Tag Archives: National Flag

Bird Helps To Hoist National Flag: পাখি এসে খুলে দিল আটকে থাকা তেরঙ্গা! পুষ্পবৃষ্টি, ভাইরাল ভিডিও স্বাধীনতা দিবসের

কেরল: পতাকা খুলছিল না। পাখি এসে দড়ি খুলতেই উড়ল তেরঙ্গা, পুষ্পবৃষ্টি নীচে দাঁড়িয়ে থাকা বাসিন্দাদের উপর। সেই দৃশ্য দেখে ধন্য ধন্য করছে নেটদুনিয়া। ঠিক যেন গল্প!

৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে কেরালার এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, একটি পাখি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে সাহায্য করছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় বাসিন্দারা পতাকা উত্তোলন করছেন এবং জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন।

পতাকা উত্তোলনের সময় প্রাথমিকভাবে, মনে হয়েছিল যে পতাকাটি উপরে উঠে আটকে গিয়েছে। কিন্তু তখনই উড়ে এল একটি পাখি। পতাকা উত্তোলনের জন্য অধীর আগ্রহে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন তখন। সেই মুহূর্তে পাখিটির কীর্তি নেটদুনিয়াকে আন্দোলিত করেছে। কারণ অনেক দর্শক বিশ্বাস করেছিলেন যে এটি ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপের একটি চিহ্ন।

আরও পড়ুন- ‘এইটা’ দেখলেই নাক সিঁটকান? খাসির কোন অঙ্গ থেকে তৈরি হয় বলুন তো দেখি!

তবে একটি ফলোআপ ভিডিও অবশ্য অন্য ঘটনা সামনে আনছে। পাখিটি পিছনের গাছে ছিল। সেখান থেকেই উড়ে আসছিল। পতাকায় সে কিছুই করেনি। পাখিটি এসে গাছের ডালে বসে। ক্যামেরার কৌশলে দৃষ্টিবিভ্রম তৈরি হয়েছে মাত্র। ভিডিওটি খুঁটিয়ে দেখে এমনই মন্তব্য কয়েকজনের। যদিও ভিডিওটি প্রথমবার দেখে চমকাতেই হয়, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও। আপাতত নেট দুনিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও মুগ্ধ হয়ে দেখছে দেশবাসী।

Nadia News: শুধু ১৫ নয়, ১৮ অগাস্টের জন্যও তৈরি হচ্ছে জাতীয় পতাকা, স্বনির্ভর হচ্ছেন স্কুল পাশ করা মহিলারা

এখন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে শুধু পোশাক নয় পতাকা তৈরিতেও স্বনির্ভর মেয়েরা। মেয়েদের সাবলম্বী করতে একের পর এক কার্যক্রম করছে সরকার। এবার বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সেলাই এর কাজ শিখে সাবলম্বী হচ্ছেন শান্তিপুর এর ব্লক তথা শহরের একাধিক নারীরা।
এখন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে শুধু পোশাক নয় পতাকা তৈরিতেও স্বনির্ভর মেয়েরা। মেয়েদের স্বাবলম্বী করতে একের পর এক কার্যক্রম করছে সরকার। এবার বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সেলাই এর কাজ শিখে সাবলম্বী হচ্ছেন শান্তিপুর এর ব্লক তথা শহরের নারীরা।
নদিয়ার শান্তিপুরে মালঞ্চ হাই স্কুলে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেখানে যারা সদ্য বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েছে কিংবা পড়াশোনা সদ্য শেষ করছে সেরকম অনেক মহিলা এসে এই সেলাই শিক্ষা নিয়ে সাবলম্বী হচ্ছে।
নদিয়ার শান্তিপুরে মালঞ্চ হাই স্কুলে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেখানে যারা সদ্য বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছে কিংবা পড়াশোনা সদ্য শেষ করছে সেই রকম অনেক মহিলা এসে সেলাই শিখে নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
শুধু তাই নয় নাইটি, চুড়িদার, ব্লাউজ সহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি এবং বিক্রি করে অনেক মহিলারা আজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন তাই এই শিক্ষার কথা শুনে বহু বেকার যুবতী এগিয়ে আসছে হাতে কলমে কাজ শেখার জন্য।
শুধু তাই নয় নাইটি, চুড়িদার, ব্লাউজ-সহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি এবং বিক্রি করে অনেক মহিলা আজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন ,তাই এই শিক্ষার কথা শুনে বহু বেকার যুবতী এগিয়ে আসছে হাতে কলমে কাজ শেখার জন্য।
তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় অসুবিধে সেলাই মেশিনের অভাব। বিদ্যালর সূত্রে খবর এই শিক্ষা এখন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে তাতে মহিলারা বেশি এগিয়ে আসছেন। যদিও এই শিক্ষা পুরুষ মহিলা উভয়েই নিতে পারেন। তবে সেলাই এর কাজ বলে এখানে মহিলারা বেশি আসছেন।
তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় অসুবিধে সেলাই মেশিনের অভাব। বিদ্যালর সূত্রে খবর, এই শিক্ষা এখন খুবই জনপ্রিয় হয়েছে তাতে মহিলারা বেশি এগিয়ে আসছেন। যদিও এই শিক্ষা পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই নিতে পারেন। তবে সেলাইয়ের কাজ বলে এখানে মহিলারা বেশি আসছেন।
তবে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে তারা প্রায় পাঁচ শতাধিক জাতীয় পতাকা তৈরি করে বিক্রি করে যথেষ্ট লাভ পেয়েছিলেন গত দু'বছর আগে, তারপর থেকে প্রতিবছর দেশ সম্পর্কিত পালনীয় দিনগুলি তে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেন।
১৫ আগস্ট উপলক্ষে তারা প্রায় পাঁচ শতাধিক জাতীয় পতাকা তৈরি করে বিক্রি করে যথেষ্ট লাভ পেয়েছিলেন গত দু’বছর আগে, তারপর থেকে প্রতি বছর জাতীয় উৎসবের দিনগুলিতে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেন।
তবে সম্প্রতি ১৮ আগস্ট এই তালিকার বাড়তি সংযোজন। ১৫ আগস্ট যেমন আড়ম্বরে পালিত হয় ইদানিং ১৮ আগস্ট তার থেকে কিছু কম যায় না। আর তারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ভারত অন্তর্ভুক্তির এই দিবস দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে মনে করা হয় যেখানে নদিয়া, কুচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকে।
তবে সম্প্রতি ১৮ আগস্ট এই তালিকার বাড়তি সংযোজন। ১৫ আগস্ট যেমন আড়ম্বরে পালিত হয় ইদানীং ১৮ আগস্ট তার থেকে কিছু কম যায় না। আর তারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ভারত অন্তর্ভুক্তির এই দিবস দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে মনে করা হয় কিছু এলাকায়। তাই নদিয়া, কুচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকে।

The Flag Man: স্বাধীনতা দিবসের পরদিন‌ই পথে ‘ফ্ল্যাগ ম্যান’! তাঁকে অনুসরণ করে রাজ্য জুড়ে চলছে এই কাজ

হাওড়া: স্বাধীনতা দিবসের পরদিন পথে দেখা গেল ‘ফ্ল্যাগ ম্যান’-কে। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস বা নেতাজি জয়ন্তীর উদযাপনের পরেরদিন দেশ মাতাকে সম্মান জানাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন এই ফ্ল্যাগ ম্যান প্রিয়রঞ্জন সরকার। এভাবেই গত কয়েক বছর ধরে দেশভক্তির পরিচয় দিয়ে আসছেন তিনি।

এমন দেশ ভক্তি বিরল এই বাংলায়। এমনিতে সারা দেশ জুড়ে কোটি কোটি মানুষ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মেতে ওঠেন। আবার কোথাও আগের দিন থেকেই জোরদার তোরজোড় শুরু হয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের। তবে হাওড়ার প্রিয়রঞ্জন ও তাঁর সঙ্গীরা দেশমাতাকে সম্মান জানাতে বেছে নিয়েছে এই বিশেষ দিন পালনের পরবর্তী দিনকে। বালির প্রিয়রঞ্জন সরকার বর্তমানে ‘ফ্ল্যাগ ম্যান মনু’ নামে গোটা দেশে পরিচিত।

আর‌ও পড়ুন: পাকিস্তানের যুদ্ধ ট্যাঙ্কের উপর উড়বে ১৫০ ফুটের তেরঙ্গা!

২০০৮-০৯ সাল থেকে মায়ের হাত ধরে তাঁর এই যাত্রাপথ শুরু। বিশেষ দিন উদযাপনে এই দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলা হয় পতাকা উত্তোলনের প্রাঙ্গন। যেখানে প্রচুর পরিমাণে জাতীয় পতাকার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছোট ছোট কাগজের পতাকা। উদযাপনের পর উত্তোলিতো পতাকা সযত্নে নামিয়ে রাখা হলেও প্রতীকী এই কাগজের তেরঙ্গা অবহেলিত হয়ে যত্রতত্র মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অনেক সময় কাগজের সেই পতাকা পদপিষ্ট’ও হয়। দেশের জাতীয় পতাকার ঠাঁই হয় আবর্জনা স্তুপে। বিশেষ জাতীয় দিনগুলির পর জাতীয় পতাকাকে এই অসম্মানের হাত থেকে বাঁচাতে যথা সর্বস্ব চেষ্টা করেন প্রিয়রঞ্জন’রা।

এবার হাওড়া ও হুগলি জেলার বিভিন্ন পতাকা উত্তোলন প্রাঙ্গণে নেমে তারা মাটিতে পড়ে থাকা জাতীয় পতাকা সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে ফ্লাগম্যান মনু জানান, এই কাজ শুরু মায়ের হাত ধরে। এই ভাবেই দেশের পতাকাকে অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা করে চলেছেন।

রাকেশ মাইতি

150 Feet National Flag: পাকিস্তানের যুদ্ধ ট্যাঙ্কের উপর উড়বে ১৫০ ফুটের তেরঙ্গা!

দক্ষিণ দিনাজপুর: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জয়ের প্রতীক হিসেবে রাখা ছিল যুদ্ধ ট্যাঙ্কটি। সেটাই এবার নতুন প্রজন্মর কাছে তুলে ধরতে ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলল বালুরঘাট পুরসভা। এই ঐতিহাসিক ট্যাঙ্কের উপর উড়বে ১৫০ ফুট উচ্চতার জাতীয় পতাকা।

সংস্কারের পর মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহনকারী এই ট্যাঙ্কে ভার্টিক্যাল গার্ডেন, গার্ড ওয়াল, অত্যাধুনিক আলো, সাউন্ড সিস্টেম সহ একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরে ঢুকতেই রঘুনাথপুর এলাকায় প্রথমেই চোখে পড়বে এই যুদ্ধ ট্যাঙ্কটি। যা দেখে মডেল মনে হলেও একটু নজর দিলেই বোঝা যাবে সেটি আদতে যুদ্ধের সত্যিকারের ট্যাঙ্ক। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে সামিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল এই পাকিস্তানি ট্যাঙ্কটি। যা যুদ্ধ জয়ের প্রতীক হিসেবে বালুরঘাটবাসীকে উপহার দিয়ে যায় ভারতীয় সেনা।

আর‌ও পড়ুন: ‘সম্পর্ক’-এর বন্ধনে শিলিগুড়ি, জনসংযোগে নতুন প্রকল্প

পরবর্তীতে ওই ট্যাঙ্কটি বালুরঘাটের প্রবেশ দ্বার অর্থাৎ রঘুনাথপুরে রাখা হয়। এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার পুরপ্রধান অশোক কুমার মিত্র জানান, বালুরঘাটের ঐতিহ্যকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে ট্যাঙ্কটিকে উঁচু জায়গায় বসানো হয়েছে। প্রতিদিন জাতীয় পতাকার সঙ্গে দেশাত্মবোধক গান বাজানো হবে। এর ফলে শোভা বৃদ্ধি পাবে। শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে এই জায়গাটি গড়ে তোলা হয়েছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Independence Day 2024: টুপি থেকে টি-শার্ট তেরঙাতে রঙিন বাজার, রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস

১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। শহরের আনাচে-কানাচে প্রত্যেকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই পতাকাগুলি।
১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। শহরের আনাচে-কানাচে প্রত্যেকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই পতাকাগুলি।
শুধুমাত্র পতাকাই নয়, পতাকার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে পতাকার রঙের বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিস। ছোট ছোট পতাকাও কিনছেন দোকানে ভিড় করে।
শুধুমাত্র পতাকাই নয়, পতাকার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে পতাকার রঙের বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিস। ছোট ছোট পতাকাও কিনছেন দোকানে ভিড় করে।
এবারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেশ অনেকটা আগে থেকেই এই সমস্ত পতাকা ও বিভিন্ন রকমারি জিনিস বিক্রি শুরু হয়েছে। এই কারণেই প্রতিদিন কম0-বেশি ভিড় লেগেই থাকছে।
এবারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেশ অনেকটা আগে থেকেই এই সমস্ত পতাকা ও বিভিন্ন রকমারি জিনিস বিক্রি শুরু হয়েছে। এই কারণেই প্রতিদিন কম0-বেশি ভিড় লেগেই থাকছে।
এবারে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বাজারে এসেছে তেরঙা স্টিকার, বাচ্চাদের চুরি ও কানের দুল। যা বিক্রি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন দোকানগুলিতে। ক্রেতারাও কিনছেন ভিড় করে।
এবারে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বাজারে এসেছে তেরঙা স্টিকার, বাচ্চাদের চুরি ও কানের দুল। যা বিক্রি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন দোকানগুলিতে। ক্রেতারাও কিনছেন ভিড় করে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে পতাকা উত্তোলন হবে। হবে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেজন্য পতাকার রঙের সাজসজ্জার জিনিসও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে পতাকা উত্তোলন হবে। হবে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেজন্য পতাকার রঙের সাজসজ্জার জিনিসও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।

Indian National Flag: ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস বিষয়ে প্রদর্শনী হাওড়ায়

হাওড়া: ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাসের প্রদর্শনী চলছে হাওড়ার গান্ধী গ্লোবাল চ্যাপ্টারের তরফ থেকে। দেশ ও জাতীয় পতাকার প্রতি মানুষের আরও বেশি প্রেম জাগাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ | বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জাতীয় পতাকার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতেই এই ভাবনা বলেই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ১৫ অগাস্ট দেশের স্বাধীনতা উদযাপন করবে আপামর ভারতবাসী, উত্তোলিত হবে জাতীয় পতাকা| ভারতের জাতীয় পতাকার এই বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাইয়ের সাংবিধানিক সভায় | এই পর্যায়ের আসার আগে বহুবার পাল্টেছে জাতীয় পতাকার নকশা |

আরও পড়ুনঃ সোনাঝুড়ি হাট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! চালু নতুন নিয়ম, এবার সপ্তাহে কদিন খোলা থাকবে হাট?

ভারতের জাতীয় পতাকার যাত্রা শুরু হয় কলকাতার পার্সিবাগান স্কোয়ারে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে| ভারতীয় উপমহাদেশের স্বদেশী ও বয়কট সংগ্রামের সময় এটি ঘটেছিল | সে সময়ে পতাকাটিতে লাল, হলুদ এবং সবুজের তিনটি অনুভূমিক স্ট্রাইপ রয়েছে। যেখানে হিন্দি ভাষায় বন্দে মাতরম শব্দগুলি খোদাই করা হয়েছে | ১৯০৭ সালে বার্লিনে ভারতের জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী হয়। এই পতাকায় ছিল তিনটি রঙ। এরপর ১৯১৬ সালে আরও একটা ভারতীয় পতাকার নকশা দেখতে পাওয়া যায়| ১৯২০ সালে জাতীয় পতাকার অভাব অনুভব করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ওই বছরই গান্ধীজির কাছে জাতীয় পতাকার একটা নকশা প্রস্তাব করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। সেই পতাকায় ভেঙ্কাইয়াকে সাদা রঙ ও চরকা অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন গান্ধীজি। চরকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় পতাকাটি তৈরি হয় খদ্দর কাপড়ের। ১৯৩১ সালে ফের জাতীয় পতাকার নকশা পাল্টান পি. ভেঙ্কাইয়া।

১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই স্বাধীন ভারতের একটি জাতীয় পতাকা তৈরি প্রস্তাব দেন পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু | প্রস্তাব হয় সেই পতাকায় ওপরে থাকবে গেরুয়া রঙ | মাঝে সাদা এবং তলায় গাঢ় সবুজ রঙ সমান পরিমাণে থাকবে| মাঝখানের সাদা রঙের মধ্যে থাকবে অশোকের ধর্মচক্র | জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দেশের যুব সমাজের কাছে তুলে ধরতে পেরে দারুন আনন্দিত সংগ্রাহক ইন্দ্রনাথ বারুই। এ প্রসঙ্গে ইন্দ্রনাথ বাড়ুই জানান, শৈশব থেকে নানা দুষ্প্রাপ্য জিনিস সংগ্রহের প্রতির নেশা। তার মধ্যে অন্যতম হল ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস চর্চা। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল এই প্রদর্শন। এই প্রদর্শনের প্রধান উদ্দেশ‍্য মানুষের মনে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগ্রত করা, এমন টাই জানালেন হাওড়ার গান্ধী গ্লোবাল চ্যাপ্টারের সম্পাদক সৌম্য |

রাকেশ মাইতি

Howrah News: লজেন্স খেলনা বা বইখাতা নয়, ছোটদের এ কী বিতরণ করছেন এই শিক্ষক!

হাওড়া: দেশপ্রেম জাগাতে শিশু হাতে জাতীয় পতাকা! অল্প বয়স থেকেই শিশু মনে দেশপ্রেম থাকা প্রয়োজন। তা দেশ ও দশের কল্যাণ। সেইদিক গুরুত্ব রেখেই শিক্ষকের অভিনব উদ্যোগ। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জায়গাতে তিনি হাতিয়ার করেছেন দেশের জাতীয় পতাকা। এবার ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শিক্ষক সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন আমাদের দেশের জাতীয় পতাকা। আমাদের দেশ আমাদের এই মাতৃভূমি আর এই দেশের জাতীয় পতাকা আমাদের গর্বের। এই গর্ব দেশের ছেলে বুড়ো সমস্ত নাগরিকের। তাইতো আমরা শ্রদ্ধা ভক্তি ভরে আমাদের জাতীয় পতাকাকে মাথায় করে রাখি। সেই শ্রদ্ধা ভক্তি এদেশের শিশু মনে জাগাতেই পথে পথে ছোটছোট পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিচ্ছেন জাতীয় পতাকা।

আরও পড়ুন: ১৮৩ বছরের স্কুল নানান সমস্যায় জর্জরিত, কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা

শিক্ষকের এই উদ্যোগকে সাদরে গ্রহণ করছেন ছোট ছোট শিশুরা। গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে আনন্দে শিশুরা জাতীয় পতাকা গ্রহণ করছেন। এমনই দৃশ্য দেখা গেল হাওড়ার বাগানানে।১৯৪৭ সালের ২২ শে জুলাই ভারতীয় গণপরিষদে সিলেক্টেড হয়েছিল বর্তমান ভারতীয় জাতীয় পতাকার। অর্থাৎ আমরা যে জাতীয় পতাকাকে চিনি, তার জন্মদিন ছিল ২২ শে জুলাই। এই দিনকে সামনে রেখে এই কর্মসূচির সূচনা করলেন শিক্ষক। সোমবার হাওড়া বাগনান থানা এলাকার ডিএম বি মোড়ে স্কুল ছাত্রদের হাতে জাতীয় পতাকা উপহার দিতে দেখা গেল শিক্ষককে।তিনি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককের এমন কাণ্ড।

আরও পড়ুন:  প্ল্যাটফর্মের গাছ না কেটে প্রতিস্থাপন হাওড়া স্টেশনে! পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেলের

জানা গিয়েছে বাগনানের ছিলামপুর প্রাথমিক স্কুলের সহশিক্ষক মধুসূদন বাগ। বেশ কিছু জাতীয় পতাকা কিনে রেখেছেন তিনি। উদ্দেশ জাতীয় পতাকা উপহার দিয়ে জাতীয় পতাকা বিষয়ে তথ্য প্রদান এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করা তাঁর লক্ষ্য। ডি এম বি মোড়ে তিনি বেশ কিছু স্কুল ফেরত কিশোরদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি ছাত্রদের এও জানান, বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পতাকা হিসেবে ভারতের জাতীয় পতাকা স্বীকৃত হয়েছে। বলাই বাহুল্য এই তথ্যটি জানার পর, ছাত্ররা এ বিষয়ে আরও উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। আর এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন বেশ স্থানীয় ও পথ চলতি মানুষ, সেই সঙ্গে শিক্ষকের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানালেন সকলে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Howrah News: ভিন রাজ্যেও বাড়ছে চাহিদা, জোগান দিতে হিমশিম! হাওড়ায় তৈরি হালদারদের পতাকার কদর তুঙ্গে

হাওড়া: হাওড়ায় তৈরি হালদারদের তিরঙ্গার কদর ভিন রাজ্যেও! দিন-রাত এক করে উনসানিতে চলছে জাতীয় পতাকা তৈরির কাজ, জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা৷ হাতে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ, আর তারপরেই স্বাধীনতা দিবস৷ আসমুদ্র হিমাচলের একসুরে গাওয়ার দিন, আগামীর শপথ নেওয়ার ক্ষণ ৷ সরকারি অফিস থেকে সাধারণের বাড়ির ছাদ সবখানে উড়বে সেদিন স্বাধীন ভারতের পতাকা ৷

বছরের এই সময়টা বরাবরই পতাকা বিক্রেতাদের কাছে বিশেষ দিন৷ সারা দেশবাসীর কাছে দু-একটা দিন স্পেশ্যাল হলেও রাজু হালদার ও তার সহকর্মীদের হাতে বছরের বারোটা মাসই স্পেশ্যাল।  এই হাওড়া থেকে দেশের জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে৷ স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশের জাতীয় পতাকা তৈরিতে চরম ব্যস্ত হাওড়া উনসানি দক্ষিণ পাড়ার রাজু হালদার৷

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

বাজারে পতাকার চাহিদা তুঙ্গে ৷ সেই পতাকার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাওড়ার উনশানির পতাকা ব্যবসায়ী রাজু৷ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তৈরির জন্য নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই হাওড়ার উনশানি এলাকার দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা পতাকা ব্যবসায়ী রাজু হালদারের ৷ বরাতের চাপে দিনরাত এক করে এখন শুধু পতাকা বানানোর কাজেই ব্যস্ত হয়ে আছেন ৷

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এই ব্যবসা৷ বাবা ঠাকুরদার পর প্রায় ৩০ বছর পারিবারিক ব্যবসা সামাল দিচ্ছেন রাজু হালদার | পতাকা ব্যবসায়ী জানালেন, ” পতাকার সবচেয়ে ছোট মাপ হল ৮ ইঞ্চি লম্বা, ১২ ইঞ্চি চওড়া ৷ সবচেয়ে বড় মাপের পতাকা হল ৪৮ ইঞ্চি লম্বা ও ৭২ ইঞ্চি চওড়া পতাকা ৷ কারখানা থেকে বেশ কয়েকরকমের পতাকা শুধুমাত্র কলকাতার বিভিন্ন বাজার -সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলায় সরবরাহ করা হয় ৷”

এছাড়াও বিহার, অসম, ঝাড়খন্ড, ত্রিপুরা, উড়িষ্যা এবং দিল্লিতেও এই জাতীয় পতাকা পাঠানো হয় ৷এখানকার কারিগরদের ব্যস্ততা তুঙ্গে‌ ৷ নাওয়া-খাওয়া ভুলে সেলাই মেশিনে হাত লাগিয়েছেন৷ যে করেই হোক অর্ডার অনুযায়ী কাজ শেষ করতে হবে ৷ কারিগররা জানান, এই কাজ নিয়ে তারা গর্ব অনুভব করেন | বিভিন্ন জায়গায় যখন তাদের হাতে তৈরি পতাকা ওড়ে তখন দেখতে তাদের খুব ভাল লাগে |

রাকেশ মাইতি

সবজি দিয়ে তৈরি জাতীয় পতাকার ছবি শেয়ার করলেন বিগ বি ! প্রশংসায় নেটিজেনরা !

#মুম্বই: ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস আজ। সারা দেশের মানুষ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আজকের দিনটাকে পালন করছেন। বিভিন্ন জায়গায় মানুষ নিজের মতো করেই পালন করছেন ১৫ অগাস্ট। ১৯৪৭ সালের এই দিনেই ভারত স্বাধীনতার মুখ দেখেছিল। এই দিনটাতে বলি থেকে টলির প্রায় সব সেলেবরাই সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনও সকলকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা। তিনি কবিতা লিখে শেয়ার তো করেছেনই। সেই সঙ্গে একটি অসাধারণ ছবি পোস্ট করেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে এক সবজি বিক্রতার ছবি শেয়ার করেছেন। কাজের মাঝেই ১৫ অগাস্ট পালনের এক অভিনব রাস্তা বেছে নিয়েছেন এই বিক্রেতা! প্রতিদিন সামান্য সবজি বিক্রি করেই চলে তাঁর সংসার। কিন্তু দেশ মাতাকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি ভোলেননি। নিজের সবজির ঝুড়িতেই একটি কাঠিতে দড়ি দিয়ে পরপর বেঁধেছেন গাজর, মুলো ও ঢেঁরশ। একেবারে পতাকার আদলে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। যা দেখে রীতিমতো সকলে প্রশংসা করেছেন ওই বিক্রেতার।

এই ছবি শেয়ার করে অমিতাভ বচ্চন লেখেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা সকলকে। ভারতের মন তিরঙ্গা থেকে দূরে থাকতে পারে না। সে যে রূপেই হোক না কেন, ভারতবাসী দেশমাতাকে শ্রদ্ধা জানাতে ভোলে না।” এই পোস্ট শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই বহু মানুষ সহমত জানিয়েছেন বিগবিকে।