কলকাতা, লাইফস্টাইল Fish Egg: হোটেলে ভাতের পাতে রোজ মাছের ডিমের বড়া চাই! নিজের অজান্তে শরীরে বিষ ঢোকাচ্ছেন না তো Gallery April 16, 2024 Bangla Digital Desk : আমাদের রাজ্যে প্রচুর মানুষ রয়েছেন,যারা প্রায়ই হোটেলে খাবার খান।বরাবরই বাঙালি ‘মাছের ডিমের বড়ার’ খুব ভক্ত। তাই হোটেলগুলিতে গেলে সামনেই মাছের ডিমের বড়া সাজানো থাকে। তাও আবার আগে গেলে আগে পাওয়ার মতই অবস্থা। অল্প টাকাতে মাছের স্বাদ মাছের ডিমের বড়াতে স্বাদের চাহিদা মেটায় সবাই। Photo – Collected সত্যি কি আদৌ মাছের ডিমের বড়া খাচ্ছেন আপনারা? কলকাতা এবং সল্টলেকের হোটেলগুলিতে মাছের ডিমের বড়া বিক্রি করছে।কিন্তু এত ডিম আসছে কোথা থেকে? খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেল, ওই মাছের ডিমের বড়ার পিছনে বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। বেশ কিছু দোকানদার সকাল সকাল মাছের ডিমের বড়া তৈরি করবার জন্য বেসনের সঙ্গে সমস্ত কিছু মিলিয়ে নেয়। যা সম্পূর্ণ নকল পদ্ধতিতে তৈরি হয়। বাজার থেকে আনা মাছের ডিমের সঙ্গে রামদানা কিম্বা ভুট্টা গুঁড়ো বাজার থেকে কিনে এনে মেশায়। তার সঙ্গে বেসন দেওয়া হয়। এবার মাছের গন্ধ ওয়ালা এক ধরনের সিরাপ পাওয়া যায় বাজারে।সেই সিরাপ মিশিয়ে দেয় ওগুলোর সঙ্গে। কিছুক্ষণ রাখলেই সম্পূর্ণ উপকরণটাই তাজা মাছের আঁশটে গন্ধ সৃষ্টি করে।যখন কেউ গিয়ে মাছের ডিমের বড়া খাচ্ছেন, তখন কেউই বুঝতে পারেন না যে,ওটা নকল মাছের ডিমের বড়া খাচ্ছেন! মানে প্রতারিত হচ্ছেন। Photo – Collected এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রথমত ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। তারপর ওই ডিম থেকে, যে খাদ্যগুণ পাওয়ার কথা ছিল, তিনি সেটা পেলেন না। তার ওপর মাছের যে গন্ধওয়ালা সিরাপ দেওয়া হয়,সেটি কৃত্রিম।সেটি এক কেজি পরিমাণে কত PPM মেশাতে হয়? সেটা ওই দোকানদাররা জানেন না। যার ফলে স্বাস্থ্যের দিকে ক্ষতিগ্রস্ত হন ওই মাছের ডিম যারা খাচ্ছেন।’’ Photo – Collected শহর কলকাতায় সুযোগ পেলেই খাবারের মধ্যে নানা অসাধু পদ্ধতিতে বানিয়ে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালায় ব্যবসায়ীদের একাংশ। শহরে আসা ৭০ শতাংশ মানুষ এই ধরণের হোটেলে থেকে খাবার খান। পাশাপাশি এই সব হোটেলের খাবারের গুণমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা,সেই রকম ভাবে চলে না বলে দাবি করেন হোটেলে খেতে আসা মানুষজনেরা। Photo – Collected