Tag Archives: Fishing

Accidental Death: মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত্যু

দক্ষিণ দিনাজপুর: মাছ ধরতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট থানার অন্তর্গত ৬ নম্বর ডাঙাগ্রাম পঞ্চায়েতের মাহিনগর এয়ারপোর্ট মোড় সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রঞ্জিত ভাংড়া (৪০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মাছ ধরার নেশা ছিল। রোজের মত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহিনগর এয়ারপোর্ট মোড়ের পাকা রাস্তার ধারে একটি ছোট পুকুরে মাছ ধরতে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রঞ্জিত ভাংড়া। বাড়ির লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিতে থাকে। বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাস্থলে এসে সন্ধান করতে থাকেন। সেই সময়ই ওই ব্যক্তির দেহ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়।

আর‌ও পড়ুন: অপরিসীম কৌতুহল প্রাণ কেড়ে নিল নাবালকের! রেলের বৈদ্যুতিন পোস্টে উঠতেই সব শেষ

বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পুকুরে জাল দিয়ে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেন। “মৃত রঞ্জিত ভাংড়ার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মৃগী রোগ ছিল। তাঁদের অনুমান, মাছ ভরার সময় হয়ত মৃগীর অ্যাটাক হয়েছিল। তাতেই পুকুরে পড়ে গিয়ে শ্বাসরোধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এদিকে স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সুস্মিতা গোস্বামী

Fishermen: অফ সিজনে ব্যস্ততা তুঙ্গে! মৎস্যজীবীদের হঠাৎ হলটা কী?

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এই মুহূর্তে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ ও মৎস্যজীবীদের। তা সত্ত্বেও ব্যস্ততা বেড়েছে। কারণ এই অফ সিজনেই তাঁরা ট্রলার সারানো থেকে শুরু করে জাল মেরামত করা সব কাজ করেন। নতুন জাল বোনাও এই সময়‌ই হয়।

সারাবছরের কাজ এই সময় করতে হয় তাঁদের। ফলে মাছ ধরার কাজ না থাকলেও ফিশিং হারবারগুলিতে কাজের ব্যস্ততা কিন্তু বেড়েছে। জোরকদমে মাছ ধরার কাজ বাদে চলছে অন্যান্য কাজ।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের আগে মাসিক ভাতার দাবি গৃহশিক্ষকদের! সঙ্গে আর যা যা র‌ইল

সারাব ছরের কাজ এখন করায় নাওয়া-খাওয়া বন্ধের জোগাড় মৎস্যজীবীদের। এই নিয়ে মৎস্যজীবী আমির আলি পেয়াদা জানান, তিনি এখন নৌকায় রং করছেন। তাঁর মত আরও অন্যান্য মৎস্যজীবীরাও এই কাজ করছেন বলে জানান। এই সমস্ত কাজে অনেক শ্রমিকও কাজ করছেন। কিন্তু পারিশ্রমিক কিছুটা কম। কিন্তু ব্যস্ততা রয়েছে। এই কাজ করলে তবেই সারাবছর ভালভাবে নৌকা চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেজন্য ব্যান পিরিয়িডেও বাড়িতে বসে না থেকে ভবিষ্যতের আখের গোছাতে ব্যস্ত মৎস্যজীবীরা।

নবাব মল্লিক

Fishing Ban: অজান্তে বদলে গিয়েছে পরিচয়, সমুদ্রসাথীতে আবেদন করেও মিলবে না ভাতা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ৬১ দিন এই ফিশিং ব্যান পিরিয়ড চলবে। এই সময়কালের মধ্যে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না। সমুদ্রতট থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ধরার উপর সমস্ত রকমের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মূলত মাছের প্রজনন এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ফিশিং ব্যান পিরিয়ড জারি করা হয়। এই সময়ের মধ্যে মাছেরা নিশ্চিন্তে সমুদ্রে বিচরণ করতে পারে। ফলে এই দু’মাস মৎস্যজীবীদের প্রায় কোন‌ও আয় হবে না। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত।

আর‌ও পড়ুন: দুঃস্থদের জন্য ফুড ব্যাঙ্ক রামপুরহাটে

উল্লেখ্য, চলতি বছরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, ফিশিং ব্যান পিরিয়ডে, অর্থাৎ সমুদ্রের মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের আর্থিক সাহায্য করা হবে। সেই অনুযায়ী অনেকেই দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে এর জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর, আবেদন করলেও অনেক মৎস্যজীবীর নাম তালিকাভুক্ত হয়নি। ফলে তাঁরা এবার এই দু’মাস রাজ্য সরকারের থেকে ভাতা পাবেন না।

আর‌ও পড়ুন: বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন! সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

মথুরাপুর-২ ব্লকের রায়দিঘি, কুমড়োপাড়া, কনকনদিঘি এলাকার বহু মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। সমুদ্রসাথী প্রকল্পে মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ থাকাকালীন সময়ের জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন‌ও করেছিলেন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তাঁদের সামুদ্রিক মৎস্যজীবীর পরিবর্তে মিষ্টি জলের অর্থাৎ নদীতে মাছ ধরার মৎস্যজীবী হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর তাই তাঁরা এবার ভাতা পাবেন না। আবার অনেককে মৎস্য চাষি হিসেবে দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে আবেদন করেও সমুদ্রসাথী প্রকল্পের বরাদ্দ ভাতা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে বহু মৎস্যজীবীকে। এর ফলে আগামী দু’মাস কীভাবে সংসার চলবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা।

নবাব মল্লিক

Fishing Ban Period: শুরু ফিশিং ব্যান পিরিয়ড, এই প্রথম আর্থিক সাহায্য পাবেন মৎস্যজীবীরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শুরু হয়ে গিয়েছে ফিশিং ব্যান পিরিয়ড। যার জেরে জারি হয়েছে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। ফলে এখন আর মৎস্যজীবীরা টানা দু’মাস সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না। আর তাই এখন ফিশিং হারবারগুলি বা মৎস্য বন্দরগুলিতে মৎস্যজীবীদের কোলাহল একেবারে নেই। যেন সবকিছু থম মেরে আছে। ঘাটে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মাছ ধরার ট্রলারগুলি।

আর‌ও পড়ুন: গৌড়েশ্বর নদীর তীরে হাজারি কালী মেলার ইতিহাস জানুন

এবছর ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ৬১ দিন এই ফিশিং ব্যান পিরিয়ড চলবে। এই সময়কালের মধ্যে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না। সমুদ্রতট থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ধরার উপর সমস্ত রকমের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মূলত মাছের প্রজনন এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ফিশিং ব্যান পিরিয়ড জারি করা হয়। এই সময়ের মধ্যে মাছেরা নিশ্চিন্তে সমুদ্রে বিচরণ করতে পারে। এই সময়কালের মধ্যে মৎস্যজীবীরা তাঁদের জাল সারিয়ে তুলবেন। ট্রলারে কোনও অসুবিধা রয়েছে কিনা সেটিও দেখা হবে। নতুন জাল বোনা থেকে শুরু করে মাছ ধরার সরঞ্জাম পরীক্ষা করার কাজ চলবে।

আর‌ও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই একের পর এক দোকানে আগুন, পুড়ে ছাই সবকিছু…

এদিকে ফিশিং ব্যান পিরিয়ড শুরু হওয়ায় রোজগার নিয়ে চিন্তায় মৎস্যজীবীরা। এই দুটো মাস কীভাবে ঘর-সংসার চলবে তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ এই সময়ে অন্য জীবিকা বেছে নেওয়া কথা ভাবছেন। এই প্রসঙ্গে মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্পাদক অলোক হালদার জানান, এই বছর থেকে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় দু’মাস মৎস্যজীবীরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যন পাবে। তবে মালিকদের‌ও কিছু সাহায্য করলে খুব ভাল হত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নবাব মল্লিক

Fishermen Crisis: মরশুমের শেষ ট্রিপে ক্ষতির মুখে মৎস্যজীবীরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাছ ধরার মরসুম একেবারে শেষ পর্যায়ে। চলছে মাছ ধরার শেষ ট্রিপ। এরপর দু’মাসের জন্য বন্ধ থাবে মাছ ধরা। ফলে শেষ টিপে সকল মৎস্যজীবী ভাল লাভের আশায় ছিলেন। কিন্তু তাঁদের হতাশ হতে হল। শেষ ট্রিপে ক্ষতির মুখে পড়লেন মৎস্যজীবীরা।

আর‌ও পড়ুন: রসুন যেন সোনা! রাত জেগে জমি পাহারায় কৃষকরা

এই ক্ষতির কারণেই প্রায় ৬০ শতাংশ ট্রলার চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সময়ের আগেই। এমনিতেই ক্ষতি হচ্ছিল। সেই ক্ষতির পরিমাণ আর যাতে না বাড়ে তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বাকি থাকা ট্রলারগুলিও খুব একটা লাভের মুখ দেখছে না। এই বছর ট্রালারের থেকে ট্রলি ফিশিং-এ কিছুটা লাভ হচ্ছে। ট্রলি ফিশিং-এ সামুদ্রিক একাধিক মাছ শিকার করা হয়। যাকে চলতি কথায় বলা হয় হরযাই মাছ। এই হরযাই মাছ ধরার ফলে ট্রলি ফিশিং-এ লাভ হলেও, লাভ হচ্ছে না ট্রলারে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন দু’মাসের জন্য মৎস্যজীবীদের অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হলেও অনেক মৎস্যজীবীর এখনও কার্ডই হয়নি। কিছুজনের কার্ড থাকলেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির। সব মিলিয়ে আগামী দু’মাস সংসার চালানো নিয়ে প্রচন্ড দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।

নবাব মল্লিক

Bengali News: আইনের তোয়াক্কা না করে নদীবক্ষে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবাধে মৎস্য শিকার

দক্ষিণ দিনাজপুর: নদীবক্ষে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বালুরঘাটের পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের অভিযোগ, ১৯৫০ সালের মৎস্য সংরক্ষণ আইন না মেনে মাছের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ করে নদীতে আড়াআড়ি ফাঁদ দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে, যা অপরাধ। এই বিষয়ে প্রশাসনের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি পরিবেশকর্মীরা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সকাল কিংবা বিকাল, বস্তা হাতে রোজ ওরা কারা হাঁটছে রায়দিঘিতে!

বাঁশের বেড়া তৈরি করে তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গাছের ডাল দিয়ে কৃত্রিমভাবে মাছ বসবাসের জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। এমনকি কোথাও কোথাও মাঝ নদীতে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলছে মাছ শিকার। এইভাবে মাছ শিকার করার জন্য শুরুতে নদীতে গাছের ডাল-পালা ফেলা হয়। এর পর চারদিকে বাঁশের বেড়া ও কচুরিপানা দেওয়া হয়। এরপর ঝোপের ভেতরে মাছের খাবার দিয়ে চারদিকে সূক্ষ্ম জাল দিয়ে ঘের দেয়। যাকে স্থানীয়ারা বলে ঝোপ। এর ভেতরেই চলে পোনা সহ নানান মাছ শিকার।

বর্ষাকাল ছাড়া সারা বছরই নদীতে ঝোপ থাকে। বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা বানিয়ে একটি বড় ঝোপ থেকে মোটা টাকার মাছ বিক্রি হয়। এই বিষয়ে মৎস বিক্রেতা খোকন হালদার জানান, নদীতে তেমন আর মাছ নেই। তাই বেড়া দেওয়া হয়ে। এপার এবং ওই পারের জেলেরা মিলেমিশে বেড়া দেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এইভাবে বেড়া দিয়ে মাছ ধরার ফলে আত্রেয়ী নদী ও তার সংলগ্ন এলাকার জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই সম্পূর্ণ মাছ শূন্য হয়ে যাবে আত্রেয়ী। তাতে পাকাপাকিভাবে জীবিকা সঙ্কটে পড়বেন মৎস্যজীবীরা।

সুস্মিতা গোস্বামী