রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে... বেপোরোয়া গাড়ির বলি ৫ বছরের ছোট্ট প্রাণ! মর্মান্তিক ঘটনা

চলে গেল ২টো তরতাজা প্রাণ, রাস্তা যেন মরণফাঁদ! বর্ধমানে মর্মান্তিক ঘটনা

বর্ধমান: মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বর্ধমান-আরামবাগ রোড। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। একদিক গর্ত করে রাখা হয়েছে। অনেকেই বড় গাড়িকে পাশ দিতে পারছে না। তার জেরেই সংকীর্ণ রাস্তায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

ফের মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ চলে গেল দুই যুবকের। বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রায়না থানার গোপালপুর এলাকার বর্ধমান আরামবাগ রোডে।

আরও পড়ুন- ভিনরাজ্যে মৃত পরিযায়ী শ্রমিক, দেহ ফেরাতে রাস্তায় নেমে চাঁদা তুললেন প্রতিবেশীরা

বর্ধমান মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তিরা হলেন বর্ধমান শহরের সাহাচেতন, নতুনগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার মাঝি (৪৪) এবং মির্জাপুরের বাসিন্দা সুমন দত্ত (৩৭)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন আরামবাগের দিক থেকে মোটর সাইকেলে বর্ধমান ফেরার পথে একটি পাথর বোঝাই ডাম্পার বেপরোয়া ভাবে ধাক্কা মারে বাইকটিতে।

ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই বাইক আরোহীকে বর্ধমান মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। বাইকটি বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল।

ডাম্পারটি যাচ্ছিল আরামবাগের দিকে। তবে ঘাতক ডাম্পারটির হদিশ মেলেনি। দুর্ঘটনার পর সেটি দ্রুত গতিতে এলাকা ছাড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাম্পারটির হদিশ পেতে বর্ধমান আরামবাগ রোডের বিভিন্ন সি সি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় প্রতি দিনই এই রাস্তায় কেউ না কেউ প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা কবলে পড়ছেন। দ্রুত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। দুর্ঘটনার পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন- পুরুলিয়ায় বজ্রপাতে কেলেঙ্কারি কাণ্ড! বাজ পড়ে মৃত একই পরিবারের তিন

রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ ঠিকমতো করছে না ঠিকাদাররা বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। রাস্তার যেখানে সেখানে খুঁড়ে রেখে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দ্রুত গতিতে আসা গাড়ির চালকরা বুঝতে পারছে না। ফলে প্রায়ই ঘটে যাচ্ছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

বারবার প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে জানিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না বলে ক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের অনেকেই। দুর্ঘটনার পর রায়না ও খন্ডঘোষ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।