ানোর সময় অবশ্যই সবুজ বাজি দেখে নেওয়া উচিত। তবে এখানেই শেষ নয়, বাজি পোড়ানো নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যেই বাজি নোপোড়ানো শেষ করতে হবে। নাহলে পুলিশি পদক্ষেপ হতে পারে।” তবে একাধিক প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অনেকটাই সচেতন করা সম্ভব হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত যেভাবে দীপাবলির রাতে গভীর রাত পর্যন্ত আতসবাজির আওয়াজ পাওয়া যেত। বর্তমান সময় সেই বিষয়টিকে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে অনেকটাই। ধীরে ধীরে আরোও অনেকটাই সচেতন হয়ে উঠবে সাধারণ মানুষ। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দীপাবলির আনন্দ উৎসবের মেতে উঠুক সকলে।