গয়না নিয়ে জাল নোটের বান্ডিল দিয়ে প্রতারণা, মেমারিতে গ্রেফতার তিন

বর্ধমান: বাসস্ট্যান্ডে পড়ে ছিল লাখ লাখ টাকার বান্ডিল। কুড়িয়ে পেলেন একজন। শুনে তার কাছে এগিয়ে গেল আরও দুজন। বাস ধরার অপেক্ষায় তাঁরা। কিন্তু এত টাকা নিয়ে কী করবেন? পাশে দাঁড়িয়ে বয়স্ক এক মহিলা। শুনছিলেন সব কিছুই। নেবেন তিনি লাখ টাকার বান্ডিল? কানের সোনার দুল বা হাতের সোনার আংটি দিলেই হবে।

গলার সোনার হার দিলে মিলবে পাঁচশো টাকার নোটের চার বান্ডিল। এত টাকা! রাজি হয়ে গেলেন মহিলা। টুক করে সোনার গয়না খুলে দিয়ে টাকার বান্ডিল ঢুকিয়ে নিলেন ব্যাগে। আসলে ওই বান্ডিলে নকল নোট আর সাদা কাগজ ভর্তি। শুধু ওপরে আর নিচে আসল নোট। এভাবেই চলছিল প্রতারণা।

আরও পড়ুন- একের পর এক! ফের ট্রেনই কেড়ে নিল তরতাজা ৩ প্রাণ, মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ

সেই চক্রের পর্দা ফাঁস করল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ। গ্রেফতার চক্রের তিন পান্ডা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নোটের বান্ডিলের ওপরে ও নীচে আসল টাকা ও ভিতরে নকল টাকা সাজিয়ে বাণ্ডিল তৈরি করে প্রলোভন দেখিয়ে সুযোগ বুঝেই গহনা হাতিয়ে চম্পট দিত এই চক্রের পান্ডারা।

গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই মেমারি বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা থেকে থেকে গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।ধৃত নির্মল রায়,মলিন দাস ও গোপাল শর্মা। তাদের বাড়ি যথাক্রমে ব্যারাকপুর,কল্যানী ও চাকদা এলাকায়।

প্রতারকরা মূলত বয়স্ক মহিলাদেরই টার্গেট করত। এর পরই নকল নোটের বান্ডিলের আড়ালে ওপরে ১০০ বা ৫০০ টাকার আসল  নোট রেখে টাকার বান্ডিল বানিয়ে বাসট্যান্ডে ও স্টেশনের মতো জায়গায় গল্প ফেঁদে প্রলোভন দেখিয়ে শরীরে থাকা অলংকার নিয়ে চম্পট দিত প্রতারকরা।

সমগ্র জেলাজুড়েই সক্রিয় ছিল এই প্রতারণা চক্র। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ধরনের প্রতারণার খবর আসছিল।এরপরই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে খবরের ভিত্তিতে মেমারি বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায় পুলিশ।

আরও পড়ুন- অবশেষে বিরাট স্বস্তি…! ঝেঁপে আসছে ঝড়-বৃষ্টি! কলকাতায় বর্ষা নিয়ে বড় আপডেট

৩ ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে  নেয়। বুধবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।