পুতিন এবং মোদি।

Narendra Modi Russia tour: ‘অসাধারণ নেতার অসাধারণ সফর’, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রেমলিন

মস্কো: বার্ষিক ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার রাশিয়া পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর দুই দিনের রুশ সফর শেষে বর্তমানে অস্ট্রিয়া গিয়েছেন তিনি। কেমন হল মোদির রাশিয়া সফর? রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ সূত্র সিএনএন-নিউজ 18-কে জানিয়েছে, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের অসাধারণ নেতার অসাধারণ সফর” দেখল ক্রেমলিন।

গত বছর ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য লেনদেন ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে তা আরও ২০ শতাংশ বেড়েছে। তবে অর্থপ্রদানে ভারসাম্য না থাকায় উদ্বিগ্ন রাশিয়া। রাশিয়ার রফতানি প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৪ বিলিয়ন ডলার। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।

আরও পড়ুন: বর্ধমানের স্কুলের ছাদেই হচ্ছে মাছ এবং সব্জি চাষ, কারণ জানলে অবাক হবেন 

পারমাণবিক প্রকল্প এবং নিরাপত্তা চুক্তি নিয়েও দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে সুত্র মারফত জানা গিয়েছে। জ্বালানির চাহিদা পূরণে সাহায্য করার জন্য পুতিনের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, “গোটা বিশ্ব যখন খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ঘাটতিতে ভুগছিল তখন ভারতে আমরা কৃষকদের কোনও সমস্যায় পড়তে দিইনি। এতে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে”।

ক্রেমলিনের সূত্র জানিয়েছে, যে যে বিষয়গুলি নিয়ে দুই দেশের রাষ্টপ্রধানের আলোচনা হয়েছে, তার সবগুলিই চুক্তিতে রূপান্তর হয়েছে, এটা বড় সাফল্য। সেই সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে পারমাণবিক স্টেশন-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে, বলছে সূত্র। প্রসঙ্গত, মোদিকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানে ভূষিত করেন পুতিন। দেওয়া হয় ‘অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু’।

আরও পড়ুন: বড় মনের পরিচয় দ্রাবিড়ের, ফেরালেন বোর্ডের ২.৫ কোটি, নেবেন সাপোর্ট স্টাফের সমান বোনাস

মোদি এবং পুতিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, যুদ্ধের ময়দানে কোনও সমস্যার সমাধান মিলবে না। তাঁর কথায়, “যুদ্ধ হোক, সংঘাত হোক বা সন্ত্রাসী হামলা মানবতায় বিশ্বাসী যখন কারও প্রাণ যায়, তখন দুঃখ হয়। নিষ্পাপ নিরপরাধ শিশুদের মৃত্যু দেখা অপরিসীম যন্ত্রণার”।