ভয়ঙ্কর অবস্থা!

Dooars: বর্ষায় ডুয়ার্সে ভয়ঙ্কর আতঙ্ক! বেডরুম-বাথরুমেও হানা দিচ্ছে ‘ওরা’! মৃত্যুর হাতছানি

রকি চৌধূরী, ধূপগুড়ি: বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। সাপের কামড়ে অসুস্থ ৫, শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার ৮ টি বিষধর সাপ। ভর্তি করা হয়েছে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে। সাপের আতঙ্ক আতঙ্কিত ডুয়ার্স বাসী।

একটানা বৃষ্টির কারণে ডুয়ার্সে জলমগ্ন হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। চাষের ক্ষেত সমস্তটাই জলমগ্ন। এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ জায়গার খোঁজে ঘরের ভেতরে, গোডাউনে, উঁচু জায়গায় ঢুকে পড়ছে সাপ। আর অসাবধানতায় সাপের কামড়ে অসুস্থ হলেন ৫ জন। কাজীপাড়ার বাসিন্দা রমেশ চৌধুরী, মোকসেদুল মোমিন কদমতলার বাসিন্দা, কার্তিক বর্মন ঝাড়শাল বাড়ির বাসিন্দা, অখিল বর্মন মোরঙ্গাবাজার এলাকার বাসিন্দা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, একজনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আর এই কারণেই আতঙ্কিত শহরবাসী। ধূপগুড়ি শহর থেকে গত দু দিনে উদ্ধার হয়েছে ৮টি বিষধর সাপ। কারও শোওয়ার ঘরে তো, কারও রান্নাঘরে আবার কারও বাথরুমে ঢুকে পড়ছে বিষাক্ত সাপ।

আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকা ক্ষতি পাহাড়ে, তিস্তার গ্রাসে এবার জাতীয় সড়ক! পাহাড়ে যাওয়া এখন কতটা নিরাপদ?

সর্প বিশারদদের মতে, বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়, কারণ সাপের বাসস্থান মূলত ইঁদুরের গর্ত সে সমস্ত গর্তে জল জমে যাওয়ায় নিরাপদ জায়গার খোঁজে গোডাউনে অথবা উঁচু জায়গায় চলে যায় সাপ। তাই এই সময় সাপে কামড়ের রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই সতর্কতা অবলম্বনে পরামর্শ দিচ্ছেন সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধূরী।

গত দুদিনের ধূপগুড়ি শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড, ৬ নম্বর ওয়ার্ড, ৭ নম্বর ওয়ার্ড, ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে উদ্ধার হয়েছে বিষধর সাপ এছাড়াও গ্রামীণ এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিষধর গোখরো, শাখামুটি, কালাচ।

আর এদিকে সাপের কামড়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের। ধূপগুড়ি শহরে সাপে কামড়ে পাঁচজন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। গোটা জেলায় সংখ্যাটা দ্বিগুন থেকে তিনগুন হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর প্রায় প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি করে সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে আসছে ।