Tag Archives: পুরুলিয়া

Purulia News: করম উৎসবের সুচনা জেলায় জেলায়, আনন্দে মেতেছে জঙ্গলমহলবাসী

পুরুলিয়া: জঙ্গলমহলের অন্যতম প্রধান উৎসব করম। নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব পালিত হয়। এই পুজোর সূচনার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের মহিলারা মেতে ওঠেন জাওয়া গানে। এ বিষয়ে ব্রতীরা বলেন , প্রতিবছর ভাদ্র মাসের একাদশীর দিন থেকে শুরু হয় এই করম পরব। জঙ্গলমহল বাসীদের কাছে অন্যতম পরব এটি। কেউ তিন দিন কেউ বা পাঁচদিন ধরে এই পরব পালন করে থাকে। এটা মূলত কৃষি সম্প্রদায়ের পরম্পরাগত ও ঐতিহ্যবাহী পুজো। জমিতে ভালো ফসল ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় এই পুজো করেন তারা।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের ৭ জেলায় ভয়ঙ্কর হড়পা বানের আশঙ্কা! সতর্ক করল হাওয়া অফিস

এই করমের দিন থেকে গ্রামের মহিলারা সংলগ্ন নদীর থেকে বালি তুলে এনে বাড়ি তুলসী মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে করম গান গেয়ে পুজোকরেন ব্রতীরা। পাতা ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়পুজোর স্থানগুলি। যে সমস্ত ভক্ত পুজোয় অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা স্নান করেন, সন্ধ্যায় নতুন পোশাক পরে পুজোয় যোগ দেন। যুবকরা করম ডাল কেটে সন্ধ্যায় নিয়ে আসেন। তিন দিন বা পাঁচ দিন ব্যাপী চলে এই পুজো।

আরও পড়ুন: ৭০ কিমি বেগে ঝড়, সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে উত্তাল হবে গোটা দক্ষিণবঙ্গ! রেহাই নেই উত্তরবঙ্গেরও

পরিবারের আয় উন্নতির কথা ভেবেই ব্রতীরা এই পুজো করে থাকেন। ‌ এই করমপুজো বংশ পরম্পরায় পালন করে আসছেন পুরুলিয়া জেলার মানুষ।করম পুজো হলসৃষ্টির উৎসব। সারা বছর এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভালো ফলনের আশায় এই পুজো করে থাকেন।

গ্রাম বাংলার প্রচলিত পার্বণ হলকরম পরব বা করমপুজো। ২০২৩ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করম উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন। তারপর থেকেই এই দিনে পূর্ণাঙ্গ ছুটি থাকে রাজ্যে।

Rain forecast: পুরুলিয়া-সহ তিন জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি, কী পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে?

পুরুলিয়া : দক্ষিণের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় সারাদিন ধরে বৃষ্টি চলছে। সকাল থেকে রাত অবধি চলেছে বর্ষণ। টানা বৃষ্টি চলছে জেলায়। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বর্ষণ হতে পারে জেলা পুরুলিয়ায়।

ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এই দিন পুরুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে। টানা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। আবহাওয়া দফতর থেকে সতর্কতা জারি করায় কিছুটা হলেও আতঙ্কে রয়েছেন জেলার মানুষ। আগামী এক থেকে দু’-দিন আবহাওয়া এই রকমই থাকবে।

আরও পড়ুুন: এক কামড়েই ‘ছবি’! বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত গাছ, বিষক্রিয়ায় হার মানবে অনেক সাপও

দক্ষিণের জেলাগুলির মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তিন জেলায়। ‌শুধুমাত্র পুরুলিয়া, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ ১২টি জেলার অধিকাংশ জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

উত্তরের জেলাগুলিতে আপাতত বহাল রয়েছে বৃষ্টি। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কমেছে উত্তরে। ‌টানা ভারী বৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে না উত্তরের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং, কালিম্পং , জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড় বৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: নাক দিয়ে নয়, সাপ শরীরের কোন অঙ্গ নিয়ে গন্ধ পায় জানেন?

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিন জেলায়।

Purulia News: স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে পুরুলিয়াবাসীর, আর প্লেনে চড়ার জন্য দূরে যেতে হবে না

পুরুলিয়া : অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে পুরুলিয়ার মানুষের। বিমান ধরতে আর দূরে কোথাও যেতে হবে না। নিজের জেলা থেকেই পুরুলিয়ার মানুষ এবার চড়তে পারবেন বিমানে। ‌ পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ছড়রাতে তৈরি হতে চলেছে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জরুরী পরিস্থিতিতে বিমান ওঠানামার জন্য পুরুলিয়া মফস্সল থানার ছড়রাতে এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া সেই রানওয়ে অর্থাৎ এয়ারস্ট্রিপকে অত্যাধুনিক বিমান বন্দরে রূপান্তরিত করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: গম্ভীর-ঘনিষ্ঠ হলেই ভারতীয় দলে সুযোগ? শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছেন KKR-এর আরও দুই সতীর্থ

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার, রাইটস সংস্থা এবং ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা রানওয়ে এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। খতিয়ে দেখেছেন ম্যাপ। জমি পরিদর্শনের পাশাপাশি মাটি পরীক্ষা করে দেখেছেন আধিকারিকরা। বিমানবন্দর তৈরির ডিপিআর তৈরি করে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিপূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন পুরুলিয়ায় এয়ারপোর্ট তৈরি হবে। সেই কাজ ধীরে ধীরে এগোচ্ছে”।

আরও পড়ুন: সব প্রস্তুতি ঠিকঠাক তো? ধর্মতলায় হাজির হয়ে দেখে নিলেন মমতা

এয়ারপোর্ট তৈরি হলে এখানকার ব্যবসায়ীরা অনেকখানি উপকৃত হবেন। জেলার সার্বিক বিকাশ ঘটবে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার মানস গোস্বামী বলেন, “সরকারিভাবে এই এলাকায় সয়েল টেস্ট করা হচ্ছে। এর সার্ভে রিপোর্ট রাইটসের কাছে পাঠানো হবে। এয়ারপোর্ট তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন তার একটি গ্রাফ দেওয়া হবে। তারপরে এয়ারপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হবে”।

পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর তৈরি হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটবে বলে মনে করছেন জেলার বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরটি ১৭২২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৫০ মিটার প্রস্থযুক্ত হবে। এখানে বিমানবন্দর তৈরি হলে যাতায়াতের সুবিধা যেমন বাড়বে তেমনই আর্থসামাজিক ক্ষেত্রেও উন্নতি হতে পারে বলে মনে করছে জেলার মানুষ।