পুরুলিয়া : পুরুলিয়া শিল্প সংস্কৃতির আঙ্গিনাকে সমৃদ্ধ করে ছৌ। এই ছৌ-এর কারণেই জেলার নাম দেশে-বিদেশে সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়া জেলার ছৌ নৃত্য ও ছৌ মুখোশ শিল্প এখন জগৎ বিখ্যাত। এই ছৌ-এর টানে দুর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন লাল মাটির এই জেলাতে। সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে জেলা পুরুলিয়ায়।
পুজোয় মরশুমে পর্যটকদের ভিড় বেশ খানিকটা বেড়ে যায় পুরুলিয়ায়। প্রতিবছরই দুর্গাপুজোর এই সময় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে অযোধ্যা পাহাড়ে। অযোধ্যা বেড়াতে আসলে পর্যটকের একবার হলেও ঢু মেরে যান মুখোশ গ্রাম থেকে। তবে এবছর দুর্গাপুজোর চিত্রটা অনেকটাই অন্যরকম। এবছর পুজোর মরশুমেও অযোধ্যা পাহাড়ের দেখা নেই পর্যটকদের। সেই কারণে মুখোশের বিক্রিতেও অনেকটাই ভাটা পড়েছে। তাই এই সময় ভিন জেলায় পাড়ি দিচ্ছেন মুখোশ শিল্পীরা।
এ বিষয়ে ছৌ মুখোশ শিল্পীরা বলেন , বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই কম রয়েছে। সেভাবে মুখোশ বিক্রি হচ্ছে না। পর্যটক কম থাকার কারণে অনেকেই ভিন জেলায় পুজোর কাজে চলে গিয়েছে। বিকল্প রোজগারের আশাতেই অন্যত্র চলে যেতে হচ্ছে শিল্পীদের। তারাও আশায় রয়েছেন যদি পুজোর দিনগুলোতে সামান্য বিক্রি বাড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে দুই বঙ্গে ক’দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা! তবে পুজোতে আবহাওয়ার বিরাট খেল
পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌ- মুখোশ নজর কেড়েছে দেশে-বিদেশের সকল স্তরের মানুষদের। এই মুখোশের জন্যই বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাল মাটির এই জেলার। বিখ্যাত ছৌ মুখোশ শিল্পী গম্ভীর সিং মুড়ার জন্ম ভিটেও এই মুখোশ গ্রাম চড়িদাতে। তাই এই গ্রাম মুখোশের আঁতুঘর বলাই যায়। উৎসবের মরশুমেও এই গ্রামের শিল্পীদের মুখে হাসি নেই। পর্যটকদের আগমনের আশায় মুখিয়ে রয়েছেন শিল্পীরা।