বাঁধে বিরাট ফাটল! হু হু করে ঢুকছে জল, চিন্তা বাড়াচ্ছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি, ভেসে যেতে পারে এই এলাকা

Flood: বাঁধে বিরাট ফাটল! হু হু করে ঢুকছে জল, চিন্তা বাড়াচ্ছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি, ভেসে যেতে পারে এই এলাকা

পূর্ব বর্ধমান: বাঁধে ফাটল। ডুবতে বসেছে জামালপুরের আঝাপুর। একদিকে ভারি বর্ষণ। অন্যদিকে, ডিভিসি জল ছেড়েছে। আর তাতেই বিপত্তি। পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার অন্তর্গত আঝাপুর গ্রামের ভীমের পুল সংলগ্ন দাস পাড়া এলাকায় খালের মাঝে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্ত দিয়ে গ্রামে হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে জল।

ইতিমধ্যেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু না হলে রাতের মধ্যেই বেসে যাবে গ্রাম আতঙ্কে এলাকাবাসী। স্থানীয় ক্যানেলের গেটম‍্যানকে বিষয়টি জানালে তিনি জানিয়েছেন আগামীকাল শুক্রবারের আগে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব নয়। তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের কপালে । গ্রামে বেশ কিছু মাটির বাড়ি রয়েছে। সেগুলিতে জল ঢুকলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি অবিলম্বে বাঁধ মেরামত করা হোক।

আরও পড়ুন: হেলায় ফিরিয়ে দিয়েছেন ১০ লক্ষ! রাহুল গান্ধির সেলাই করা জুতো বেচবেন না, অনড় রামচেট

ক’দিন আগেই বৃষ্টির অভাবে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক ব্লকে চাষবাস প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুকিয়ে যাচ্ছিল মাঠ ঘাট। পুকুরে জল কমে আসছিল। মনেই হচ্ছিল না এটা ভরা বর্ষাকাল। গতকাল আর আজ সকাল থেকে জায়গায় জায়গায় নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিভিসির সেচখাল গুলো দিয়ে জল ছাড়া চলছে। আর তাতেই বিপত্তি তৈরি হয়েছে জামালপুর ব্লকের অঝাপুরের দাসপাড়া এলাকায়।

বিডিও অফিসের এক আধিকারিক জানান, আঝাপুর গ্রামের ভীমের পুল সংলগ্ন দাসপাড়া এলাকায় খালের মাঝে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামে হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে জল। অবিলম্বে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু না হলে রাতের মধ্যেই ভেসে যেতে পারে গ্রাম, এমন আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই রাস্তায় দেখা দিয়েছে ফাটল।

‍আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

এখন সেই  আতঙ্কে রাতের ঘুম ছুটেছে এলাকাবাসীর। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে নজরদারি চালানো হচ্ছে। জল ঢোকা আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে জল যেভাবে গ্রামে ঢুকছে তাতে চিন্তিত  গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, গ্রামে বেশ কিছু মাটির বাড়ি রয়েছে। জল ঢুকলে সেগুলির ক্ষতির আশংকা রয়েছে। দ্রুত বাঁধ মেরামতে হাত লাগানো হোক চাইছেন তাঁরা।