কচুর জমিতে

Purba Bardhaman News: কৃষকরা দেখছেন লাভের মুখ! কোন সবজি চাষে লক্ষ্মীলাভ, জেনে নিন

পূর্ব বর্ধমান: কচু চাষ করে আয় করছেন পূর্ব বর্ধমানের এই এলাকার কৃষকেরা। স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী বাজারে রয়েছে এই কচুর বিশেষ চাহিদাও। পূর্ব বর্ধমান জেলার অর্থনীতির একটা বড় উৎস হল কৃষিকাজ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় হয় নানা ধরনের সবজি চাষও। যা পৌঁছে যায় জেলা তথা রাজ্যের একাধিক বাজারে।

তেমনই পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া এক নম্বর ব্লকের একটি গ্রাম হল আলমপুর, যে গ্রামের ডাঁটা বিখ্যাত রাজ্য তথা দেশের একাধিক জায়গায়।তবে কেবল ডাঁটাই নয়। কৃষি প্রধান এই গ্রামটিতে সারা বছর চাষ করা হয় একাধিক ফসল। যার মধ্যে অন্যতম হল কচু। কচু চাষ করে আয় করছেন পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া ১ ব্লকের কৃষকরা। জেলার স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী বাজারে আলমপুরের কচুর রয়েছে বিশেষ কদর। বর্তমানে খরচের পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, মোটামুটি লাভের মুখ দেখেন এই গ্রামের চাষিরা।

এক কৃষক বলেন, “আমরা কচু চাষ-সহ বিভিন্ন ধরনের চাষ করে থাকি। এক বিঘা জমিতে কচু চাষ করতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে ভাল ভাবে যত্ন সহকারে চাষ করলে অনেক টাকা লাভও হয়। এই কচু কাটোয়া বাজার-সহ আরও বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়।” কাটোয়া এক নম্বর ব্লকের আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলমপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কচু চাষ হয় মূলত বছরের এই সময়টায় কচু চাষ করা হয়। যা বিক্রি করা হয় স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাজার। এই এলাকার কৃষকেরা জানাচ্ছেন দীঘা প্রতি বেশ কিছুটা টাকা খরচ হলেও কচু বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পান তাঁরা।তবে লাভের মুখ দেখলেও, চাষের কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে এলাকার কৃষকেরা। যে সমস্যার কারণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের জোগান না থাকা। দীর্ঘদিন যাবৎ বিকল হয়ে থাকা সাবমারসিবল মেরামত করে দিলেও, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল মিলছে না সেখান থেকে।

আরও পড়ুন: ভোট এলেই বিরাট চমক! সাজিয়ে ফেলেন নিজের ভ্যান, তারপরেই শুরু…

আরও পড়ুন: ৭৩ বছরেও যৌবন হাতের মুঠোয়! সারাদিনের রুটিনেই লুকিয়ে এনার্জির চাবিকাঠি, বৃদ্ধের দেশি ডায়েট জেনে নিন ভিডিওয়ে

তাই প্রায়ই চাষ করতে গিয়ে বিশেষ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আলমপুরের চাষিদের। এক কৃষকের প্রতিক্রিয়া, “প্রথমে চাষিদের জন্য যে সাবমারসিবল ছিল সেটা খারাপ ছিল। তবে পরবর্তীতে সারিয়ে দিয়ে যাওয়ার পরে খুবই অল্প পরিমাণে জল বেরোচ্ছে। এর থেকে না সারানোই ভালো ছিল এই সবমারসিবেল। এখন আমাদের জল কিনে চাষ করতে হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের আলমপুর গ্রামে সারা বছর ধরেই বিভিন্ন সবজি চাষ হয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম আলমপুরের ডাঁটা এবং কচু। তবে ডাঁটা এবং কচু ছাড়াও বেগুন, কুমড়োর মতো একাধিক সবজি চাষ হয় এই মাঠে গ্রামের একাংশের আয়ের উৎস কৃষি কাজ। বিভিন্ন মরশুম সবজি চাষ করে জীবনযাপন করেন তাঁরা। তাই অবিলম্বে জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আরজি জানাচ্ছেন এলাকার কৃষকেরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী