ঐতিহাসিক জেলা পরিষদ ভবন

West Medinipur News: সেপ্টেম্বরের বদলা পরের বছর এপ্রিলে, মেদিনীপুর শহরের লাল ভবনকে ঘিরে নানা অজানা কাহিনী!  

পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুর শহরের আনাচে কানাচে রয়েছে নানা ইতিহাস। যে ইতিহাস পরাধীন থেকে স্বাধীন ভারতের ক্রম বিবর্তনের সাক্ষ্য বহন করে চলে। তেমনই জেলার সদর শহরে অবস্থিত ব্রিটিশ সময়ের লাল ভবন এখনও সেদিনের স্মৃতি এবং বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন হিসেবে নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছে।

ব্রিটিশ সময়কালে জেলা শাসন করবার জন্য অবিভক্ত মেদিনীপুর শহরে ভবন স্থাপন করে ইংরেজরা। পরাধীন ভারতে তখন ম্যাজিস্ট্রেট ভবন থেকে প্রশাসনিক নানা কাজ সম্পন্ন করতেন ইংরেজ শাসকেরা। তবে ইংরেজদের এই পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্তি পেয়েছে ভারতবর্ষ। যে ভবন ইংরেজদের ম্যাজিস্ট্রেট ভবন ছিল বর্তমানে সেই লাল ভবন পরিণত হয়েছে জেলা পরিষদ ভবনে। এই লাল বাড়ির আনাচে-কানাচে রয়েছে বিপ্লবের নানা ইতিহাস।

  আরও পড়ুন- MBBS পড়ার স্বপ্ন? কোন দেশ থেকে ডিগ্রি নিলে মাইনে হবে ২ কোটি টাকা? ভীষণ সহজ!

মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত তৎকালীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন লাল ভবন। বর্তমানে এই ভবন থেকে জেলা পরিষদের অফিস চলে। ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই ভবন। বারংবার এই স্মৃতি বিজড়িত লাল ভবনকে হেরিটেজ ঘোষণা দাবি তুলেছে মেদিনীপুরের মানুষ। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার আগে ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ সরকারের আধিকারিকদের বৈঠক চলাকালীন এই জেলা পরিষদ ভবনে বিপ্লবীরা গুলি করে হত্যা করেছিলেন অত্যাচারী জেলাশাসক ডগলাসকে। নেতৃত্বে ছিলেন বাংলা দুই বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য এবং প্রভাংশু পাল।জেলাশাসককে হত্যার দায়ে ১৯৩৩ সালে ফাঁসি হয় প্রদ্যোতের।

তবে বিপ্লবীদের ভয়ে আর কোনও ইংরেজ শাসক জেলাশাসক হয়ে আসতে চাননি মেদিনীপুরে। ইংরেজ সরকারের স্থাপন করা সেই ভবন এখন জেলা পরিষদের বিশাল ভবন। ইতিহাসবিদ অখিলবন্ধু মহাপাত্র বলেন, ১৯৩১ এর সেপ্টেম্বর মাসে অত্যাচার চালিয়েছিলেন অত্যাচারী শাসক ডগলাস। তারই প্রতিশোধ নিতে পরের বছর এপ্রিলে হামলা চালায় দুই বীর বিপ্লবী। সেদিনের সেই ব্রিটিশ লাল বিল্ডিং এখন প্রশাসনিক কার্যালয়। একইভাবে জেলা প্রশাসনে তরফে সংরক্ষণ করা হয়েছে ব্রিটিশ সময়ে তৈরি এই প্রশাসনিক ভবনকে। ভবনের সামনে রয়েছে বিপ্লবীদের মূর্তি। বিপ্লবীদের সেই অমর ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে জেলা পরিষদ ভবনে।

আরও পড়ুন- রণবীর প্রথম উপার্জনের টাকা এনে রেখেছিলেন নীতুর পায়ে… কত ছিল সেই অঙ্ক? জানলে চমকে যাবেন

জেলা পরিষদ ভবনকে হেরিটেজ করার দাবি তুলেছেন সকলে। ইতিহাসের সাক্ষ্য বয়ে চলা পুরানো সেই লাল ভবনকে হেরিটেজ করার দাবি এবং পুরানো দিনের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করে মিউজিয়াম করার দাবি তুলেছেন প্রত্যেকে।যাতে পরবর্তী প্রজন্ম জেলার বিপ্লবীদের কৃতিত্ব সহজে জানতে পারে এবং জেলার গৌরবকে আরও ছড়িয়ে দিতে পারে দেশ-বিদেশে, তার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

রঞ্জন চন্দ