কলকাতা: এসি একবার ইনস্টল করলেই কী আজীবন নিশ্চিন্তে থাকা যায়? একদমই না। সম্প্রতি দিল্লিতে এসির আউটডোর ইউনিট মাথায় পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে জীতেশ নামের ১৮ বছরের এক যুবকের। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি দোতলা বাড়ির সামনে স্কুটারে বসে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন জীতেশ। আচমকাই মাথায় এসে পড়ে এসির আউটডোর ইউনিট। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তাঁর বন্ধু প্রাণশু। আসলে এসি ইনস্টলেশনের সময় এই ৫ ভুল করেন অনেকেই। তার মূল্য চোকাতে হয় জীবন দিয়ে।
আরও পড়ুন- জয় শাহ আইসিসি চেয়ারম্যান! বিসিসিআই-এর মসনদে তা হলে এবার কে? শোনা যাচ্ছে বড় নাম
ভুল মাপের এসি ইউনিট: বিভিন্ন আকারের এসি হয়। আকারের উপর নির্ভর করে কর্মক্ষমতা। টন বা টনেজ এয়ার কন্ডিশনারের শীতল করার ক্ষমতা বোঝায়। এখন ডাক্টলেস মিনি স্প্লিট সিস্টেম বা ভুল আকারের সেন্ট্রাল এসি ইনস্টল করলে তাঁর অনিবার্য পরিণতিো ভুগতে হবে। ছোট ঘরে বড় এসি ইউনিট বা বড় ঘরে ছোট এসি ইউনিট, একইরকম ক্ষতিকর।
ভুল জায়গায় এসি ইনস্টল: ছায়া রয়েছে এমন জায়গাতেই এসির আউটডোর ইউনিট ইনস্টল করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দেখে নিতে হয়, বায়ু চলাচলে যেন কোনওরকম বাধা না পায়। ইন্ডোর ইউনিটের জন্যো সঠিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। বিছানা বা সোফার উপরে লাগানো একদমই উচিত নয়। মাথায় রাখতে হবে এসি ইউনিট এবং মেঝে বা আসবাবের দূরত্ব কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার হওয়া উচিত।
থার্মোস্ট্যাটের ভুল: হিটিং বা কুলিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের জন্য থার্মোস্ট্যাটের ডিজাইন করা হয়েছে। থার্মোস্ট্যাটের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে, সঠিক জায়গায় ইনস্টল করা গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে এসির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। খেয়াল রাখতে হবে, সরাসরি সূর্যের আলো যেন থার্মোস্ট্যাটে না লাগে।
আরও পড়ুন- ভারতের জার্সিতে খেলা ক্রিকেটারের ছেলে এবার খেলছেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে
লিক চেক ছাড়া ইনস্টলেশন: অনেকেই এসি ইন্সটল করে ছেড়ে দেন। রেফ্রিজারেন্টে লিক আছে কি না দেখেন না। কিন্তু ইনস্টলেশনের পর রেফ্রিজারেন্ট স্তর অবিলম্বে চেক করা আবশ্যক। নাহলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
ড্রেনেজ সিস্টেম: এসি ইউনিট যখন কুলিং বা হিটিং মোডে কাজ করে তখন অভ্যন্তরীন বা বাহ্যিক হিট এক্সচেঞ্জারে আর্দ্রতা ঘনীভূত হয়। এই আর্দ্রতা যদি সঠিকভাবে ফিল্টার করা না হয় তাহলে বাড়ি বা দেওয়ালের ক্ষতি হয়।