লাইফস্টাইল Why Friday the 13 th is Inauspicious: আজ Friday, the 13 th! কেন ১৩ তারিখে শুক্রবার পড়লেই চরম অশুভ ও অপয়া? শুধুই কুসংস্কার? জানুন আসল কারণ Gallery September 13, 2024 Bangla Digital Desk ফের এসেছে সেই দিন। ফ্রাইডে, দ্য থার্টিন্থ। ক্যালেন্ডারে শুক্রবার এবং ১৩ তারিখ। এই দিনটিকে নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলিতে কুসংস্কার এবং আতঙ্কের কোনও সীমা নেই। এই ২১ শতকেও এতটাই প্রচলিত সেই ভয় যে অনেক হোটেল ১৩ নম্বর ঘর রাখে না। ১৩ তারিখে ফ্লাইট ও ট্রেনের টিকিট বেশি বিক্রি হয় না। বিশেষ দিন সংক্রান্ত এই আতঙ্ককে বলে প্যারাস্কেভিদেকাত্রিয়াফোবিয়া। কেন ১৩ সংখ্যা এত অশুভ? এর অন্যতম প্রামাণ্য শিকড় কিন্তু বিবলিক্যাল। কুখ্যাত লাস্ট সাপার বা শেষ নৈশভোজে শামিল হয়েছিলেন যিশু ও তাঁর ১২ জন শিষ্য, মোট ১৩ জন। সেখানে ১৩ তম ব্যক্তি হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন জুডাস ইসক্যারিয়ট। বাইবেলে বর্ণিত, তিনিই বিশ্বাসঘাতকতা করে ধরিয়ে দিয়েছিলেন যিশুকে। প্রসঙ্গত জুডাস ছিলেন খ্রিস্টের দ্বাদশ শিষ্যের অন্যতম। তাঁর নাম বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক হয়ে গিয়েছে। নরওয়ের পুরাণ অনুযায়ী, ঈশ্বরের ভোজসভা পণ্ড হয়ে গিয়েছিল ত্রয়োদশ অতিথি লোকির জন্য। লোকি পৃথিবীকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন আঁধারে। শুক্রবারের ভাবমূর্তিও অস্বচ্ছ পশ্চিমে। এই দিনটি হল যিশুকে ক্রশবিদ্ধ করার দিন। যার থেকে এসেছে গুড ফ্রাইডে দিনটি। এক সময় ব্রিটেনে শুক্রবার ছিল হ্যাংম্যান্স ডে। কারণ সেদিন প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের ফাঁসি দেওয়া হত। ফলে শুক্রবার ১৩ তারিখ পড়লে তা খুবই অশুভ বলে ধরা হয়। ১৯০৭ সালে থমাস লসন লিখেছিলেন বিশ্বখ্যাত উপন্যাস ফ্রাইডে, দ্য থার্টিন্থ। এখান থেকেই দিনের নামটি জনপ্রিয় হয়। উপন্যাসে ছিল কুসংস্কারের সুযোগ নিয়ে এক ব্রোকার আতঙ্ক তৈরি করত ওয়াল স্ট্রিটে। বহু হলিউডি হরর মুভিতেও উঠে এসেছে এই দিনের কথা। মধ্যযুগে, ১৩০৭ খ্রিস্টাব্দেও এসেছে দিনটির প্রসঙ্গ। সে বছর এক ১৩ তারিখের শুক্রবারে ফ্রান্স জুড়ে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়েছিল গ্রেফতার হওয়া কয়েকশো টেম্পলার নাইট-কে। Disclaimer: এখানে প্রচলিত রীতি নীতি আলোচনা করা হয়েছে মাত্র। কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য নেই।