সাধারণ জ্ঞানের পরিসরে যেমন চমকে দেয় দেশ বিদেশের নানা তথ্য ও পরিসংখ্যান তেমনই আবার অবাক করে চেনা দৈনন্দিন নানা বিষয়ের নতুন নতুন জ্ঞান। আসলে এই সাধারণ জ্ঞান সেই ভাণ্ডার যা প্রতি মুহূর্তে আমাদের নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করে।প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য যেমন জিকের চর্চা থাকা জরুরি, ঠিক তেমনই সাধারণ জ্ঞানের সম্যক পাঠ ছাড়া দৈনন্দিন জীবন ও যাপনও ততটা সহজ হয় না। কারণ জীবনকে সুস্থ ও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিচালনা করতেও প্রতি পদে পদে প্রয়োজন নানা বিষয়ে অজানা তথ্যের আহরণ।বর্তমান যুগে দ্রুতগামী জীবনে ক্রমশ নানা রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধছে আমাদের শরীরে যা থেকে মুক্তির জন্য যেমন চাই চিকিৎসাজনিত জ্ঞান তেমনই কিন্তু পথ্যের দিকের নজর রাখা জরুরি। আজ এই প্রতিবেদনে তেমন কিছু দৈনন্দিন জীবনের জ্ঞান শেয়ার করা হল যা প্রায় অনেকেরই অজানা।হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে ঘরে ঘরে। বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকিও। এই অবস্থায় জানেন কী কোন একটি ফল রয়েছে যা দুর্দান্ত ভাবে শক্তিশালী করতে সক্ষম হার্টকে? গবেষণা বলছে এই ফলটি কমিয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। হৃদয়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এর জুড়ি মেলা ভার।জানলে চোখ কপালে উঠবে যে এই ফলটি আর কিছু নয় আমাদের চেনা আপেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত ফল আপেল। আপেল হার্টের স্বাস্থ্যের দৃষ্টান্তমূলক ভাবে উন্নতি করে। এগুলিতে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।শুধু তাই নয় আপেলে পলিফেনল রয়েছে যা নিম্ন রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়। আমেরিকার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ও ডায়াটেশিয়ান লরেন মানাকার, আরডিএন তাঁর পরামর্শে বলেন, “এই ফলের নিয়মিত ব্যবহার হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত কার্যকরী অবদান রাখতে পারে। আপেলের উচ্চ ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।”হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য সেরা আপেল কোনটি? বেশ কয়েকটি গবেষণায়, ফুজি আপেলগুলিকেই অন্যান্য আপেলের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে উচ্চ পলিফেনল গুণসম্মত বলে দাবি করা হয়। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ফুজি আপেল থেকে পাওয়া পলিফেনল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এবং লিভারের এনজাইম মার্কারগুলিকে উন্নত করে হার্ট এবং লিভারের স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে কার্যকরি ভাবে।এছাড়া স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং রাস্পবেরি পুষ্টিতে ভরপুর ফলগুলিও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। বেরিগুলি অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করে যা হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, প্রত্যেকের প্রতিদিন কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি ফল এবং সবজি খাওয়ার লক্ষ্য রাখা উচিত। আর এই তালিকায় কী কী ফল বা সবজি থাকবে তা নির্ধারণ করবে আপনার স্বাস্থ্য চাহিদা।কোন ফল সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম ধারণ করে জানেন? জেনে রাখা ভাল যে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কমলা লেবু। প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে এই ফলে। এটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।আবার প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল ট্যাঙ্গরিন। প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল ট্যাঙ্গরিন। অন্যদিকে ফর্টিফাইড কমলার রস ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম বা প্রস্তাবিত দৈনিক খাওয়ার ১১% প্রদান করে।বলুন দেখি, কোন সবজিতে সবথেকে বেশি ভিটামিন মেলে? এক্ষেত্রে এক নম্বরে কিন্তু আমাদের চেনা পালং শাক। পালং শাক এমন একটি সবুজ শাক যা প্রায় দেশের সব প্রান্তেই ভারতে খাওয়া হয়ে থাকে।এই শাক ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় উৎস। এর আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের দুর্দান্ত উপস্থিতির কারণে, পালং শাককে যে কোনও আমিষ ও দুগ্ধ বর্জিত ডায়েটে একটি দারুণ বিকল্প হিসেবে দেখা হয়।ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।
