উত্তর দিনাজপুর:পুজোয় উপহার দিতে গিয়ে সব টাকা খরচ করে ফেলার কিন্তু কোনও মানে হয় না। মনে রাখবেন আপনার খারাপ সময়ের জন্য সঞ্চয়টাও জরুরি। কাজেই চেষ্টা করুন নিজের বাজেট বুঝে উপহার দিতে।
মনোবিদ প্রিয়াঙ্কা দাস জানান, পুজোতে সবাইকে উপহার দেওয়া মুখের কথা নয়। তবে উপহার দিতে গিয়ে নিজের সব উজার করে দেওয়ার মানে হয় না। এক্ষেত্রে আপনার বাজেট অনুযায়ী প্রথমে ভাগ করে নিন কাকে কত টাকার মধ্যে উপহার দেবেন।
মা বাবাকে কী দেবেন? পুজোর আগে নিজের রোজগারে বাবা-মাকে কিছু দিলে নিজের ভালো লাগে। আর তা যদি নিজের প্রথম উপার্জন হয়, তাহলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। পুজোয় মায়ের জন্য সুন্দর একটা শাড়ি কিনতে পারেন। বাবার জন্য পাজামা-পাঞ্জাবি। অনলাইন কিংবা পাইকারি মার্কেট থেকে কিনলে দাম কম হতে পারে।
প্রেমিক বা প্রেমিকাকে কী উপহার দেবেন ? আবেগে ভেসে পকেটের স্বাস্থ্যের কথা ভুলে গেলে চলবে না মোটেও । পকেটের হাল বেহাল থাকলে ৫০০ টাকার মধ্যে শাড়ি বা পোশাক দিতে পারেন। সঙ্গে সুন্দর জাংক জুয়েলারি। আর ১০০০ টাকা বাজেট থাকলে মুক্তোর দুল বা সুন্দর স্মার্ট ওয়াচ ঘড়ি হয়ে যাবে।
মাসিমা বা কাকিমাদের উপহারে কী দেবেন? সবাইকে শাড়ি দিতে হবে তার কোনও মানে নেই। আপনার পরিচিত মানুষটি যদি ঘর সাজাতে ভালবাসেন, তা হলে দিতে পারেন ঘর সাজানোর সামগ্রী। মোমবাতি, ফুলদানি বা দেওয়ালে ঝোলানোর জিনিস বা শো-পিস ভাল উপহার হতে পারে। টেরাকোটা বা ঢোকরার ঘর সাজানোর জিনিস ভাল উপহার।
ভাইঝি বা ভাইপোকে কী দেবেন? যদি সে বইপ্রেমী হয়, তা হলে দিতে পারেন বই বা পছন্দের কোনও গ্যাজেট বা তার পছন্দের পোশাক।
শ্বশুর-শাশুড়িকে কী দেবেন? বেশি পরীক্ষনীরিক্ষা না করাই ভাল। চিরাচরিত রীতি মেনে শাশুড়িকে দিতে পারেন সুন্দর একটি শাড়ি। শ্বশুরকে দিতে পারেন ভাল পাজামা-পাঞ্জাবি বা ধুতি পাঞ্জাবি।
পিয়া গুপ্তা