এঁচোড়

Green Jackfruit Harvest: ভিন রাজ্যেও তুঙ্গে চাহিদা! ভরা গরমে এঁচোড় চাষ ও বিক্রি করে রাতারাতি বিশাল লাভবান এই জেলার চাষিরা

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: গরমের মরশুমে অনেকেই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন। তবে এর পাশাপাশি সুস্বাদু এঁচোড়ের কথা ভুলে গেলে চলবে না। বেশ মশলাদার করে রান্না করা সুস্বাদু এঁচোড় সকলেরই প্রিয়। তাই তো গরমের এই মরশুমে বাজারে প্রচুর এঁচোড় বিক্রি হতে দেখা যায়। এই এঁচোড়গুলির বেশিরভাগই আসে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রাম থেকে। তবে বর্তমানে শুধুমাত্র কোচবিহারের বাজারেই নয়, ভিন রাজ্যেও পৌঁছে যাচ্ছে কোচবিহারের এঁচোড়। প্রথমে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ঘুরে ঘুরে এঁচোড় সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারপর টোটোর মাধ্যমে সেগুলো কি নিয়ে আসা হচ্ছে মাথাভাঙায়। তারপর সেগুলিকে পরিষ্কার করে কাগজে মুড়ে বস্তা বন্দি করে পাঠানো হচ্ছে ভিন্ন রাজ্যে।

এই কাদের সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন শ্রমিক লালচাঁদ বর্মন জানান, ‘‘বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে কোচবিহার থেকে ভিন রাজ্যে এই এঁচোড় পাঠানো শুরু হয়েছে। আগে এ বিষয়টি খুব একটা চোখে পড়ত না। তবে ভিন রাজ্যে কোচবিহার জেলার সুস্বাদু এঁচোড়ের চাহিদা থাকার কারণে এই কাজ করে মুনাফা অর্জন করছেন চাষিরা। এছাড়াও মুনাফা পাচ্ছেন এর সঙ্গে যুক্ত থাকার মানুষজনও। গরমের মরশুমেই এই কাজটিই করা হয়ে থাকে। সংগ্রহ করে নিয়ে আসা এঁচোড়গুলিকে ধুয়ে পরিষ্কার করে কাগজে মুড়ে বস্তাবন্দি করে তার পর পাঠানো হয়। এই এঁচোড়গুলোর দাম হয় গাড়ি অনুযায়ী। মূলত পাইকারি দামেই এই এঁচোড় বিক্রি করা হয়।’’

এই কাজের সঙ্গে যুক্ত এক গাড়িচালক মোজিবুর রহমান জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। সারা বছর এই কাজটি না থাকলেও বছরের এই গরমের মরশুমে এই কাজটির চাহিদা থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাইতো প্রতিদিন অসংখ্য গাড়িতে করে এই কাঁঠাল নিয়ে যাওয়া হয় ভিন্ন রাজ্যে।”

আরও পড়ুন : AC ছাড়াই সুশীতল ঘর! তীব্র গরমেও থাকুন আরামে! ঘরে লাগান এই গাছগুলি

এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন বিক্রেতা প্রফুল্ল বর্মন জানান, “জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামগুলি থেকে টোটোর মাধ্যমে এই এঁচোড়গুলি সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়। তারপর সেগুলিকে কাগজে মুড়ে বস্তা বন্দি করা হয়। এই কাজটি প্রতিনিয়ত  চলতেই থাকে। প্রতিদিন বহু গাড়ি এভাবে পাঠানো হচ্ছে বাইরে।” বর্তমান সময়ে জেলার কৃষক ও বহু মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতার পথ খুঁজে নিচ্ছেন।