ভাঙন কবলিত এলাকা 

Malda News: জল কমতেই ভাঙন শুরু, দিশেহারা গঙ্গাতীরের বাসিন্দারা, ঘর ছাড়ছেন আতঙ্কে

মালদহ: গঙ্গার জল কমতেই ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে ভাঙন। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার ভাঙন হচ্ছে। বহু বাড়ি ইতিমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে গঙ্গায় বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে বাড়িঘর ভাঙতে শুরু করেছে স্থানীয়। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। পুজোর পরে ভয়ানক পরিস্থিতি মালদহের মানিকচক ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। গোপালপুরের একাধিক গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামে ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে ভাঙন। বর্তমানে গঙ্গার জলস্তর কমতে শুরু করেছে। আর জল কমতেই শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন।

যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ নাসিরুদ্দিন বলেন, “ব্যাপক হারে এলাকায় ভাঙন হচ্ছে। আমাদের বাড়িঘর সব চলে গিয়েছে। এখনও যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনওরকম ব্যবস্থা না করা হয় আমরা সমস্যায় পড়ব।”

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোয় রেহাই নেই! বুধবারেই নাকি… কবে আসছে বৃষ্টি? উত্তরের কোন কোন জেলায় দুর্যোগের ইঙ্গিত? জেনে নিন

গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাদের ভিটেমাটি গঙ্গায় বিলীন হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন। ভাঙন শুরু হতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে ভাঙন রোধের কাজ। বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে ভাঙন রুখতে। কিন্তু তারপরেও ভাঙন হচ্ছে একাধিক এলাকায়।

আরও পড়ুন: অশুভ শক্তির বিনাশে আতসবাজির বারণ বধ! আলোর রোশনাই ভরে উঠল চারিদিকে

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই ভাঙন রোধের কাজ শুরু করলে আটকানো যেত। এই মুহূর্তে শুরু হয়েছে ভাঙন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তোড়জোড় শুরু হয়েছে ভাঙন রোধের কাজের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিত এলাকার দুর্গতদের ত্রাণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ বাসিন্দা ইতিমধ্যে ভিটেমাটি হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের কাছে তারা সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন।

এলাকার সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী বলেন, “গঙ্গার জল কমতে শুরু করেছে। তারপরও মানিকচকের গোপালপুর এলাকায় ভাঙন হচ্ছে। মানুষ চরম সমস্যায় রয়েছে। এই মুহূর্তে পরিবারগুলি কোথায় থাকবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সমস্যা। এখনও পর্যন্ত এলাকায় চলছে ভাঙন। তাতেই আতঙ্কিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।”

হরষিত সিংহ