সায়নী দাস

East Bardhaman News: এবার সায়নীর লক্ষ্য নর্থ চ্যানেল, পঞ্চম সিন্ধু জয়ের লক্ষ্যে পারি দিলেন বাংলার মেয়ে

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের একটা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়ে সায়নী দাস। কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা তিনি। ছোট বয়সেই বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি তাঁর। তারপর থেকে কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে সে নিজেকে সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলেছে। সায়নীর স্বপ্ন বা ইচ্ছা সে সপ্তসিন্ধু জয় করবে। এর আগে সায়নী ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা , মলোকাই এবং কুক প্রণালী জয় করেছে। সব মিলিয়ে সপ্তসিন্ধুর মধ্যে চারটে চ্যানেল জয় করে ফেলেছে সায়নী। বর্তমানে বাকি রয়েছে নর্থ চ্যানেল, সুগারু ও জিব্রাল্টার।

আর এবার সেই সপ্তসিন্ধুর পঞ্চম সিন্ধু, নর্থ চ্যানেল জয়লাভের উদ্দেশ্যে এদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফ্লাইটে চেপে রওনা দেন সায়নী। জানা গিয়েছে, সর্বপ্রথম কলকাতা থেকে সন্ধ্যা ৮:২০ সময় মুম্বাই পর্যন্ত ফ্লাইট। তারপর মুম্বাই থেকে হিথ্রো এবং হিথ্রো থেকে বেলফাস্ট পৌঁছাবে সায়নী। তবে নর্থ চ্যানেল জয়লাভের জন্য কবে নাগাদ জলে নামবে সায়নী ? সে জানিয়েছে তার সুইং উইন্ডো রয়েছে ২৫ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়াও সায়নী জানিয়েছে,”সপ্তসিন্ধুর মধ্যে নর্থ চ্যানেল হচ্ছে সব থেকে ঠান্ডা। কারণ সেই জন্য আমি মে মাস থেকে আইস বাথ নিচ্ছি। কারণ ভারতবর্ষের টেম্পারেচার এর সঙ্গে ওখানকার টেম্পারেচারের অনেক তফাৎ রয়েছে। যেহেতু কুড়ি দিন আগে যাচ্ছি তাই ওখানেও কিছুটা অনুশীলনের চেষ্টা করব।”

নর্থ চ্যানেল জয়লাভের বিষয়ে আশাবাদী সায়নী। কালনার কিছু মানুষ যেমন সুশীল মিশ্র, পারিবারিক বন্ধু সুরজিৎ বক্সী, রাজা কুন্ডু এছাড়াও ঘনশ্যাম মিশ্র এন্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে সে বেশ কিছু আর্থিক সাহায্যও পেয়েছে। তবে এরপরেও বেশ কিছু মোটা অঙ্কের অর্থের জন্য, লোন করে অর্থের ব্যবস্থা করতে হয়েছে সায়নীকে। আক্ষেপের সঙ্গে সায়নী জানিয়েছে,”যাওয়ার আগে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাপোর্ট কখনোই পাইনি, তবে আসার পর ফুলের তোরা, মালার বহর প্রচুর থাকে। খুবই হতাশ করা ঘটনা যে ভারতবর্ষের মত জায়গায় আমাদের এভাবে দেখা হয়।”

আরও পড়ুনঃ PV Sindhu: প্যারিস অলিম্পিক্সে স্বপ্নভঙ্গ ভারতের, প্রি-কোয়ার্টার থেকে বিদায় পিভি সিন্ধুর

প্রত্যেক চ্যানেল জয়ের আগে সায়নী সবসময় পজিটিভ থাকে। সেরকমই এবারেও নর্থ চ্যানেল জয়লাভের জন্য আলাদা উত্তেজনা কাজ করছে সায়নীর মধ্যে। তবে এই নর্থ চ্যানেল জয়লাভ করা সায়নীর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তার কারণ শুধু ভারতবর্ষ নয় এশিয়ার মধ্যে কেউ সপ্ত সিন্ধুর এই পঞ্চম চ্যানেল জয় করতে পারেনি। এছাড়াও নর্থ চ্যানেলে টেম্পারেচার, জেলিফিশ এবং স্রোতের সমস্যা তো রয়েছেই। তবে এই চ্যানেল জয় করতে পারলে ভারতবর্ষ তথা এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে কালনার সায়নী দাসের নাম।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী