মাছ ধরার প্রতিযোগিতা

Purulia News: মাছ ধরার প্রতিযোগিতা নাকি চাঁদের হাট, ভিন রাজ্য থেকেও প্রতিযোগীদের ভিড়

পুরুলিয়া: ভোজন রসিক বাঙালি। মাছ ছাড়া যেন বাঙালির মধ্যাহ্ন ভোজন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। আর তাইতো বাঙালির মধ্যাহ্নভোজনের মেনুতে মাছ কিন্তু মাস্ট। আর তাইতো একটা গোটা দিন জঙ্গলমহল মেতে উঠল মাছ ধরার উৎসবে। ইতিপূর্বে জঙ্গলমহলে টুসু , ভাদু, ঝুমুর, ছৌ, খেলাধুলা সহ একাধিক প্রতিযোগিতা হলেও এই প্রথমবার মাছ ধরার প্রতিযোগিতা হল পুরুলিয়ায়। আর এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে একেবারে সেজে উঠেছিল পুরুলিয়া ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের কাঁসরা গ্রামের ভবানী মাহাতোর পুকুর। ৬০ জন মৎস্যপ্রেমীদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে পনেরশো টাকা এন্ট্রি ফি দিয়ে এখানে অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। তার বিনিময়ে পাঁচ ঘন্টা ধরে যত খুশি মাছ ধরতে পারবেন প্রতিযোগিরা।

আর এই প্রতিযোগিতায় কারোর বড়শিতে উঠেছিল বড় সাইজের কাতলা, তো কারোর বড়শিতে বড় সাইজের রুই। মৎস্যপ্রেমীদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র জেলা পুরুলিয়া নয় পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, এমনকি প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকেও প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চলে। এ বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজক ভবানী মাহাতো বলেন,তিনি খেলাধুলার প্রতি ছোটবেলা থেকেই আগ্রহী। ইতিপূর্বেও খেলাধুলা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা হঠাৎ হঠাৎই তার মাথায় আসে। তাই মানুষকে একটু অন্যরকম বিনোদন দিতে তার এই উদ্যোগ।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,এরকম প্রতিযোগিতা পুরুলিয়াতে এর আগে হতে দেখেননি তিনি। তিনি মাছ ধরতে না পারলেও মাছ দেখতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তিনি এই প্রতিযোগিতায় মাছ দেখতে এসেছেন। ‌প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝেই সামান্য স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে অনেকেই নানান রকমের বিনোদনের মাধ্যম খুঁজে বেড়ান।

আরও পড়ুনঃ IND vs BAN: ভারতের ২ তারকার কেরিয়ার চিরতরে শেষ! বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশ সিরিজ? জানুন বিস্তারিত

তাই পুরুলিয়ার এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় মানুষের মধ্যে একেবারে উৎসবের মেজাজ দেখতে পাওয়া যায়। উপচে পড়ে দর্শকদের ভিড়। ‌ এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে স্থানীয় মানুষজনসহ প্রতিযোগীদের উচ্ছ্বাস উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি