লাইফস্টাইল Fridge: বরফে ঠাসা ডিপ ফ্রিজার…? ‘সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ’ পরিষ্কারের ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি! ছোট্ট ‘কাজেই’ কেল্লাফতে Gallery August 29, 2024 Bangla Digital Desk সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের ক্ষেত্রে প্রায়ই যে সমস্যাটার ভুক্তভুগি হতে হয় তা হল ফ্রিজারে বরফের পাহাড়। তাড়াহুড়োর সময়ে এই সমস্যা হলে ভোগান্তি আরও বাড়ে। কিন্তু কেন এত বেশি বরফ জমছে ফ্রিজে? পরিষ্কারই করবেন কী উপায়ে? জানুন সহজ নির্ঝঞ্ঝাট ‘উপায়’! বর্তমান যুগের বেশির ভাগ ফ্রিজই ফ্রস্ট ফ্রি, তা-ও সিঙ্গল ডোর ফ্রিজগুলির ব্যাবহারকারীদের প্রায়ই এই ফ্রিজারের বরফের সমস্যায় পড়তে হয়। ডিপ ফ্রিজে এতটাই বরফ জমে যায়, যে তা খুলতেই হিমশিম খেতে হয়। কী শীত কী গ্রীষ্ম, এই ফ্রিজ নিয়ে প্রায়ই গৃহস্থকে এই একটি সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দেখা যায় ওয়ান ডোর ফ্রিজের ডিপ ফ্রিজারে প্রায়ই বরফ জমে যায়। কিন্তু জানেন কি এর আসল কারণটি..? আর এই সমস্যা এড়ানোর উপায়ই বা কী? জেনে নিন আজ এই প্রতিবেদনে। সাধারণত যদি জল পরিষ্কার করে এমন জলের ফিল্টারটি ভেঙে যায় তবে ফ্রিজে আচমকা অতিরিক্ত বরফ তৈরি হতে শুরু করতে পারে। আপনি ফ্রিজে যা কিছু রাখেন সবই বরফে ঢাকা থাকে। সমাধান হল জলের ফিল্টার প্রতিস্থাপন করা। আরেকটি কারণ হল ফ্রিজের থার্মোস্ট্যাট। নিয়ম হল থার্মোস্ট্যাট ০ ডিগ্রিতে রাখা। কিন্তু এর বেশি কমে গেলেই অতিরিক্ত বরফ জমতে থাকবে আপনার ডিপ ফ্রিজের ভিতর। তাই শুরুতেই ফ্রিজের থার্মোস্ট্যাটের দিকে খেয়াল রাখুন। এছাড়া খুব গরম খাবার ফ্রিজে রাখলে সেটি ঠান্ডা করতে ফ্রিজটিকে বেশি কাজ করতে হয়। আর তাতেও বেশি বরফ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। সতর্কতা হিসেবে, রান্না করার পর খাবার বাইরে রেখে ঠান্ডা করে তার পর ফ্রিজে ঢোকাবেন। তা হলে খাবারও নষ্ট হবে না, ফ্রিজও ভাল থাকবে। ফ্রিজের অবস্থান: দেওয়ালের থেকে অন্তত এক ফুট জায়গা ছেড়ে ফ্রিজ রাখা উচিত। কারণ ফ্রিজ দীর্ঘদিন ভাল ভাবে যাতে কাজ করে তাই ফ্রিজের পিছনের কয়েল ঠান্ডা হতে দিতে হবে। না হলে ফ্রিজে বেশি বরফ জমবে। ফ্রিজ কখনওই হিটার বা মাইক্রোঅয়েভ ওভেনের পাশে রাখা উচিত নয়। খুব বেশি গরম জিনিসের পাশে ফ্রিজ রাখলে ভিতরের জিনিস ঠান্ডা করতে বেশি বরফ জমে ফ্রিজারে। পরিষ্কারের সময় খেয়াল রাখুন: ডিপ ফ্রিজে অল্প বরফ জমলে কাঠ বা এই রকম শক্ত চামচের সাহায্য নিতে পারেন। ধাতব কিছু দিয়ে খোঁচাখুঁচি করবেন না, তাতে ফ্রিজের গ্যাসলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কা থাকবে। সাধারণত ফ্রিজের দরজা বা ফ্রিজ ডোরের গ্যাসকেট নষ্ট হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ এগুলি প্রভাবিত হওয়ার ফলে ফ্রিজে বাতাস ঢুকে যায় এবং এভাবে সঞ্চালিত হয়। তাই যদি দরজা বা গ্যাসকেট একটু ভেঙে যায় বা সেটি কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সমাধান একটিই, গাসকেটটি সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে আবার ইভাপোরেটর কয়েল নষ্ট হলে এই সমস্যা হয়। এই কয়েল ফ্রিজ থেকে অতিরিক্ত জল অপসারণের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে কয়েল নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে এই সমস্যা হয় না। তাই আদর্শ সমাধান হল, ফ্রিজ দীর্ঘদিন হয়ে গিয়ে থাকলে বছরে অন্তত একবার মেরামত করা। কারণ তবেই এ ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। বাড়িতে সপ্তাহে একবার বা মাসে দুইবার ফ্রিজ পরিষ্কার করার অভ্যাস অনুসরণ করা ভাল। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র।