মাইথন থেকে জল ছাড়া হচ্ছে 

চিন্তা বাড়াল ডিভিসি, মাইথন থেকে ছাড়া হল ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক জল

পশ্চিম বর্ধমান : দক্ষিণবঙ্গে সোমবার রাতের পর থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে আবহাওয়ার। কমেছে বৃষ্টির পরিমাণ। কিন্তু চিন্তা বাড়িয়েছে ডিভিসি।

বৃষ্টিপাত কমলেও হুহু করে জল ছাড়া হচ্ছে দামোদরের জলাধারগুলি থেকে। মঙ্গলবার মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। সকাল ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র মাইথন জলাধার থেকেই ১ লক্ষ ৭০ হাজার জল ছাড়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- সমুদ্রে দুর্যোগ, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ… নিখোঁজ ৩ ট্রলার ফিরল ৪ দিন পর!

মাইথন জলাধারের সঙ্গে চিন্তা বাড়িয়েছে পাঞ্চেত জলাধার। মঙ্গলবার পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। উল্লেখ্য, সোমবার বেলার পর থেকেই ধীরে ধীরে এই জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছিল।

মঙ্গলবার জল ছাড়ার সেই মাত্রা রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে সকলের মনে। মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ার ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজে যে আরও ভয়ানক নেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এমনিতেই বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৮৪৫৫০ কিউসেক।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বেড়েছে। তারওপর মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জল দুর্গাপুর ব্যারেজে এসে পৌঁছলে, সেই মাত্রা আরও বাড়বে। ফলে দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় প্লাবনের আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে।

আরও পড়ুন- লোকাল ট্রেনে বিশ্বকর্মা পুজো, নিত্যযাত্রীদের স্লোগানেও কেবলই বিচারের দাবি!

প্রসঙ্গত, বিগত তিন দিনের টানা বৃষ্টিপাতে আসানসোল, দুর্গাপুরের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য বহু কৃষি জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। তার ওপর যেভাবে দামোদরে জলস্তর বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন মানুষ।

বিশেষ করে পুজোর মুখে কৃষকরা ধান জমে ডুবে গেলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যদিকে উৎসবের মরশুমে দামোদরের ভয়ংকর রূপ দেখে চিন্তিত সকলে।

নয়ন ঘোষ