Tag Archives: Ganga erosion

Gangasagar Erosion: স্পার বাঁধ ঠেকাতে পারবে গঙ্গাসাগরের ভাঙন? কী বললেন মন্ত্রী

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার তাহলে কি স্পার বাঁধেই রোখা যাবে গঙ্গাসাগরের ভাঙন? সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার কথাতেই সেইরকম ইঙ্গিত মিলল। স্পার বা গ্রোয়েন জাতীয় বাঁধ হল তীর রক্ষার জন্য কংক্রিট পাথরের বাঁধ। এই রকম বাঁধ তৈরির আগে রিঁংয়ের খাঁচা টাইপের তৈরি করা হয়। সেগুলিতে জল এসে ধাক্কা মারে। ফলে সরাসরি জল এই স্পার ভেঙে তীরে আসতে পারে না।

আরও পড়ুন: জমা জলের যন্ত্রণায় কাহিল, শেষে রাস্তা কেটে নিকাশির ব্যবস্থা নাগরিকদের

গঙ্গাসাগরে ভাঙন ঠেকাতে কখনও ট্রেটাপড ফেলে, কখনও বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোখার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ভাঙন আটকানো যায়নি। সম্প্রতি সমুদ্রের জলের ধাক্কা সরাসরি লেগেছে সমুদ্রের পাশে থাকা কংক্রিটের ঢালাই রাস্তাতে। যার জেরে ঢালাই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই স্পার বাঁধ এবার সাগরপাড়ের ভাঙন রোধ করতে ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদী সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। এই কাজ দেখতে কিছুদিনের মধ্যে সেখানে উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সেই সঙ্গে এবছর গঙ্গাসাগর মেলার আগে গঙ্গাসাগর সেতুর কাজ জোরকদমে শুরু হবে। সেতু তৈরির জন্য ইতিমধ্যে জমি দেখার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে কপিলমুনি আশ্রমের সামনে ভাঙন ও সাগরমেলায় আসা তীর্থ যাত্রীদের সুবিধার্থে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী।

নবাব মল্লিক

মালদহে গঙ্গা ভাঙন, প্রতিবাদে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট ঘেরাওয়ের ডাক তৃণমূলের

মালদহ: মালদহে ভাঙন প্রতিরোধের দাবিতে এবার ফরাক্কা ব্যারেজ  ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা তৃণমূলের। হাজার হাজার ভাঙন উদ্বাস্তু ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট অফিস ঘেরাও আগাস্টেই।

কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে কোনওরকম সাহায্য করছে না, তাই এবার ফারাক্কা ব্যারেজ ঘেরাও করে প্রতিবাদ তীব্রতর করা হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী।

আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমীতে মাত্র ৪৫ টাকায় সোজা দিঘা! এমন মোক্ষম সুযোগ আগে হয়নি, কীভাবে জানুন

ইতিমধ্যেই জেলা তৃণমূলের বৈঠকে এবিষয়ে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য বুধবার পাঠানো হয়েছে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বকে।
বন্যা ভাঙন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মালদহ জেলায়।

কেন্দ্র ও রাজ্য একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়ে কার্যত সাধারনের সমস্যা এড়িয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারন মানুষ।
মালদহ জেলা তৃণমূলের মাসিক বৈঠকে ভাঙন সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তৃণমূল জেলা সভাপতি, তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি, একাধিক বিধায়ক ও নেতৃত্ব। আর যাতে মানুষ বন্যা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য তৃণমুল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আলোচনা করা হয়।

আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমীতে মাত্র ৪৫ টাকায় সোজা দিঘা! এমন মোক্ষম সুযোগ আগে হয়নি, কীভাবে জানুন

এদিন বৈঠকের পর জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আমরা প্রতি মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা আলোচনা সভা করি। এবারের সভায় ভাঙন সমস্যা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। গঙ্গা নদীর ভাঙন মালদহ জেলার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। হরিশ্চন্দ্রপুর, বৈষ্ণবনগর, রতুয়া, মানিকচক, কালিয়াচক প্রভৃতি অসংখ্য মানুষ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত।

ভাঙনের ফলে শয়ে শয়ে বাড়ি জলের তলায় তলিয়ে যাচ্ছে। স্কুল তলিয়ে যাচ্ছে। মন্দির, মসজিদ তলিয়ে যাচ্ছে। মানুষ দিশেহারা। নিঃস্ব হয়ে ভিখারিতে পরিণত হচ্ছে। ভূমিহীন হয়ে যাচ্ছে একেবারে। এইরকম অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছে।

তাই, প্রতিবাদ জানাতে ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট ঘেরাও এর পরিকল্পনা ও প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও সময় চাওয়া হয়েছে। রাজ্য কমিটির অনুমোদন পেলেই ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট ঘেরাও করা হবে বিপুল সংখ্যক মানুষ যোগ দেবেন কর্মসূচিতে।

একইসঙ্গে ভাঙন রোধে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপির নেতৃত্বকে ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করান তৃণমূল জেলা সভাপতি। ভাঙন প্রতিরোধের দাবি জানিয়ে রাজ্য সরকার বিভিন্ন সময় যেসব চিঠিপত্র কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছে তাও ফারাক্কা ব্যারেজ ঘেরাও কর্মসূচিতে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সভাপতি।

Ganga Erosion: ফের ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদে, ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা

মুর্শিদাবাদ: ফের গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে। ভাঙনের কবলে সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রাম। ইতিমধ্যেই মাটির বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় ফাটল ধরার পাশাপাশি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৫০ মিটার জমি। যে কোনও মুহূর্তে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছাড়ছেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

ভাঙনের কবলে পড়েছেন বেশি কয়েকটি পরিবার। এদিকে লাগাতার একে একে বিভিন্ন গ্রাম গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যেতে থাকায় কার্যত ক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। ভাঙন প্রতিরোধে সরকারকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: জ্যান্ত তক্ষক পাচার করতে গিয়ে বনকর্মীদের হাতে ধৃত ২

মুর্শিদাবাদ জেলার জলন্ত এক সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। বিশেষ করে জঙ্গিপুর মহকুমার লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ-২, সুতি-১ ও সামসেরগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙনের সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করেছে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি থেকে জমি, বাগান। সেই আতঙ্কের মাঝেই সোমবার রাতে লোহরপুরে বেশ কিছুটা অংশে গঙ্গার পার ধসে যায়। এতেই ভাঙনের আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অনেকেই ভাঙনের আশঙ্কায় ঘর-বাড়ি ছেড়ে জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়দের এও দাবি, এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধের যে কাজ শুরু হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। এই ভাঙন রোধের কাজ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

ভাঙনে সবকিছু তলিয়ে যেতে পারে আশঙ্কা করেই গ্রামবাসীরা আগে থেকেই বাড়ির জানালার গ্রিল থেকে গেটের শাটার সমস্ত কিছুই ভাঙতে শুরু করেছেন। মহিলা সদস্যরা ঘর থেকে শেষ সহায় সম্বল সড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সময় যত এগোতে থাকে গঙ্গা ভাঙনের রূপও তত ভয়াবহ হতে থাকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গঙ্গা এগিয়ে আসে বাড়িটিকে গিলে খেতে। সেই সময়ে যতটুকু সম্ভব ঘর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।

কৌশিক অধিকারী

Ganga Erosion: ৩০ কিমির দূরত্ব কমে ২০০ মিটারে ঠেকেছে! গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাওয়ার মুখে হাইস্কুল

মালদহ: একের পর এক বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গায়। নিমেষে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি থেকে বসত বাড়ি। এবার ভাঙনের মুখে দিয়ারা অঞ্চলের একমাত্র হাইস্কুলটিও। চিন্তিত পড়ুয়া থেকে শিক্ষকেরা। একসময় গঙ্গা থেকে এই স্কুলের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩০ কিলোমিটার। কিন্তু ভাঙনের জেরে সেই দূরত্ব কমতে কমতে এখন দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। মাত্র ২০০ মিটার দূরে অবস্থান করছে গঙ্গা।

এদিকে ভাঙন হচ্ছে প্রতিবছর। আগামী দুই থেকে এক বছরের মধ্যে এই স্কুল গঙ্গায় বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। মালদহের এই স্কুলের পড়ুয়া রিয়া সাহা বলেন, আমরা আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের স্কুলের দিকে গঙ্গা এগিয়ে আসছে। গঙ্গার ভাঙনে স্কুল তলিয়ে গেলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করব?

আর‌ও পড়ুন: চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে রোগী দেখলেন হাসপাতালের সুপার

মালদহের রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের দিয়ারা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কাটাহা দিয়ারা হাইস্কুল। স্কুলটি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। এলাকার একমাত্র স্কুল এটি। এখান থেকে পড়াশোনা করেছে দিয়ারা অঞ্চলের অনেকেই বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত হয়েছেন। এমনকা রতুয়ার বিধায়ক‌ও এই স্কুল থেকেই পড়াশোনা করেছেন। এই এলাকায় গঙ্গা ভাঙন গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।

এক সময় গঙ্গা বিহারের রাজমহল পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে যেত। ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করায় ক্রমশ স্কুলের দিকে এগিয়ে আসছে গঙ্গা। একের পর এক গ্রাম বিলীন হয়ে বর্তমানে স্কুল থেকে গঙ্গার দূরত্ব মোটে ২০০ মিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুল বাঁচানোর অপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ থেকে গ্রামের বাসিন্দারা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পলাশ মুখার্জি বলেন, হঠাৎ ভাঙনের মুখে পড়লে স্কুলের পুরনো সমস্ত নথি নষ্ট হয়ে যাবে। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। স্কুলটি গঙ্গায় বিলীন হলে দিয়ারা অঞ্চলের মানুষ সমস্যায় পড়বেন।

এই অঞ্চলের পড়াশোনার একমাত্র ভরসা এই স্কুল।স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ২৭০০। দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছরের নথি রয়েছে স্কুল অফিসে। গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়ে এই স্কুল বিনিল হলে নথিপত্র সমস্ত কিছুই নষ্ট হয়ে যাবে। এই অঞ্চলের বর্তমান থেকে শুরু করে বিগত দিনের পড়ুয়ারা নানান সমস্যায় পড়বেন। স্কুলের খুব কাছে গঙ্গা এগিয়ে আসায় স্কুল বাঁচানোর আর্জি কর্তৃপক্ষের।প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ কোন‌ও উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। ফলে আতঙ্কে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে গ্রামের বাসিন্দারা।

হরষিত সিংহ

Viral Video: ভয়ঙ্কর দৃশ্য! গঙ্গায় তলিয়ে ‌যাচ্ছে আস্ত পাকা বাড়ি! ভিডিও দেখলে শিউরে উঠবেন

মুর্শিদাবাদ: আবারও সামশেরগঞ্জের শিবপুরে শুরু হয়েছে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন। গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু হঠছে না সামশেরগঞ্জে। ইতিমধ্যেই ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ১০০ মিটার এলাকা। আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষজন। বাড়ি ঘড় ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই খোলা আকাশের নিচে। সকাল থেকে ভাঙন দেখা দিলেও দেখা নেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের।

জানা যায়, ভাঙন যেন এক নিত্য সঙ্গী সামশেরগঞ্জে। ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুরে। প্রথমে আসতে ভাঙতে শুরু করল নদীপারের জমি। সেখান থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে ছিল সবুজ রঙের পাকা বাড়িটি। পরিবারের সদস্যরা ভাঙন তলিয়ে যেতে পারে আশঙ্কা করেই আগে থেকেই ঘরের জানালার গ্রিল থেকে গেটের সাটার সমস্ত কিছুই ভাঙতে শুরু করেন।মহিলা সদস্যরা ঘর থেকে শেষ সহায় সম্বল সড়িয়ে নিয়ে যেতে লাগে। সময় যত এগোতে থাকে গঙ্গা ভাঙনের রূপও তত ভয়াবহ হতে থাকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গঙ্গা চলে আসে বাড়িটিকে গিলে খেতে। সেই সময়ে যতটুকু সম্ভব ঘর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

যদিও কিছুক্ষনের মধ্যে সবার চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে নদী গর্ভে তলিয়ে যায় আস্ত বাড়িটি। শুরু ওই বাড়িটিই নয় এখনও নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িও। সেই সব পরিবারের সদস্যরাও ইতিমধ্যেই ঘর থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছেন। সামশেরগঞ্জের নদীপারের বাসিন্দাদের ঘুম উড়েছে এই ভয়াল নদী ভাঙনে। প্রশ্ন উঠছে কবে স্থায়ী সমাধান মিলবে নদী ভাঙনের হাত থেকে বাঁচার।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

সামশেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত এলাকায় বালির বস্তার কাজ চললেও শিবপুর সকাল থেকে ভাঙন চললেও বালির বস্তার কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ জন। কিছু দিন আগে বাজেট পেশ হলেও সেখানে বরাদ্দ হয়নি ভাঙন রোধের জন্য কোনও অর্থ। ফলে গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

কৌশিক অধিকারী

Ganga Erosion: বিহার-উত্তরাখণ্ড টাকা পেলেও বঞ্চিত বাংলা, গঙ্গা ভাঙন ঠেকাতে বাজেটে ‘শূন্য’ বরাদ্দ

মালদহ: বর্ষাকাল এলেই গঙ্গা ভাঙন ও বন্যা প্রতি বছরের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মালদহ জেলার। গঙ্গা তীরবর্তী জেলার চারটি ব্লকের লক্ষাধিক মানুষ এরফলে প্রতিবছর বিপন্ন হয়ে পড়েন। বর্ষার মরশুম শুরু হলেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায়।‌ ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়।

এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গঙ্গার ভাঙন মোকাবিলায় সার্বিক পরিকল্পনা না করলে এই পরিস্থিতির বিশেষ একটা উন্নতি হবে না। কিন্তু গঙ্গার ভাঙন মোকাবিলায় যে পরিমাণ অর্থ দরকার তার রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না এর জন্য চাই জাতীয় স্তরের একটি মাস্টার প্ল্যান তাই এই বাজেটের দিকে অনেক আশা করে তাকিয়ে ছিলেন মালদহের ভাঙন বিপর্যস্ত বাসিন্দারা। তারা ভেবেছিলেন ভাঙ্গন মোকাবিলায় হয়তো বাজেটের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং অর্থ বরাদ্দ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু পরিকল্পনা তো দুরস্ত গঙ্গার ভাঙ্গন মোকাবিলায় একটিও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি বাংলার জন্য!

আর‌ও পড়ুন: হার মানাবে যাদু সম্রাটকেও! নদীর উপর দিয়ে হেঁটেই পারাপার

২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের সাধারণ বাজেটে বিহার, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, সিকিম সহ একাধিক রাজ্যের বন্যা ও ভাঙন ঠেকানোর জন্য আর্থিক বরাদ্দের বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু বাংলার মুর্শিদাবাদ ও মালদহের মত দুটি ভাঙন বিধ্বস্ত জেলার জন্য বিন্দুমাত্র আর্থিক বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি সকলকেই বিস্মিত করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এমন ভূমিকায় রীতিমতো হতাশ এখানকার বাসিন্দারা। ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা শ্যাম মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর গঙ্গার ভাঙন নিয়ে আমরা আতঙ্কিত থাকি। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কোন‌ও কিছুই দেওয়া হল না আমাদের। আমরা আতঙ্কিত।

মালদহের এই গঙ্গা নদীর এক প্রান্তে রয়েছে ঝাড়খন্ড, অপর প্রান্ত রয়েছে বিহার। সেইসব রাজ্য ভাঙন ও বন্যা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা পেলেও বাদ গেল পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা। বাজেট পেশ হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের এমন ভূমিকা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, যে সমস্ত রাজ্যে কম বন্যা, ভাঙন হচ্ছে সেখানে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে মালদহকে বঞ্চিত করা হলো।

মালদহের রতুয়া-১, মানিকচক, কালিয়াচক-২ ও ৩ নম্বর ব্লক ভাঙন কবলিত। প্রতিবছর এই অঞ্চলের গঙ্গা ও ফুলহার নদীতে ব্যাপক হারে ভাঙন হয়। বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গা গ্রাসে তলিয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, মালদহে গঙ্গা ভাঙনের জন্য সেচ দফতর আছে। সেই দফতরের মন্ত্রী আছেন। ভাঙন বা বন্যার জন্য যে রাজ্যে যেমন প্রয়োজন সরকার তেমনভাবে অর্থ বরাদ্দ করছে।

হরষিত সিংহ

Ganga Erosion: ভাঙন প্রতিরোধে বাজেটে প্রাপ্তি শূন্য! মুর্শিদাবাদের যন্ত্রণা মন ছুঁল না অর্থমন্ত্রীর

মুর্শিদাবাদ: গঙ্গার ভাঙন জলন্ত সমস্যা মুর্শিদাবাদ জেলার। বিশেষ করে জঙ্গিপুর মহকুমার লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ-২, সুতি-১ ও সামসেরগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন প্রবণ। এই ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে ছিলেন এই এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা বাজেটে গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধে কোন‌ও অর্থই বরাদ্দ করা হয়নি। ফলে প্রবল হতাশ এখানকার মানুষ।

চোখের সামনেই গত কয়েক বছরে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়েছেন কয়েক মুর্শিদাবাদের কয়েকশো বাসিন্দা। এই ভাঙনের যা ব্যাপকতা তা মোকাবিলা করার রাজ্য সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এনিয়ে গত সোমবার বাজেট অধিবেশনে সরব হয়েছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। কিন্তু তারপরেও বাজেটে কোন‌ও অর্থই বরাদ্দ করলেন না অর্থমন্ত্রী। ফলে ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আর‌ও পড়ুন: ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?

ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা আনন্দ সাহার কথায়, গত বছর রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল ভাঙন রোধের জন্য। রাজ্যে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেটে ভাঙন প্রতিরোধের কোন‌ও দিশা পাওয়া গেল না। এদিকে বিঘের পর বিঘে জমি, বাড়ি হারিয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত হচ্ছে এখানকার মানুষ।

উল্লেখ্য, তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকারের প্রথম বাজেট ছিল। মঙ্গলবার বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখে বিহার ও অন্ধপ্রদেশের জন্য দরাজ ঘোষণা শোনা গিয়েছে। তবে বাংলার জন্য প্রায় কিছুই ছিল না এই বাজেটে, এমনই অভিযোগ রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীকে ঢেলে সাজানোর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিহার পেয়েছে সড়ক, বিমানবন্দর, মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে সার্বিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বরাদ্দ। পড়শি রাজ্য বিহার যখন এত কিছু পাচ্ছে, তখন বাংলার জন্য বিশেষ কিছুই দেখা গেল না বাজেটে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গা ভাঙনে আর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সকলেই।

কৌশিক অধিকারী

Malda Erosion: গঙ্গা গ্রাসে মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার পথে গ্রাম! আতঙ্কে অন্যত্র পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

মালদহ: গঙ্গার জল বৃদ্ধি পেতেই শুরু ভাঙন। গত বছর থেকে শুরু মালদহের মহানন্দাটোলা পঞ্চায়েতের কান্তটোলা এলাকায় ভাঙন। গত বছর গ্রামের অনেকটা অংশই গঙ্গা গ্রাসে বিলীন হয়েছে। এ বছরও ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে ভাঙন। গত চার দিন ধরে লাগাতার ভাঙনের জেরে ইতিমধ্যে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছেন নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা।

এইভাবে ভাঙন হতে থাকলে হয়তো মানচিত্র থেকে মুছে যাবে মালদহের আরও একটি গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দা বলরাম মন্ডল বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে। একের পর এক বাড়ি মন্দির জলে তলিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো সুব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আতঙ্কে আমরা বাড়ি ঘর নিয়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন:কলার মতোই দেখতে, কিন্তু কলা নয়…! বাজার কাঁপাচ্ছে এই ফল, কোথায় গেলে পাবেন?

মালদহের রতুয়া-১ ব্লকে মহানন্দটোলা পঞ্চায়েতের কান্তটোলা গ্রাম। গত দশ বছর আগেও এই গ্রাম থেকে গঙ্গার দূরত্ব ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটারের বেশি। কান্তটোলা গ্রামটি গত বছর থেকে গঙ্গা গ্রাসের মুখে পড়েছে৷ এবার ভাঙনের মাত্রা অনেক বেশি তীব্র৷
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

হরষিত সিংহ

ভয়ঙ্কর গঙ্গা! একের পর এক বাড়ি ভাঙছে! ভিডিও দেখলে বুক কাঁপবে

গত তিনদিন ধরে শুরু হয়েছে গঙ্গার ভাঙন, বর্ষার শুরুতেই রতুয়ার বিলাইমারি পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক ভাঙন, আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা।

Ganga Erosion: বৃষ্টি শুরু হতেই আস্ত রাস্তা তলিয়ে গেল গঙ্গায়! আবার ভাঙন আতঙ্ক সামশেরগঞ্জে

মুর্শিদাবাদ: বর্ষাকাল আসতেই আসন্ন বিপদের ভয়াবহতার কথা ভেবে আতঙ্কিত সামশেরগঞ্জের মানুষ। বৃষ্টি শুরু হতেই গঙ্গা বক্ষে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তারই ধাক্কায় ফের ভাঙন শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে। এবার টানা বৃষ্টির জেরে ধসে গেল সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্ৰামের রাস্তা।

প্রতাপগঞ্জ থেকে ধুলিয়ান যাওয়ার দ্বিতীয় রাস্তাটি গঙ্গা গর্ভে চলে গিয়েছে। বর্তমানে শুধু সাইকেল ও বাইক যাতায়াত করার মত রাস্তার এক ফালি অংশ অবশিষ্ট আছে। তবে কাকুড়িয়া থেকে কোনও মতেই ধুলিয়ান যাওয়া আর সম্ভব নয়। স্থানীয়দের দাবি, খুব দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা হোক। নাহলে আগামী দিনে রাস্তার বাকি অংশটাও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: তিন মাস ধরে বেতন হয়নি, প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গেট মিটিং চা শ্রমিকদের

গঙ্গা ভাঙনের যন্ত্রণা অবশ‍্য নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই যন্ত্রণায় জর্জরিত ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জের মানুষ। চোখের পলকেই অনেক ঐতিহ্যবাহী জায়গা, ঘরবাড়ি, চাষের জমি সব গঙ্গা গিলে খেয়েছে। আবার বর্ষাকাল এসে যাওয়ায় সেই ভাঙন শুরু হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ জেলার এক জ্বলন্ত সমস্যা হল এই গঙ্গা ভাঙন। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে বা কমলেই এই ভাঙন দেখা যায়। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের তাই আতঙ্কে ও ভয়ের আবহে দিন কাটাতে হয়। রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কাজ চলছে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের। কিন্তু প্রকৃতির করাল গ্রাসে ভাঙনের আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু হঠছে না। তাই সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে এখন আতঙ্কের ছবি। নদী পাড় থেকে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। সরিয়ে নিচ্ছেন আসবাব পত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।

কৌশিক অধিকারী