সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে সঞ্জীব খান্নার নাম সুপারিশ করলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সিজেআই অফিস সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেবেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তাতেই তিনি উত্তরসূরী হিসাবে সঞ্জীব খান্নার নাম সুপারিশ করেছেন।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ১০ নভেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ৬৫ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, অবসরের আগে উত্তরসূরীর নাম সুপারিশ করেন প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্র সেই নামে অনুমোদন দিলে তিনি পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হন।কেন্দ্রের অনুমোদনের পর, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ভারতের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হবেন। ২০২৫ সালের ১৩ মে অবসর নেওয়ার কথা তাঁর। সেই হিসাবে ৬ মাস প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পরিচয়: বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় বর্ষীয়াণ বিচারপতি। তিনি ১৮৯৩ সালে দিল্লির বার কাউন্সিলের একজন অ্যাডভোকেট হিসাবে নথিভুক্ত হন এবং নয়া দিল্লির তিস হাজারি কমপ্লেক্সে জেলা আদালতে প্র্যাকটিস শুরু করেন। পরবর্তীকালে দিল্লি হাইকোর্ট এবং ট্রাউব্যুনালে সাংবিধানিক আইন, প্রত্যক্ষ কর, সালিসি, বাণিজ্য আইন, কোম্পানি আইন, জমি আইন, পরিবেশ আইন ও চিকিৎসা অবহেলার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওকালতি করেছেন তিনি।দীর্ঘ মেয়াদে আয়কর বিভাগের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ২০০৪ সালে তিনি দেশের রাজধানী দিল্লির স্থায়ী কাউন্সিল (সিভিল) হিসাবে নিযুক্ত হন। দিল্লি হাইকোর্টে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এবং একজন অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় সওয়াল-জবাব করেছেন।২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে যোগ দেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ২০০৬ সালে তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। এরপর তিনি ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন।২০২৩ সালের ১৭ জুন থেকে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য।
