জোরকদমে চলছে মন্ডপ সাজিয়ে তোলার কাজ।

West Bardhaman News : প্রকৃতির উপাদানে সাজছে মন্ডপ! হারিয়ে যাওয়া ডাকঘরের নস্টালজিয়া ফেরাবে ফুলঝোড়

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: একটা সময় এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভরসা ছিল ডাকঘর। পোস্টকার্ডের মাধ্যমে সুখ-দুঃখের কথা পৌঁছে যেত অন্য জায়গায়। বার্তা বাহক অর্থাৎ পিয়নরা সেই আবেগে কত আবেগপ্রবণ হয়ে উঠছেন।

বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক আধুনিক হয়েছে। ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপে মুহূর্তের মধ্যে বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই প্রাণের ছোঁয়া।

আরও পড়ুন: চোখে মুখে আতঙ্কের ছবি, রাশিয়া থেকে কোনও মতে বেঁচে ফিরলেন এ রাজ্যের বাসিন্দা…

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার গেঁড়াকলে হারিয়ে যেতে বসেছে ডাকঘর। হারিয়ে যেতে বসেছে সেই নস্টালজিয়া। নবীন প্রজন্ম স্মার্টফোনের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন: ভয়ে কাঁটা হয়েছিল হাসনাবাদের নাবালিকা, মুখ খুলতেই জানা গেল প্রতিবেশীর কুকীর্তি!

তাই নবীন প্রজন্মের কাছেই সেই পুরনো দিনের স্বাদ ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে দুর্গাপুরের ফুলঝোড় সার্বজনীন পুজো কমিটি। চলতি বছরে তাদের পুজোর থিম ডাকঘর।

যেখানে পুরনো দিনের ডাকঘরের সেই মধুর স্মৃতি ফুটে উঠবে মন্ডপে। থিম সাজিয়ে তোলার জন্য উদ্যোক্তারা বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এই মন্ডপ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

মন্ডপ তৈরির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হোগলা পাতা, নারকেল গাছের ছাল, মাদুর, বাবুই দড়ির মত বিভিন্ন প্রাকৃতিক জিনিস। খেয়াল রাখা হচ্ছে যাতে মন্ডপ তৈরির জন্য প্রকৃতির কোনও ক্ষতি না হয়।

উদ্যোক্তারা চাইছেন মণ্ডপ দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠুক। পুরনো নস্টালজিয়া ফিরিয়ে দিতে গিয়ে প্রকৃতিরও কোনও ক্ষতি করতে চান না তারা।

উদ্যোক্তাদের আশা, ৩৩ তম বর্ষে ফুলঝোড় সার্বজনীন পুজো কমিটির দুর্গাপুজো সকলের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। প্রবীণরা যেমন পুরনো দিনের স্মৃতি খুঁজে পাবেন, তেমন নবীনরাও ডাকঘর যুগের সময় উপলব্ধি করতে পারবেন। পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পীরা এই মন্ডপ সাজিয়ে তোলার দায়িত্বে রয়েছেন।

আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন দুর্গাপুরের একটি সংস্থা। একই সঙ্গে থাকবে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেবী প্রতিমা। সবমিলিয়ে উদ্যোক্তারা আশা করছেন, প্রত্যেক বছরের মত চলতি বছরেও এই পুজো শহরবাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

নয়ন ঘোষ