সিনওয়ারের মৃত্যুর পর হুঙ্কার হামাসের

Israel-Gaza War: ‘যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও বন্দীকে ছাড়ব না’, সিনওয়ারের মৃত্যুর পর হুঙ্কার হামাসের

ইজরায়েল: “বন্দীদের ছাড়ব না।” সাফ জানিয়ে দিল হামাস। জঙ্গি সংগঠনের মাথা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খতম করার পর বন্দীমুক্তি নিয়ে বেঁকে বসল তারা। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলের একটি মিউজিক কনসার্টে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে গুলি করে মারে হামাস জঙ্গিরা। প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় গাজায়। এই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।

দু’দিন আগে বোমাবর্ষণে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নিকেশ করেছে ইজরায়েলি সেনা। মৃত্যুর আগের মুহূর্তের ভিডিও ফুটেজও সামনে এসেছে। মনে করা হচ্ছিল, সিনওয়ারের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত থামবে। কিন্তু হল উল্টোটা।

হামাস নেতা খলিল আল হাইয়া একটি ভিডিও বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে না।” সিনওয়ারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশও করেছেন তিনি। বিবৃতি সামনে আসার পরই শুক্রবার রাতে ফের গাজায় হামলা চালায় ইজরায়েল।

আরও পড়ুন-১০ টাকার এই কয়েন রয়েছে? মুহূর্তে বদলে যাবে ভাগ্য… বিরাট সুখবর আপনার জন্য, কী করতে হবে জানুন

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মেহমুদ বাসিল বলেছেন, রাতে এয়ার স্ট্রাইক করে ইজরায়েলি সেনা। একাধিক বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। তবে সিনওয়ারের মৃত্যুতে খুশি অধিকাংশ গাজাবাসীই। কিন্তু এতে কোনও লাভ হল না বলেও মনে করছেন তাঁরা। ২১ বছর বয়সী জেমা আবু মেন্দি এএফপি-কে বলেছেন, “সবসময় ভাবতাম এই মুহূর্তটা কবে আসবে, যুদ্ধ শেষ হবে। আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনযাপন করব। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। যুদ্ধ থামেনি। মৃত্যুমিছিল অব্যাহত।”

ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন ইজরায়েলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’। তাঁর মৃত্যু, ইজরায়েলি সেনার মতে, দূর্বল হয়ে পড়ার হামাসের কাছে এটা বড় ধাক্কা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সেনার কাজে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, “হামাসের শয়তানি শাসনের পতন শুরু হল। যুগান্তকারী মুহূর্ত।” তবে যুদ্ধ এখনই থামবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, “যুদ্ধ শেষ হয়নি এখনও। তবে শেষের শুরু হল।”

আরও পড়ুন-দিঘার সমুদ্রে দানবীয়…! ছুটে এল কাতারে কাতারে মানুষ, ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখলে আঁতকে উঠবেন আপনিও

সিনওয়ারের মৃতুতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে এবার ভাল কিছু হবে।” আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “হামাসহীন গাজা। ভবিষ্যতে শান্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে চলেছে।” এরপরই বন্দীমুক্তির দাবিতে যৌথ বিবৃতি জারি করে জার্মানি, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন। তারা বলেছে, “বন্দী মুক্তির মধ্য দিয়েই গাজা যুদ্ধের অবসান হোক।” এই সুরে সুর মিলিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।