হাতি

Jalpaiguri News: ইলেকট্রিক ফেন্সিংয়ে বিরক্ত হাতির দল! রাগে হামলা গ্রামে! অভি‌যোগ গ্রামবাসীদের

জলপাইগুড়ি: সন্ধ্যে হতেই নিঃস্তব্ধতা নেমে আসে এই গ্রামে! ভয়ে কাঁটা হয়ে প্রতিটা রাত কাটাতে হয় গ্রামবাসীদের। ভয় একটাই! এই বুঝি হাতির পাল এসে তছনছ করে দিল সব, কিংবা এই বুঝি প্রাণ হারাতে হয় হাতির আক্রমণে। এভাবেই ভয়ে আতঙ্কে দিন গুজরান জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চল লাগোয়া মরোঙ্গা ঝোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের।অন্ধকার নামলেই কান পাতলে দূর থেকে ভেসে আসে সদ্য মাতৃ হারা খোকনের কান্নার আওয়াজ।

হাতির ক্রোধে পড়েমাতৃ হারা হয়েছে খোকন। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?মূলত, ইলেকট্রিক ফেন্সিং ক্ষেপিয়ে তুলছে হস্তি কুলকে। এমনই অভিমত প্রবীণ বন বন্ধুর। উত্তরের বিশেষত জলপাইগুড়ি জেলায় বন্য প্রাণ ও মানুষের সংঘাত এড়াতে বন বিভাগের আধুনিক ব্যবস্থাকেই কার্যত দায়ী করলেন বৈকুণ্ঠ পূর বনাঞ্চল লাগোয়া মোরঙ্গা ঝোরা গ্রামের প্রবীণ নাগরীক তথা দীর্ঘ ১৮ বছর ফরেস্ট প্রটেকশন কমিটির সদস্য থাকা কালু রায়।

আরও পড়ুন:বাজারে হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে মুরগির মাংসের দাম! মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ, কেন বাড়ছে দাম? 

তিনি বলেন, আগে জঙ্গল আর জনপদের মাঝে ছিল এলিফেন্ট ট্রেনজ বা গভীর নালা। কিন্তু যেদিন থেকে হাতির চলাচল আটকাতে লাগানো হল ইলেকট্রিক ফেন্সিং সেই থেকেই বেড়ে গেল হাতির ক্রোধ। বিদ্যুতের শক লাগার পরেই ক্ষেপে যায় হস্তিকূল, হানা দেয় গ্রামে। জঙ্গলে খাদ্য ও পানীয় জলের অভাবে বনাঞ্চল লাগোয়া জনপদ মুখী হচ্ছে হাতি সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণ। এই কারণেই বাড়ছে সংঘাত। সম্প্রতি এই অঞ্চলের হাতির মুখোমুখি হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর পঁচিশের বিউটি রায়ের। মাতৃ হারা হয়েছে দুধের শিশু খোকন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুরজিৎ দে